টি-টোয়েন্টিতেও সহজ জয়ে উলভসকে জয়শূন্য ফেরাচ্ছে ইমার্জিং টিম
একমাত্র আন-অফিশিয়াল টি-টোয়েন্টি, মিরপুর
বাংলাদেশ ইমার্জিং টিম ১৮৪/৭, ২০ ওভার (হৃদয় ৫৮, সাইফ ৪৮, শামিম ২৮, ইয়াসির ২২, চেজ ২/৩৬, এডেয়ার ১/২০, ডিলানি ১/২৪)
আয়ারল্যান্ড উলভস ১৫৪ অল-আউট, ১৮.১ ওভার (টাকার ৩৮, ডোহেনি ২৯, গেটট্যাকে ২৬*, সুমন ৪/২৮, তানভির ২/৩২, বিপ্লব ২/৩৭)
বাংলাদেশ ইমার্জিং টিম ৩০ রানে জয়ী
সাইফ হাসানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স,মিডল অর্ডারে তৌহিদ হৃদয়ের ৩৫ বলে ৫৮ রানের সঙ্গে শামিম পাটোয়ারির ১১ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস, পরে সুমন খানের ৪ উইকেটের আগে স্পিনারের সমন্বিত পারফরম্যান্সে পারফরম্যান্সে মিরপুরে একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে বড় জয়ে আয়ারল্যান্ড উলভসকে ‘পারফেক্ট-সুইপ’ করেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং টিম। একটি টি-টোয়েন্টি না খেলেই কোয়ারেন্টিন-জটিলতা কাটাতে আগেভাগেই ফিরছে উলভস, তবে তাদের যেতে হচ্ছে জয়শূন্য থেকেই।
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে শুরুটা দারুণ হয়েছিল উলভসের, প্রথম ওভার করতে আসা গ্যারেথ ডিলানির চতুর্থ বলে জোরের ওপর পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন আনিসুল ইসলাম ইমন। মার্ক এডেয়ারের বলে ইনসাইড-এজে একবার বেঁচে গিয়ে চার পেয়েছিলেন শেষ ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা মাহমুদুল হাসান জয়, তবে তার বলেই পরে হয়েছেন বোল্ড। পাওয়ারপ্লেতে হয়েছিল মাত্র ৪টি চার, বাংলাদেশ ইমার্জিং তুলেছিল ২ উইকেটে ৩৪ রান।
৭ম ওভারে জশ লিটলের কাছ থেকে ১৮ রান তুলেছিলেন সাইফ হাসান ও ইয়াসির আলি রাব্বি, রাব্বি মেরেছিলেন ছয়-চার। রাব্বি শুরুটা ভাল করেছিলেন, কিন্তু কুরটিস ক্যামফারের অফস্টাম্পের বেশ বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে এজড হয়ে তাকে ফিরতে হয়েছে ১৫ বলে ২২ রান করে, যদিও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ঠিক সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি।
হৃদয় নেমেই মেরেছেন টানা দুই বাউন্ডারি, ওপাশে যোগ দিয়েছেন সাইফও। দুজনের জুটিতে ৩১ বলে উঠেছে ৫২ রান। অবশ্য অতি-আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে ফিফটিটা মিস করেছেন গেটট্যাকের ওয়াইড-লাইনের বাইরের বলে এজড হয়ে, এর আগে ইমার্জিং অধিনায়ক ৩৬ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছয়। এরপর শামিম শুরু করেছিলেন ঝড়, ১৪ বল ক্রিজে ছিলেন, খেলেছেন ১১ বল, করেছেন ২৮ রান, এর মাঝে ৪টিই মেরেছেন ছয়। হৃদয়ের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে রান-আউট হয়েছেন, তবে ১৬ ওভারেই ১৫০ ছুঁয়ে ফেলেছে ইমার্জিং।
হৃদয় ফিফটি পূর্ণ করেছেন লিটলকে চার মেরে, ৩০ বলে। শেষ ওভারে পিটার চেজের বলে ফিরেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও আর ৩৫ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৫৮ রান করা হৃদয়। শেষ ৪ ওভারে ইমার্জিং টিম তুলেছে ৩৪ রান।
ইমার্জিং এরপর পারফেক্ট শুরু পেয়েছে সুমনের বোলিংয়ে, স্লাইস করতে গিয়ে তার বলে থার্ডম্যানে ধরা পড়েছেন গ্যারেথ ডিলানি। ডোহেনি ও অধিনায়ক হ্যারি টেকটর অবশ্য সে চাপ সামাল দিয়েছিলেন, পাওয়ারপ্লেতে উলভস তুলেছিল ৪১ রান। সে দুজনের ৪৫ রানের জুটি ভেঙেছে পাওয়ারপ্লের পর প্রথম ওভারেই, তানভির ইসলামের কুইকার ডেলিভারিতে টেকটর বোল্ড হওয়াতে।
লরকান টাকার এরপর একপাশে ছিলেন, তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে রানতাড়ায় খেই হারিয়েছে উলভস। ২৪ বলে ২৯ রান করে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে ক্যাচ দিয়েছেন স্টিফেন ডোহেনি, পরে ২২ বলে ৩৮ রান করা টাকারকেও ফিরিয়েছেন তিনি। মাঝে ক্যামফার ও নিল রককে ফিরিয়েছেন যথাক্রমে তানভির ও শামিম।
শেষ ৬ ওভারে উলভসের প্রয়োজন ছিল ৭৪ রান, তবে ১১ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে গেছে তারা। শেষ ৪ উইকেটের তিনটি নিয়েছেন সুমন, একটি সাইফ। পরে ম্যাচসেরাও হয়েছেন বাংলাদেশ ইমার্জিং টিমের অধিনায়ক সাইফ।