সাকিবের আইপিএল অনাপত্তিপত্রের ব্যাপারে নতুন করে 'চিন্তা করবে' বিসিবি
সাকিব আল হাসানের আইপিএলে খেলার অনাপত্তিপত্রের ব্যাপারে ‘চিন্তা করে দেখবে’ বিসিবি। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকফ্রেঞ্জিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তার ছুটির চিঠি বিসিবি ঠিকঠাক পড়ে দেখেনি, সাকিব এমন অভিযোগ তোলার পর বিসিবির এক মিটিং শেষে এমন জানিয়েছেন বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।
রবিবার বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের বাসভবনে এক মিটিংয়ের পর আকরাম বলেছেন, সাকিবের সাক্ষাতকার পুরোটা দেখার পর ‘কাল-পরশু’র (সোম-মঙ্গলবার) মাঝে তার অনাপত্তিপত্রের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। তার কথা অনুযায়ী, যেহেতু সাকিব টেস্ট খেলতে চান না সেটি বলেননি বলে দাবি করেছেন, ফলে শ্রীলঙ্কা সিরিজে ‘আগ্রহ থাকলে’ সাকিব যাবেন।
“অনেক কথার মধ্যে একটা কথা শুনেছি যে ও (সাকিব) চিঠি দিয়েছে এবং আমি নাকি চিঠি পড়িনি। ঠিক আছে আমি যেহেতু চিঠি পড়িনি, ভুল বুঝতে পেরেছি যেটা ও টেস্ট খেলতে চাচ্ছে ওর কথায় বোঝা গেছে”, বলেছেন আকরাম। “কাল পরশু আমি বোর্ডের সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে অনাপত্তিপত্রের ব্যাপারে চিন্তা করব। আগ্রহ থাকলে ও টেস্ট খেলবে, ও যাবে শ্রীলঙ্কা টেস্টে। আর বাকি যেটা আমরা দেখে সিদ্ধান্ত নেব কি করা যায় না করা যায়।”
“সাকিব যেটা বলেছে চিঠির মধ্যে আমরা শ্রীলঙ্কায় যে সিরিজটা করতে যাচ্ছি সেখানে সে না খেলে আইপিএল খেলতে চায়। তো শ্রীলঙ্কায় আমরা কী খেলতে যাচ্ছি সেটা আপনারাও জানেন আমরাও জানি সবাই জানে। তো এই কথাটা ওইখানে উল্লেখ করা আছে। তারপরও যেহেতু সে নিজের মুখে বলেছে যে সে টেস্ট খেলতে চায় তো বিবেচনা করব।”
আইপিএলে নিজের পুরোনো দল কলকাতায় খেলার কথা আছে এবার সাকিবের/আইপিএল
প্রায় ৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকায় এবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলার কথা আছে সাকিবের। আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন সাকিব, এরপর নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ছুটি নিয়েছিলেন ব্যক্তিগত কারণে। তবে এপ্রিল-মেতে শ্রীলঙ্কা সফর থেকেও ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এবারের আইপিএল।
“সাকিব এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি খেলতে চায়। টেস্ট খেলতে চায় না। আইপিএলের জন্য ছুটি চেয়েছে সে। আমরাও মনে করি কেউ খেলতে না চাইলে তাকে জোর করে খেলিয়ে লাভ নেই। তাই সাকিবকে ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড”, সাকিবের ছুটির ব্যাপারে সে সময় বলেছিলেন আকরাম।
সাকিব এর আগেও টেস্টে অনীহা দেখিয়েছেন, এমন বলেছিলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট পাপনও, “...এটা এর আগেও যে হয়নি তা না। তবে এখন একটা ব্যাপারে আমাদের মানসিকতা পরিষ্কার। আমরা কাউকে জোর করে কোথাও পাঠাবো না, যারা খেলতে চায় না তারা খেলবে না। আমরা চাই সবাই খেলুক। তবে কারো যদি জাতীয় দলের চেয়ে অন্য কোথাও খেলতে ভাল লাগে তাহলে তারা যেতে পারে, কোন বাধা নেই। এই বার্তাটা সবার জন্য, কেবল সাকিব আল হাসানের জন্য না।”
এর আগে ২০১৪ সালে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলার অনাপত্তিপত্র নিয়ে ভজকট লেগেছিল সাকিবের। সে সময় বিসিবি তাকে নিষিদ্ধও করেছিল ৬ মাসের জন্য, ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাইরের দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অনুমতি পাবেন না, বলা হয়েছিল এমনও। যদিও সেই নিষেধাজ্ঞা ও অনাপত্তিপত্র না দেওয়ার মেয়াদ-- দুটি শেষ হয়েছিল আগেভাগেই।