শেষ মুহূর্তে পরিষ্কার গোল বাতিলের পর রেগেমেগে মাঠ ছাড়লেন রোনালদো
টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল সার্বিয়ার ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করার আগেই বল গোললাইন পেরিয়ে গেছে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো গোলের আপিল করলেন, পুরো পর্তুগাল দলই আবেদন করল। কিন্তু ডাচ রেফারি তাদের হতভম্ব করে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সংকেত দিলেন। রোনালদোর প্রতিবাদ অবশ্য থামেনি, সেজন্য তাকে হলুদ কার্ডও দেখতে হলো। খানিক পরেই শেষ বাঁশি বেজে গেছে। রোনালদো নিজের আর্মব্যান্ড ছুঁড়ে ফেলে রেগেমেগে বেরিয়ে গেলেন মাঠ থেকে। এরকম একটা পরিষ্কার গোল বাতিলের পর মেজাজ হারালে অবশ্য তাকে দোষ দেওয়া যায় না।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সার্বিয়ার সঙ্গে পর্তুগালের ম্যাচে হয়েছে কাল এই বিতর্কিত ঘটনা। ২-২ গোলে সমতায় থাকার পর শেষ মুহূর্তে রোনালদো দেশকে জয় এনে দেবেন বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্ত গেছে বিপক্ষে, গোললাইন টেকনোলজিও ছিল না ম্যাচে। রোনালদোর ক্ষোভ কাটেনি ম্যাচ শেষেও। ইন্টাগ্রামে লিখেছেন, 'পুরো দেশের ক্ষতি হয়েছে এই সিদ্ধান্তে।' যদিও এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন। পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোস কোচ হিসেবে নিজের হাজারতম ম্যাচে করেছেন আসল প্রশ্নটা, কেন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মতো একটা ম্যাচে কোনো গোললাইন প্রযুক্তি নেই। ম্যাচ শেষে তার কাছে রেফারি ক্ষমা চেয়েছেন সেটাও জানিয়েছেন।
তবে পর্তুগালের ক্ষতিটা তাতে পুষিয়ে যাচ্ছে না। প্রথমার্ধে ডিয়োগো জোটার জোড়া গোলের পর জয় দেখছিল তারা। বার্নাদো সিলভার দারুণ অ্যাসিস্ট থেকে প্রথম গোল পাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জোটা। কিন্তু আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ গোল করে ব্যবধান কমান, সেই সঙ্গে ৩৯ গোল নিয়ে হয়েছেন সার্বিয়া বা সাবেক যুগোস্লাভিয়ার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। কস্টিচ ৬০ মিনিটে সমতা ফেরানোর পর ৮৮ মিনিতে এসে দশ জনের দল হয় সার্বিয়া। এরপরেই রোনালদোর সেই ঘটনা।
এই ড্রয়ের পর ৪ পয়েন্ট নিয়ে পর্তুগাল আর সার্বিয়াই গ্রুপে সবার ওপরে।