ডি ব্রুইন-ফোডেনে ডর্টমুন্ড-জয়ের পরও অস্বস্তি গার্দিওলার সিটির
প্রতিপক্ষ যেন ডর্টমুন্ড নয়, ম্যাচটা ছিল অনেকটা হয়ে পড়েছিল হালান্ড বনাম ম্যান সিটি। হালান্ড গোল পাননি, তবে ইতিহাদে অ্যাসিস্ট করে মহামূল্যবান একটা অ্যাওয়ে গোলে সাহায্য করেছেন। কেভিন ডি ব্রুইন আর ফিল ফোডেনের গোলে জয় পেয়েও ২-১ স্কোরলাইনটা তাই ঠিক স্বস্তির হয়ে আসবে না পেপ গার্দিওলার জন্য।
ম্যান সিটির সঙ্গে ডর্টমুন্ডের ম্যাচটা ছিল বেশ জমজমাট। ডর্টমুন্ড শুরু থেকেই জানান দিয়েছে, ফর্ম যতই খারাপ হোক আর অভিজ্ঞতায় যতই পিছিয়ে থাকুক তারা সিটিকে ছেড়ে কথা বলবে না। তবে রক্ষনের ভুলের জন্য শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছে তারা। ১৯ মিনিটে প্রথম গোলটা পেয়ে গেছে সিটি। প্রতি আক্রমণের শুরুটা করেছিলেন কেভিন ডি ব্রুইন, তার আস থেকে বাঁদিকে বল পেয়ে ক্রস করেছিলেন সিলভা। সেটা রিয়াদ মাহরেজের পা ঘুরে আবার আসে ডি ব্রুইনের কাছে, ঠাণ্ডা মাথায় জালে জড়িয়ে দেন ডি ব্রুইন। আজও কোনো স্বীকৃত স্ট্রাইকার ছাড়া মাঠে নেমেছিল সিটি, কিন্তু তাতে সমস্যা হয়নি। খানিক পরেই আবার এগিয়ে যেতে পারত, এবার বক্সের ভেতর এমরে কান রদ্রিকে ফেলে দিয়েছিলেন বলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। কিন্তু ভিএআরের পরামর্শে রিপ্লে দেখার পর সিদ্ধান্ত বদলে যায়, সিটি আর পেনাল্টি পায়নি। তবে খানিক পরেই ডর্টমুন্ড পেতে পারত গোল। একটা বল ধরতে গিয়ে ভুল করে ফেলেছিলেন এডারসন, সেটা ছোঁ মেরে নিয়ে বল জালে জড়িয়ে দিচ্ছিলেন ডর্টমুন্ডের জুড বেলিংহাম। কিন্তু রেফারি বাঁশি বাজান ফাউলের, যদিও সিদ্ধান্তটা নিয়ে বিতর্ক ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধে সিটির জালে বল প্রায় ঢুকিয়েই দিচ্ছিলেন বিস্ময়বালক হালান্ড। দারুণ একটা থ্রু ধরে শারীরিক শক্তিতে সিটি ডিফেন্ডারকে ছিটকে শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু সে যাত্রা সিটিকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন এডারসন।
তবে এর পরেই নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় সিটি। ডি ব্রুইন দেখিয়েছেন, কেন তাকে এই সময়ের সেরাদের একজন মনে করা হয়। মধ্যমাঠ থেকে পাস নিয়ে ডর্টমুন্ডের বাধা টপকে তার নেওয়া শট চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে। খানিক পর বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ে শট করেছিলেন ফোডেন, কিন্তু সেটাও জাল খুঁজে পায়নি।
তবে সিটির একের পর এক সুযোগ হারানোর মাশুল বুঝিয়ে দিয়েছে ডর্টমুন্ড। ৮৪ মিনিটে বেলিংহামের বল থেকে হালান্ডের বাঁপায়ের মাপা বল খুঁজে নেয় রয়েসকে। ইনসাইড আউট করে জালে জড়িওয়ে দেন বল। কিন্তু সেই আনন্দ খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। খানিক পরেই ডি ব্রুইনের আরেকটি দুর্দান্ত বল থেকে গুন্ডোয়ানের দারুণ রিসিভের পর ফোডেন ঠাণ্ডা মাথায় গোল করে আবার এগিয়ে দেন সিটিকে। তবে অ্যাওয়ে গোলে ডর্টমুন্ডের আশা টিকে আছে ভালোমতোই।