• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    আশা জাগিয়েও পারেনি বায়ার্ন, হেরেও সেমিতে পিএসজি

    আশা জাগিয়েও পারেনি বায়ার্ন, হেরেও সেমিতে পিএসজি    

    হান্সি ফ্লিক বলেছিলেন, প্যারিসে এসে তাদের একটা মিনি আপসেট করতে হবে। সেটার জন্য প্রাণপণ চেষ্টাই করেছে বায়ার্ন, পিএসজিকে তাদের মাঠে এসে হারিয়েছেও ১-০ গোলে। কিন্তু সেমিফাইনালে ওঠার জন্য সেটা যথেষ্ট ছিল না। ৩-৩ অ্যাগ্রিগেট ড্রয়ের পর অ্যাওয়ে গোলের জন্য পিএসজিই চলে গেছে শেষ চারে। সেই সঙ্গে নেওয়া হয়েছে গতবারের ফাইনালের প্রতিশোধ। আর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন বিদায় নিয়েছে এবারের প্রতিযোগিতা থেকে। 

    প্রথম লেগে ৩-২ ব্যবধানে হেরে খানিকটা কোণঠাসা ছিল বায়ার্ন। স্কোরলাইনটা এমন ছিল, বায়ার্নের বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই। পরের পর্বে যেতে হলে গোল করতেই হবে এবং সেটা অন্তত দুই গোল। সেজন্য ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের নেশাতেই ছিল তারা। ১০ মিনিটের মধ্যেই নেইমার- এমবাপে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ভয় ধরিয়েছিলেন বায়ার্নকে দুইবার। কিন্তু গোলটা আর পায়নি। 

    একটু গুছিয়ে খেলায় ফেরার চেষ্টা করে বায়ার্ন। লেরয় সানে বাঁ পায়ে আরেকটি ক্লিনিক্যাল হতে পারলে আধ ঘন্টা পরেই এগিয়ে যেতে পারত তারা। এরপর জশুয়া কিমিখের শটও চলে যায় বার ঘেঁষে। এর মধ্যে নেইমারের একটা শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন নয়্যার। দারুণ আরেকটা কাউন্টার অ্যাটাক থেকে এমবাপের পাসে নেইমারের শট বাঁচিয়ে দেন নয়্যার। কিন্তু এরপরেই দুবার গোলের একদম কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন নেইমার। প্রথমবারের চেষ্টাটা দুর্দান্ত বললেও কম বলা হবে। ডি মারিয়ার ফ্রিকিক থেকে বায়ার্নের ক্লিয়ারের পর বল পান নেইমার। বাঁ পায়ে ফ্লিকের পর ডান পায়ের ইনসাইড আউট করে নেওয়া দারুণ শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। খানিক পর এমবাপের পাস থেকে আবার নেইমারের শট, এবারও ফিরে আসে পোস্টে লেগে। কয়েক মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যাওয়ার দুইটি সুবর্ণ সুযোগ হারায় তারা।

    তবে সেই সুযোগটাই নেই বায়ার্ন। ডেভিড আলাবার শট নাভাস ফিরিয়ে দেওয়ার পর সেটা পেয়ে যান চুপো মটিং,দুই গজ দূর থেকে হেড করে জালে জড়িয়ে দেন। খানিক পর আলাবার শট আবার ফিরিয়ে দেন নাভাস।  ৫২ মিনিটে সমতা ফেরানোর আরও কাছাকাছি চলে গিয়েছিল পিএসজি, আরও নির্দিষ্ট করে বললে আবারও নেইমার। এবার এমবাপের পাস থেকে ডি মারিয়া বাড়িয়ে দেওয়া বলে ইঞ্চির জন্য পা লাগাতে পারেননি নেইমার, সেটা হলেই হয়ে যেত গোল। 

    পিএসজি অবশ্য এরপর গোলটা দিয়ে ফেলেছিল, কিন্তু এমবাপের গোলটা বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের জন্য। শেষ ১০ মিনিটে পিএসজি মরিয়া হয়ে চেষ্টা করতে থাকে গোলের জন্য। শেষ দিকে দ্বিতীয় গোলের কাছাকাছি গিয়েছিল বায়ার্ন, এবার সানের ডান পায়ের শট চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে।  এর মধ্যে বক্সে বার কয়েক বল পেয়েছিল বায়ার্ন, মনে হচ্ছিল দ্বিতীয় গোলটা পেয়েও যেতে পারে। সেটা হয়নি। পিএসজি বরং কাউন্টার অ্যাটাক থেকে সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল, কিন্তু আরেকবার বাঁচিয়ে দিয়েছেন নয়্যার। কীভাবে কীভাবে যেন পুরো ম্যাচে গোলহীনই থেকে গেছেন নেইমার। 

    কিন্তু দিন শেষে তাতে মন খারাপ করবেন না। যে সেমিফাইনাল একসময় সোনার হরিণ ছিল, পর পর দুই বছর সেখানে চলে গেছে পিএসজি। আর গত ১১ বছরের মধ্যে মাত্র দ্বিতীয়বার সেমিতে উঠতে পারল না বায়ার্ন।