• আইপিএল ২০২১
  • " />

     

    হাঁসফাঁস করতে থাকা হায়দরাবাদকে স্বস্তি দিল পাঞ্জাব

    হাঁসফাঁস করতে থাকা হায়দরাবাদকে স্বস্তি দিল পাঞ্জাব    

    গ্রুপ পর্ব, চেন্নাই (টস- পাঞ্জাব/ ব্যাটিং) 
    পাঞ্জাব কিংস ১২০ অল-আউট, ১৯.৪ ওভার (আগারওয়াল ২২, শাহরুখ ২২, গেইল ১৫, খলিল ৩/২১, অভিষেক ২/২৪, রশিদ ১/১৭) 
    সানরাইজারস হায়দরাবাদ  ১২১/১, ১৮.৪ ওভার ( বেইরস্টো ৬৩*, ওয়ার্নার ৩৭, উইলিয়ামসন ১৬*, অ্যালেন ১/২২) 
    সানরাইজারস হায়দরাবাদ ৯ উইকেটে জয়ী


    বোলারদের সম্মিলিত দারুণ পারফরম্যান্সের পর জনি বেইরস্টোর ৬৩* রানে ভর করে টুর্নামেন্টের প্রথম জয়টা সহজেই পেল হায়দরাবাদ। একটি জয়ের খোঁজে হায়দরাবাদ শুরু থেকেই পাঞ্জাব কিংসের উপর চেপে বসে মাত্র ১২০ রানেই আটকে ফেলে, জবাবে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের দায়িত্বশীল ৩৭ রানের ইনিংসের পরে বেইরস্টোর দারুণ ইনিংসে ৯ উইকেটে তারা উড়িয়ে দিয়েছে পাঞ্জাবকে। এই এক জয়েই টেবিলে পাঁচে উঠে এসেছে হায়দরাবাদ, পাঞ্জাব নেমে গেছে আটে।  

    লক্ষ্য ছোট হলেও দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আর জনি বেইরস্টো যেন নেমেছিলেন ম্যাচ শেষ করার প্রতিজ্ঞা নিয়েই, উইকেটে বল গ্রিপ করে ব্যাটে ধীরে আসলেও বুঝেশুনে বাজে বল মারতে ভুল করেননি কেউই। পাঞ্জাব কিংসের বোলাররা খুব একটা সুবিধা করতে না পারায় কোন উইকেট না হারিয়েই পাওয়ারপ্লেতে ৫০ রান তুলে ফেলে হায়দরাবাদ। প্রচণ্ড উত্তাপের মাঝে নিয়মিত প্রান্ত বদল করার ক্লান্তি থেকেই যেন ওয়ার্নার হাত খোলার সিদ্ধান্ত নেন, দীপক হুডাকে দারুণ এক ছয় মারার পরের ওভারেও একই কাজ করতে গেলে ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের বলে ডিপ মিড উইকেটে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সমানসংখ্যক বলে ৩৭ রান করে।

    তবে এরপরে আর বলার মত কিছুই করতে পারেনি কিংস বোলাররা। এদিনই প্রথম খেলতে নামা কেন উইলিয়ামসন এসে স্বভাবজাতভাবে প্রান্ত বদল করে বেইরস্টোকে দিয়েছেন আরও স্বাধীনতা, নিজে ছিলেন ১৯ বলে ১৬ করে অপরাজিত।      

    এই আসরে এখনো জয়ের দেখা না পাওয়া হায়দরাবাদ গত ম্যাচে ৪ পরিবর্তনের পর এই ম্যাচে তিন পরিবর্তন নিয়ে নেমেছিল, চিপকের মন্থর উইকেটে উজ্জীবিত এক দলই মনে হচ্ছিল তাদের। দ্বিতীয় দ্রুততম খেলোয়াড় হিসাবে টি-টোয়েন্টিতে ৫০০০ রান করার একটু পরেই পাঞ্জাব অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ফিরেছিল ভুবনেশ্বর কুমারের বলে শর্ট মিড উইকেটে কেদার যাদবের কাছে ক্যাচ দিয়ে, করতে পেরেছিলেন মোটে ৪ রান। গত কয়েক বছর ধরেই ক্রিস গেইল নেমে উইকেটে একটু সময় নেন, এই ম্যাচেও ছিল না পরিবর্তন। ফলে পাওয়ারপ্লেতে আর উইকেট না হারিয়ে পাঞ্জাব তোলে ৩২ রান। 

    প্রথম ওভারেই রশিদের কাছে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেলেও শেষমেশ তার ক্যাচেই ফিরে গেছেন মায়ঙ্ক আগারওয়াল, খলিল আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে করেছেন ২৫ বলে ২২। এরপরেই পাঞ্জাবের নিয়মিত উইকেট পতন শুরু হয়ে যায়। গেইলের রানের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ওয়ার্নারের দারুণ থ্রোতে প্লাটিনাম ডাকের শিকার হতে হয়েছে দুর্বিষহ এক মৌসুম কাটানো নিকোলাস পুরানকে। এর কিছু পরে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেছেন গেইল নিজেই, রশিদ খানের কাছে পঞ্চম বারের মতো আউট হওয়ার আগে ১৭ বলে করেছেন ১৫ রান।

    মাঝের ওভারগুলোতে দারুণ বল করে দুই স্পিনার কিংসদের হাত খোলার কোন সুযোগই দেননি। চার ওভারের কোটা পূর্ণ করে অভিষেক শর্মা ২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন দীপক হুডা আর মইসেস হেনরিকসের উইকেট। গেইলের এক উইকেট নিয়ে রশিদ গুনেছেন মোটে ১৭ রান। লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানরাও খলিল ও সিদ্ধার্থ কৌলের দারুণ ডেথ বোলিংয়ে কোন সুবিধা করতে পারেননি। শাহরুখ খান একটু চেষ্টা করলেও ১৭ বলে ২২ রানে গিয়েই থেমেছে তার ইনিংস। স্লোয়ার বলের মোক্ষম ব্যবহারে চার ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন খলিল। ইনিংসের কোন পর্যায়েই মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারা পাঞ্জাব থেমেছে ১২০ রানে। সানরাইজারস হায়দরাবাদের বিপক্ষে এটা পাঞ্জাবের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর, এই মাঠে এই মৌসুমে সর্বনিম্ন।