দ্বিতীয় টেস্টেও সাইফ, পেসে প্রাধান্য আগের তিনজনই
দ্বিতীয় টেস্টে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করতে নামবেন সাইফ হাসান, আগের ম্যাচের তিন পেসারকেই প্রাধান্য দেওয়া হলেও তাদের ওয়ার্কলোডের ওপর নির্ভর করছে তাদের একাদশে থাকা, পাল্লেকেলের উইকেট হতে পারে প্রায় আগের মতোই- ম্যাচের আগে জানিয়েছেন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। প্রথম টেস্ট ড্র করার পর বাংলাদেশ সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই নামবে, বলেছেন তিনি।
পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের পর শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম টেস্টে সুযোগ পেয়েছেন সাইফ, এবার তাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল সাদমান ইসলামের আগে। তবে ব্যাটিং-সহায়ক কন্ডিশন কাজে লাগাতে পারেননি তিনি, প্রথম ইনিংসে শূন্যতেই ভিশ্ব ফার্নান্ডোর বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার পর দ্বিতীয়বার সুরাঙ্গা লাকমালের বলে কট-বিহাইন্ড হওয়ার আগে করেছিলেন মাত্র ১ রান। তবে সাইফকে আরেকবার সুযোগ দিতে চান ডমিঙ্গো।
“আমি অবশ্যই তাকে সুযোগ দিতে চাই। টেস্টে ওপেন করাটা কঠিন, অনেকেই একটু সময় নেয় মানিয়ে নিতে। আমরা কাল তাকে আরেকবার সুযোগ দিতে চাই। (আর) বাঁহাতি-ডানহাতি কম্বিনেশন থাকাটাও ভাল একটা ব্যাপার। সাইফ কাল খেলবে”, ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ হেড কোচ।
প্রথম টেস্টে উইকেট সবুজাভ থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাটিং-স্বর্গে, সেখানে তিন পেসার নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডেও পরিবর্তন নেই কোনও। ফলে প্রথম টেস্টে খেলা তিন পেসার- তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহি, এবাদত হোসেনের সঙ্গে স্কোয়াডে পেসে অপশন শরিফুল ইসলাম।
ডমিঙ্গো বলছেন, পেস-আক্রমণে আগের একাদশের তিনজনকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে, তবে তাদের খেলা নির্ভর করছে তাদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের ওপর, “আমার মনে হয় তারা এই মুহুর্তে আমাদের শীর্ষ তিন পেসার। আমি শরিফুলেও মুগ্ধ হয়েছি, যে নেটে দারুণ কিছু করে দেখিয়েছে। (তবে) আমি আগের তিনজনকেই রাখতে চাই। কিন্তু আমাকে তাদের ওয়ার্কলোডের ব্যাপারও দেখতে হবে, যেহেতু কদিন আগেই আগের টেস্ট ছিল। তাসকিন ৩৭ ওভার বোলিং করেছে, এবাদত ৩০-এর মতো, রাহি ২০-এর মতো। তারা যাতে শতভাগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে, আমার সেটি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা দুদিন ছুটি দিয়েছিলাম তাদের। আজকের হালকা অনুশীলনে তারা কেমন করছে, সেটি দেখব আগে।”
মূলত এ ম্যাচের তাদের খেলার প্রায় পুরোটাই নির্ভর করছে কতোখানি ‘ফিট’ আছেন, সেসবের ওপর, “কটা প্রশ্নের জবাব পেতে হবে আগে- মাত্র দিন তিনেক আগে এই গরমে যে তিনজন খেলল, তাদের জন্য ব্যাপারটা কেমন ছিল। ৩০-৩৫ ওভারে বোলিং করেছে, শারীরিক দিক দিয়ে আবার করতে পারবে কিনা, সেটি দেখতে হবে। আগে সেটি দেখব আমরা।”
প্রথম টেস্টে তিন পেসারের মাঝে সবচেয়ে উজ্জ্বল বলতে হবে ২০১৭ সালের পর আবারও এই ফরম্যাটে ফেরা তাসকিনকেই। সুযোগ তৈরি করেছিলেন এবাদতও। যদিও এমন উইকেটে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি রাহি। তবে ডমিঙ্গো বলছেন, এখনও অনভিজ্ঞ এই পেস আক্রমণকে যথেষ্ট সুযোগ দিতে হবে আগে। প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টের উইকেটও ব্যাটিং-সহায়ক হতে যাচ্ছে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি, “আমরা গতকাল (মঙ্গলবার) দেখেছিলাম উইকেট, বেশ ভালই দেখতে। আজ এখনও দেখিনি, কাভারে ঢাকা আছে।”
আর এবারও পাঁচ বোলার-ছয় ব্যাটসম্যানের কম্বিনেশন নিয়ে নামার কথা বলেছেন তিনি। তার মতে, সাকিব আল হাসানের মতো অলরাউন্ডার না থাকাতে এমন কম্বিনেশনের দিকে যেতে হয়েছে তাদের, “আমি নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলব আগে। তবে আমার মনে হয় সামনে এগুনোর উপায় এটিই। যখন দলে সাকিবকে পাবেন, তাহলে সাত ব্যাটসম্যান খেলাতে পারেন। অমন অলরাউন্ডার না থাকলে তো আমাদের সাহসী হতে হবে, পাঁচজন বোলার লাগবে যারা ২০ উইকেট নিতে পারে। যদি পুরোটাই আমার ওপর হতো, তাহলে আমি এমনই করতাম। তবে নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে, আর এমন সিদ্ধান্তে আসতে হবে যেটির পক্ষে সবাই।”