গ্রানাডার কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ধাক্কা খেল বার্সেলোনার
সনবকিছুই এগুচ্ছিল চিত্রনাট্য অনুযায়ী। লিওনেল মেসি গোল পেয়েছিলেন, বার্সা এগুচ্ছিল জয়ের পথে। কিন্তু গ্রানাডা এলোমেলো করে দিল সব, দুই গোল দিয়ে ন্যু ক্যাম্পে এসে পেয়ে গেল জয়। ২৪টি হারের পর এই প্রথম তারা ন্যু ক্যাম্পে পয়েন্ট পেল। আর সেই জয়ে এলোমেলো হয়ে গেল বার্সার শিরোপাস্বপ্ন।
অথচ এই জয়টা বার্সার জন্য রুটিনই মনে হচ্ছিল। ম্যাচের শুরুতেই ফ্রাংকি ডি ইয়ং এগিয়ে দিতে পারতেন, কিন্তু তিনি ক্রস করতে গিয়ে নষ্ট করেছেন সুযোগ। গোলের জন্য বার্সাকে অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। সেই গোলটা এসেছে মেসি-গ্রিজমানের দুর্দান্ত যুগলবন্দিতে। দুর্দান্ত ওয়ান টুর পর মেসির মাপা শট থেকে এসেছে গোল। ম্যাচের তখন মাত্র ২৩ মিনিট। এরপর গ্রানাডাকে ভালোমতোই চেপে ধরে বার্সা।
দ্বিতীয়ার্ধেও এগিয়ে যাওয়ার দুইটি দারুণ সুযোগ পেয়েছিল। একবার বক্সে বল পেয়ে টাররন করে ডান পায়ে শট করেছিলেন গ্রিজমান, চলে যায় বাইরে। খানিক পর বুসকেটসের দুর্দান্ত থ্রু বল থেকে মেসি গোল প্রায় দিয়েই দিয়েছিলেন, কিন্তু গ্রানাডা গোলরক্ষক পা দিয়ে সেটা নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দিয়েছেন। তখন মনে হচ্ছিল বার্সার জন্য আরেকটা গোল সময়ের ব্যাপার।
এরপরেই জেগে ওঠে গ্রানাডা। দারুণ একটা থ্রু থেকে বল পেয়েছিলেন মাচিস, তাতে অবশ্য মিনগুয়েজার দায় ছিল। মাচিস ঠাণ্ডা মাথায় বল জড়িয়ে দিয়েছেন জালে। গোল খেয়ে মিনগুয়েজাকে নামিয়ে দেম্বেলেকে ওঠান কোমান, কিন্তু এর মধ্যেই লাল কার্ড দেখে চলে যান মাঠের বাইরে। কিন্তু দ্বিতীয় গোল দেওয়া দূরে থাক, উলটো খেয়ে বসে। এবারও রক্ষনের দায় ছিল, জেরার্ড পিকে একটা ক্রস ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ায় মলিনা পেয়ে যান। হেড করে দলকে এগিয়ে দেন। শেষ দিকে চেষ্টা করেও আর গোল করতে পারেনি বার্সা, গ্রানাডার রক্ষণ ছিল জমাট।
এই হারের পর ৭১ পয়েন্ট নিয়ে বার্সা চলে গেল তিনে। সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল, ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অ্যাটলেটিকো। ৭০ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে সেভিয়া।