• বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর ২০২১
  • " />

     

    জয়াবিক্রমার স্বপ্নের অভিষেকে পিষ্ট বাংলাদেশ, সিরিজ শ্রীলঙ্কার

    জয়াবিক্রমার স্বপ্নের অভিষেকে পিষ্ট বাংলাদেশ, সিরিজ শ্রীলঙ্কার    

    দ্বিতীয় টেস্ট, পাল্লেকেলে (টস-শ্রীলঙ্কা/ব্যাটিং)
    শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস ৪৯৩/৭ ডিক্লে., ১৫৯.২ ওভার (করুনারত্নে ১১৮, থিরিমান্নে ১৪০, ফার্নান্ডো ৮১, ডিকওয়েলা ৭৭, তাসকিন ৪/১২৭, শরিফুল ১/৯১, তাইজুল ১/৮৩, মিরাজ ১/১১৮) ও ২য় ইনিংস ১৯৪/৯ (করুনারত্নে ৬৬, ডি সিলভা ৪১, নিসাঙ্কা ২৪, তাইজুল ৫/৭২, মিরাজ ২/৬৬, সাইফ ১/২২)
    বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ২৫১ অল-আউট, ৮৩ ওভার (তামিম ৯২, মুমিনুল ৪৯, মুশফিক ৪০, সাইফ ২৫, জয়াবিক্রমা ৬/৯২, লাকমাল ২/৩০, মেন্ডিস ২/৮৬) ও ২য় ইনিংস ২২৭ (মুশফিক ৪০, মিরাজ ৩৯, সাইফ ৩৪, মুমিনুল ৩২, শান্ত ২৬, জয়াবিক্রমা ৫/৮৬, মেন্ডিস ৩/৮৬) 
    শ্রীলঙ্কা ২০৯ রানে জয়ী ও সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জয়ী


    প্রভিন জয়াবিক্রমার স্বপ্নের অভিষেক ম্যাচে দ্বিতীয়বার পাওয়া পাঁচ উইকেটে শেষদিনে এক সেশনও টিকতে পারেনি বাংলাদেশ, দেড় ঘন্টার ভেতরই তারা গুটিয়ে গেছে ২২৭ রানে। ২০৯ রানের বড় ব্যবধানে জিতে ১-০-তে সিরিজ জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন জয়াবিক্রমা, প্রথম শ্রীলঙ্কান হিসেবে অভিষেকে দশ উইকেট পাওয়ার কীর্তি গড়লেন তিনি। ২০০৮ সালের পর যে কোনো দেশের বোলার হিসেবেও ম্যাচে দশ উইকেট পেলেন তিনি। 

    আগেরদিনই অনেকখানি পিছিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সামনে ছিল অথৈ পাথার, সেটিতে ডুবতে খুব বেশি সময় নেয়নি তারা। দিনের তৃতীয় ওভারে জয়াবিক্রমার দারুণ বাঁহাতি ফিঙ্গার-স্পিনের শিকার হয়েছেন লিটন দাস। আগের বলটি স্পিন করে বিট করেছে তার আউটসাইড-এজ, পরের বলটি সোজা হয়ে আঘাত হেনেছে প্যাডে। কুমার ধর্মসেনার আউটের সিদ্ধান্ত রিভিউ করেছিলেন লিটন, তবে কাজ হয়নি তাতে। এ উইকেট দিয়েই শ্রীলঙ্কার অভিষেক ম্যাচে সেরা বোলিং ফিগারের কীর্তি হয়ে গিয়েছিল জয়াবিক্রমার।

    তাইজুল ইসলাম কিছুক্ষণ ক্রিজ আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করেছেন, তবে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বাড়তি বাউন্সের বলে ব্যাট চালিয়ে আন্ডার-এজড হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। মিরাজের সঙ্গে তার জুটি টিকেছিল ১১ ওভার, তিনি খেলেছেন ৩০ বল। 

    এরপর তাসকিন আহমেদও তাইজুলের মতো একটু থাকার চেষ্টা করেছিলেন, রমেশ মেন্ডিসের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে বল আকাশে তুলে ফিরতে হয়েছে তাকে। এতক্ষণ টিকে থাকা মিরাজ অনুসরণ করেছেন তাকে একটু পরই। জয়াবিক্রমাকে সুইপ করেছিলেন, তবে সেটি আগেভাগেই বুঝে ফেলে শর্ট লেগ থেকে সরে যাওয়া পাথুম নিসাঙ্কার হাতে ধরা পড়তে হয়েছে তাকে, ৮৬ বলে ৩৯ রান করার পর। জয়াবিক্রমার সেটি ম্যাচে দশম শিকার, ইতিহাসে এর আগে মাত্র ১৫ জন বোলারের আছে এই কীর্তি।  

    আবু জায়েদ রাহিকে দিয়ে ম্যাচ ফিগারের উইকেটসংখ্যা এগারতে নিয়ে গেছেন এই ২২ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার। তীক্ষ্ণ টার্ন মিস করে রাহি হয়েছেন এলবিডব্লিউ। রিভিউ করেছেন, তবে সেটি শ্রীলঙ্কার চূড়ান্ত উদযাপনটা বিলম্বিত করেছে একটু। এ উইকেট দিয়ে জয়াবিক্রমার ম্যাচ ফিগার দাঁড়িয়েছে ১৭৮ রানে ১১ উইকেট, যা যে কোনো বাঁহাতি স্পিনারের অভিষেকে সেরা। এর আগে ১৯৫০ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ২০৪ রান দিয়ে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলফ ভ্যালেন্টাইন।