• আইপিএল ২০২১
  • " />

     

    কীভাবে আইপিএলের বলয় ভাঙলো- জানেন না গাঙ্গুলি, বিসিসিআইয়ের সম্ভাব্য ক্ষতি ২৫০০ কোটি রুপি

    কীভাবে আইপিএলের বলয় ভাঙলো- জানেন না গাঙ্গুলি, বিসিসিআইয়ের সম্ভাব্য ক্ষতি ২৫০০ কোটি রুপি    

    কীভাবে আইপিএলের বায়ো-সিকিউর বলয়ে কোভিড-১৯ প্রবেশ করলো, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন সৌরভ গাঙ্গুলি। তবে বিমানভ্রমণ একটা কারণ হতে পারেন বলে মনে করেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আবারও এটি চালু করা যায় কিনা- সে ব্যাপারে কাজ করবেন তারা, তবে এ বছর আর আইপিএল না করতে পারলে প্রায় ২৫০০ কোটি রুপি (প্রায় ৩৪০ মিলিয়ন ইউএস ডলার) ক্ষতি হবে বলে ভারতের দ্য টেলিগ্রাফকে জানিয়েছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট গাঙ্গুলি। 

    গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিনটি ভেন্যুতে হয়েছিল আইপিএল, তবে ছিল না বিমানভ্রমণ। সড়কপথেই এক ভেন্যু থেকে আরেকটিতে গিয়েছিল দলগুলি। এবার ক্যারাভান মডেলে ছয়টি ভেন্যুতে হওয়ার কথা ছিল লিগ, যেখানে একইসঙ্গে দুটি ভেন্যুতে ছিল খেলা। চেন্নাই ও মুম্বাই লেগের পর স্থগিত হয়ে যাওয়ার আগে চলছিল দিল্লি ও আহমেদাবাদে, এরপর যাওয়ার কথা ছিল কলকাতা ও বেঙ্গালুরুতে, প্লে-অফের জন্য আবারও ফেরার কথা ছিল আহমেদাবাদে। তবে এক শহর থেকে আরেক শহরে যেতে এখানে আকাশপথ ছাড়া উপায় ছিল না। বাণিজ্যিক বিমানের বদলে ভাড়া করা বিমানের ব্যবস্থা করা হলেও বিমানবন্দরে নিরাপত্তা-ব্যবস্থার মাঝ দিয়ে যেতে হয়েছে দলগুলিকে, প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ‘আলাদা’ করা থাকলেও। 

    “আমি সত্যিই জানি না কী কারণে বায়ো-সিকিউর বলয়ে এই পরিস্থিতি হলো। কারণ খুঁজে বের করতে ময়নাতদন্ত করতে হবে আমাদের। তবে ভ্রমণ একটা ইস্যু হতে পারে”, বলেছেন গাঙ্গুলি। 

    “গতবার আরব আমিরাতে সবকিছু তিনটা ভেন্যুর মাঝে সীমাবদ্ধ ছিল। আকাশপথে ভ্রমণ ছিল না। এবার আমাদের ছয়টি ভেন্যুতে ছিল খেলা। আবার আপনাকে দেশের অবস্থাও দেখতে হবে। যে হারে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিদিন, এটা খুবই খ্যাপাটে একটা ব্যাপার। কাল কী হবে, কেউ জানে না। সবার জন্যই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।” 

    আইপিএলে নির্ধারিত সূচিতে এখনও বাকি আছে ৩১ ম্যাচ। স্থগিত হওয়ার পরে দেওয়া বিবৃতিতে আবার কবে চালু হবে এই লিগ, সে ব্যাপারে কোনোকিছু নিশ্চিত করেনি বিসিসিআই। গাঙ্গুলি বলছেন, অনেক ব্যাপারে কাজ করতে হবে তাদের, “অনেক কিছু এদিক-ওদিক করতে হবে। মাত্র একদিন হয়েছে আইপিএল স্থগিত করার। অন্য বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে হবে, যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে উইন্ডো পাওয়া যায়। অনেক কিছু সম্পৃক্ত এখানে, ধীরে ধীরে আমরা কাজ শুরু করব।” 

    অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতেই হওয়ার কথা আছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে এপ্রিল-মেতে যেমন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচিত একটা অলিখিত উইন্ডো থাকে আইপিএলের জন্য, অন্য সময় সেটি বের করা নিশ্চিতভাবেই কঠিন হয়ে পড়বে তাদের জন্য, বিশেষ করে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে। এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও হতে পারে আরব আমিরাতে। 

    গত বছরও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে নির্ধারিত সময়ের পরে সেপ্টেম্বরে গিয়ে শুরু হয়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই লিগ। এবার শেষ পর্যন্ত তেমন না করা গেলে বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বোর্ডকে, বলেছেন গাঙ্গুলি, “যদি আইপিএল শেষ করতে না পারি, তাহলে ২৫০০ কোটি রুপির মতো ক্ষতি হবে। তবে এটা প্রাথমিক ধারণা।”