• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    শেষ মুহূর্তে সিটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রেলার জিতল চেলসি

    শেষ মুহূর্তে সিটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রেলার জিতল চেলসি    

    নির্ধারিত সময়ের খেলা প্রায় শেষ। বক্সের ডান দিকে বল পেলেন ক্যালাম হাডসন ওদয়। দিলেন টিমো ভের্নারকে, তার লো ক্রসটা শট করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়েও কীভাবে যেন জালে জড়িয়ে দেন মার্কোস আলোন্সো। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের ড্রেস রিহার্সেলে চেলসি পেল ২-১ গোলের জয়। শিরোপার জন্য সিটির অপেক্ষা বাড়ল আরেকটু, আর চেলসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিশ্চিত করার দিকে আরেক ধাপ এগুল।

    মূল একাদশের নয়জনকে বিশ্রাম দিয়ে নামিয়েছিলেন গার্দিওলা। ঘটনাবহুল ম্যাচের প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় ম্যান সিটি। সেটাও অবশ্য প্রথমার্ধ শেষের ঠিক আগে। একটা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ক্রিশ্চিয়েনসেন ইনজুরড হয়ে যান, সেটা পেয়ে যান গ্যাব্রিয়েল জেসুস। তার কাটব্যাকটা আগুয়েরোর কাছেই ছিল, কিন্তু আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের ফার্স্ট টাচটা ছিল বাজে। ভাগ্য ভালো, রাহিম স্টার্লিং পেছনেই ছিল। আগুয়েরোর মুখ থেকে খাবার কেড়ে নিয়েই বলটা জালে জড়িয়ে দিলেন, এগিয়ে গেল সিটি। খানিক পর অবশ্য আগুয়েরো নিজেই গোল করতে পারতেন। বক্সের ভেতর জেসুসকে ফেলে দেন গিলমোর, পেনাল্টি পায় সিটি। কিন্তু পানেনকা মারতে গিয়ে একেবারে গুলিয়ে ফেলেন আগুয়েরো, হাস্যকরভাবে বলটা চলে যায় মেন্ডির কাছে। সেটা ধরতে সমস্যাই হয়নি মেন্ডির।

    তখন মনে হচ্ছিল, সিটির জন্য শিরোপা সময়ের ব্যাপার। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় চেলসি, একের পর এক আক্রমণ শাণাতে থাকে। গোলটা পেয়ে যায় রদ্রি একটা বল মিস করলে। সেখান থেকে পেয়ে যান জিয়েশ, রিস জেমসের সাথে পাস বিনিময়ের পোর্ট সেটা পান বক্সের মাথায়। লো শতে বল জালে জড়িয়ে দেন।

    এরপর খেলা জমে উঠতে থাকে, চেলসির দুইটি গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায়। শেষের দিকে জুমা স্টার্লিংকে ফেলে দিলে সিটির পেনাল্টির আপিল ছিল, কিন্তু সেটা ভিএআরে পক্ষে যায়নি। সিদ্ধান্তটা নিয়ে যখন গার্দিওলা ক্ষোভে ফুঁসছিলেন, তখনই দারুণ একটা আক্রমণের পর গোল দিয়ে দেয় চেলসি। ২০১৯ সালের পর ৩১ ম্যাচ পর প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েও ম্যাচে হেরে গেল সিটি।