ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় একইসঙ্গে দুটি আলাদা সফরে থাকতে পারে ভারতের দুই দল
জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির দুটি সিরিজ খেলতে পারে ভারত। তবে সে সিরিজের দলে থাকবেন না আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য ভারত স্কোয়াডে থাকা কেউ। ফলে দুটি ভিন্ন দেশে দুটি ভিন্ন সফরে একই সময়ে থাকতে পারে ভারতের দুটি ভিন্ন আন্তর্জাতিক দল, জানিয়েছে ক্রিকইনফো, ক্রিকবাজ।
আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে ভারত, সেটি হবে ১৮-২২ জুন। এরপরই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ইংল্যান্ড সফরে ভারতের যাওয়ার কথা ২ জুন। তবে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি বলেছেন, জুলাইয়ে সীমিত ওভারের সিরিজের জন্য শ্রীলঙ্কা যাবে ভারত, যেটি হবে ২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফির পর সে দেশে তাদের প্রথম সফর। ক্রিকইনফো জানিয়েছে, ১৩, ১৬ ও ১৯ জুলাই তিনটি ওয়ানডের পর ২২, ২৪ ও ২৭ জুলাই হবে তিনটি টি-টোয়েন্টি।
তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে থাকবেন না ইংল্যান্ড সফরে থাকা ভারত স্কোয়াডের কেউ। ফলে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রবীন্দ্র জাদেজা, লোকেশ রাহুল, জাসপ্রিত বুমরাহরা থাকবেন ইংল্যান্ডেই। সেক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতীয় দলে থাকতে পারেন পৃথ্বি শ, শিখর ধাওয়ান, ভুবনেশ্বর কুমার, হারদিক পান্ডিয়া, যুঝভেন্দ্র চেহেল, কুলদিপ যাদব, জয়দেভ উনাডকটরা। এ দলের কোচিংয়ে ভারতের এ দল ও জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির পরিচালক রাহুল দ্রাবিড়ের থাকারও সম্ভাবনা আছে।
এর আগে ১৯৯৮ সালে দুটি ভারত দল খেলেছিল দুটি আলাদা দেশে- একটি কুয়ালালামপুরে কমনওয়েলথ গেমসে, আরেকটি কানাডায় সাহারা কাপে। সাম্প্রতিক সময়ে দুটি আলাদা দেশে প্রায় একই সময়ে দুটি সিরিজ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া- ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশের মাটিতে একটি দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলছিল টি-টোয়েন্টি সিরিজ, একই সময়ে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলছিল আরেকটি দল।
গত বছরও নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকায় আলাদা দুটি সিরিজ একই সময়ে খেলার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার, তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সফর স্থগিত করেছিল তারা। গত বছর ইংলিশ গ্রীষ্মে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্টের মাঝখানে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সীমিত ওভারের সিরিজ খেলেছিল ইংল্যান্ড।
এফটিপিতে ক্রমেই ঠাসা সূচির কারণে সামনে দীর্ঘ সংস্করণ ও সীমিত ওভারের সংস্করণের দুটি আলাদা গতিপথ দেখা যেতে পারে বলেও মনে করেন কেউ কেউ। তবে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড-ভারতের মতো দলের বাইরে আর কার এমন আলাদা ফরম্যাটের জন্য আলাদা দল গঠন করার শক্তিমত্তা আছে, সে প্রশ্ন অবশ্য আছেই।