নাটকীয় জয়ে সবার ওপরে অ্যাটলেটিকো, দুইয়ে রিয়াল, ছিটকে গেল বার্সা
নাটক বললেও কম বলা হয়। এ যেন কোনো ৯০ মিনিটের জমজমাট থ্রিলার। লা লিগার ভাগ্যটা যখন রিয়াল মাদ্রিদের দিকে ঝুঁকে পড়বে বলে মনে হচ্ছিল, শেষ সময়ের দুই গোলে সেটা আবার হেলে গেল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের দিকে। নিজেদের শেষ ম্যাচটা জিতলে চ্যাম্পিয়ন হবে অ্যাটলেটিকোই, তাদের পয়েন্ট ৮৩। ওদিকে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের সঙ্গে জয়ে ৮১ পয়েন্ট নিয়ে শেষ দিন পর্যন্ত আশা বাঁচিয়ে রেখেছে রিয়াল। আর সেল্টা ভিগোর সঙ্গে ২-১ গোলে হেরে আনুষ্ঠানিকভাবে ছিটকে পড়েছে বার্সা, দুই মাদ্রিদের পরে থেকেই শেষ করতে যাচ্ছে লিগ।
লা লিগায় আজ ম্যাচগুলো শুরু হয়েছিল একই সময়ে। ওসাসুনার সঙ্গে অ্যাটলেটিকোর ম্যাচে শুরু থেকেই চেপে বসে সিমিওনের দল। প্রথম ২৫ মিনিটের মধ্যেই অন্তত তিন গোলে এগিয়ে যেতে পারত তারা। এর মধ্যে একবার ফাঁকায় বল পেয়েও সুয়ারেজের শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। আরও কয়েকটা গোল হতে হতেও হয়নি তাদের। এর মধ্যে আরও একবার অ্যাটলেটিকোকে ফিরিয়ে দেয় গোলবার।
এরপরও মনে হচ্ছিল অ্যাটলেটিকো গোলটা পেয়েই গেছে। কিন্তু সাভিচের গোলে ভিএআরে বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের জন্য। এভাবে আরও একটি গোল বাতিল হয়ে যায় তাদের। একের পর এক সুযোগ নষ্টের খেসারত তাদেরকে ফিরিয়ে দেয় ওসাসুনা। আনতে বুদিমিরের দারুন হেড ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অবলাক, কিন্তু এর আগেই বল লাইন ক্রস করে। ম্যাচের তখন ৭৫ মিনিট। অ্যাটলেটিকো এরপর মরিয়া হয়ে ওঠে। সমতাসূচক গোলটা পেয়ে যায় দুই বদলি জোয়াও ফেলিক্স ও রেনান লোদির জন্য। ফেলিস্কের পাস থেকে বাঁ পায়ের শটে সমতা ফেরান লোদি। এরপর নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে শাপমোচন করেন সুয়ারেজ। কারাস্কোর ক্রস থেকে ডান পায়ে গোল করে জার্সি খুলে ফেলেন, এবারের লা লিগায় এটি তার ২০তম গোল।
ওদিকে সান মেমেসে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের সাথে মাদ্রিদ আজ খেলতে নেমেছিল টনি ক্রুসকে ছাড়া। শুরু থেকে আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে জমজমাট ম্যাচে প্রথমার্ধে গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে কাসেমিরোর হেড ফিরে আসে পোস্টে লেগে। ৬৮ মিনিটে গোল পেয়ে যায় রিয়াল। কর্নার ঠিকমতো ক্লিয়ার না হওয়ায় কাসেমিরোর বল থেকে নাচোর হাঁটুতে লেগে বল ঢুকে যায় জালে। এরপর রিয়াল আর গোল পায়নি, শেষ দিকে দশ জনের দল হয় বিলবাও। ১-০ গোলের জয় দিয়েই শেষ করে রিয়াল।
ওদিকে বুস্কেটসের দারুণ লব থেকে লিওনেল মেসির হেডে প্রথমার্ধেই এগিয়ে গিয়েছিল বার্সা। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সান্তি মিনার গোলে সমতা ফেরায় সেল্টা। এরপর ক্লেমেন্ত লেংলে লাল কার্ড দেখলে দশ জনের দল হয়ে যায় বার্সা। কিন্তু শেষ দিকে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বার্সা। উলটো সান্তি মিনা আরেকটি গোল করে নিশ্চিত করে দিয়েছেন, এই মৌসুমেও লা লিগা পাওয়া হচ্ছে না কোমানের দলের।