তামিমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের দিনে প্রস্তুতিটা ভাল হলো ব্যাটসম্যানদেরই
প্রস্তুতি ম্যাচ, বিকেএসপি (টস- বিসিবি গ্রিন/ব্যাটিং)
বিসিবি গ্রিন ২৮৪/৩, ৪৫ ওভার (সৌম্য ৬০, মাহমুদউল্লাহ ৬২, আফিফ ৬৪, নাইম ৩৮, সাকিব ২৮, মাহাদি ২/৪০)
বিসিবি রেড ২৮৮/৫, ৪১ ওভার (তামিম ৮০, মুশফিক ৬৪, ইমরুল ৩৩, মোসাদ্দেক ২৮, মাহাদি ২৪, সাইফ ২৬, মাহমুদউল্লাহ ২/২৯, সাকিব ১/৪৫, তাইজুল ১/২১, বিপ্লব ১/৩৪)
বিসিবি রেড ৫ উইকেটে জয়ী
শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ঝড়ো ব্যাটিং করেছেন তামিম ইকবাল। মুশফিকুর রহিমের আগে ফিফটি পেয়েছেন সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেনরাও। মাঠে ফেরার দিনে তিনে নেমে ২০ বলে ২৮ করেছেন সাকিব আল হাসান, ৭ ওভার বোলিং করে ৪৮ রান দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। পরে নিজে বোলিংয়ে সাকিব ৬ ওভারে দিয়েছেন ৪৫ রান, নিয়েছেন একটি উইকেট।
বিকেএসপিতে বিসিবি রেড ও গ্রিন নামের দুই একাদশে ভাগ হয়ে এই আন্তঃস্কোয়াড প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ। টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন গ্রিন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সৌম্য সরকারের সঙ্গে সেখানে ওপেন করেছেন নাইম শেখ, দুজনের কেউই আউট হননি। ৪৩ বলে ৩৮ রান করে উঠে গেছেন নাইম, সৌম্য একবার উঠে গেলেও পরে নেমেছিলেন আবারও। শেষ পর্যন্ত ৭০ বলে তিনি করেছেন ৬০, ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে।
সাকিব ক্রিজে ছিলেন ২৮ মিনিট, মাহাদি হাসানকে সামনে এসে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হওয়ার আগে মেরেছেন দুটি চার। মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেন- দুজনই খেলেছেন ৫৪ বল করে, প্রথমজন ৬ চার, ২ ছয়ে করেছেন ৬২, পরেরজন ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৬৪। মাহমুদউল্লাহ ফিফটি করেছিলেন ৪৯ বলে, আফিফ নিয়েছিলেন ৪৭ বল। এ দুজনের আগে ৩ রান করেই মাহাদির বলে ফিরেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। শেষদিকে মেহেদি হাসান মিরাজ করেছেন ১৬ বলে ১৭ রান।
মোস্তাফিজের সঙ্গে রেড দলের বোলিং ওপেন করেছিলেন সাইফউদ্দিন, যিনি ৯ ওভারে দিয়েছেন ৬৫। দুই স্পিনার মাহাদি ও মোসাদ্দেক হোসেন মিলে ১৭ ওভারে দিয়েছেন ৭৮ রান। প্রাথমিক স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ৫ ওভারে গুণেছেন ৪৪। আর বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম ৭ ওভারে দিয়েছেন ৪৫ রান।
রানতাড়ায় শুরুটা দেখেশুনেই করেছিলেন সামনের সিরিজের সম্ভাব্য ওপেনিং জুটি তামিম ও লিটন দাস। প্রথম ৫ ওভারে তারা তুলেছিলেন ২৬, তবে প্রথম পাওয়ারপ্লের দ্বিতীয়ভাগে চড়াও হয়েছেন, পরের ৫ ওভারে উঠেছে ৪৮ রান। লিটন অবশ্য ফিরেছেন ১৬ বলে ১৫ রান করে, সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।
মাহমুদউল্লাহকে টেনে মারতে গিয়ে লং-অনে ক্যাচ দেওয়ার আগে তামিম করেছেন ৫৮ বলে ৮০, ৭টি চারের বিপরীতে মেরেছেন ৪টি ছয়, এর মাঝে দুটি তাসকিন আহমেদকে, একটি করে মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজকে। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক এদিন ফিফটি করেছিলেন মাত্র ৩৬ বলে। শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট সিরিজের ফর্মটাই টেনে আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তামিমকে সঙ্গ দেওয়া ইমরুল কায়েসও ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহর বলে, ৩২ বলে ৩৩ রান করে।
গ্রিন দলের হয়ে বোলিং করেছেন ৯ জন, নিয়মিত বোলারদের সঙ্গে সৌম্য-আফিফকেও এনেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে মুশফিকুর রহিমের ৬ চার ও ২ ছয়ে ৫৫ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংসের সঙ্গে মোসাদ্দেকের প্রথমদফা ২৫ বলে ২৮, মাহাদির ২৭ বলে ২৪-এর পর সাইফউদ্দিনের ১২ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৪ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতেছে বিসিবি গ্রিন। মোসাদ্দেক অবশ্য নেমেছিলেন আরেকবার। আর এদিনই দল থেকে বাদ পড়া নাজমুল হোসেন শান্ত ১৮ বলে ৯ রান করে ক্যাচ দিয়েছেন তাইজুল ইসলামের বলে। শ্রীলঙ্কা সিরিজে দারুণ বোলিং করা তাসকিন এদিন ৬ ওভারে দিয়েছেন ৪৫, আর মিরাজ ৭ ওভারে দিয়েছেন ৫২।
২৩ মে প্রথম ওয়ানডের আগে বিকেএসপিতেই শুক্রবার নিজেদের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কাও।