• শ্রীলঙ্কার বাংলাদেশ সফর ২০২১
  • " />

     

    মুশফিকের উইকেটকিপিংয়ে পূর্ণ আস্থা তামিমের

    মুশফিকের উইকেটকিপিংয়ে পূর্ণ আস্থা তামিমের    

    টিম ম্যানেজমেন্টের একটিবারের জন্যও মুশফিক রহিমের উইকেটকিপিং নিয়ে সংশয় জাগেনি, বরং সেখানে অধিনায়ক তামিম ইকবালের পূর্ণ আস্থা পাচ্ছেন তিনি। সঙ্গে লিটন দাস বা সৌম্য সরকারের ধারাবাহিকতা নিয়ে তামিমের আশা, এ সিরিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন তারা। 

    বাংলাদেশের শেষ নিউজিল্যান্ড সফরে মুশফিকের উইকেটকিপিং নতুন করে এসেছিল আলোচনায়। এমনিতেই টেস্টে উইকেটকিপিং তিনি ছেড়েছেন আগেই, তবে সীমিত ওভারে এখনও গ্লাভস থাকে তার হাতেই। 

    “ওর কিপিং নিয়ে আমি খুবই খুশি। ক্যাচ মিস বা সুযোগ মিস এগুলো খেলার অংশ, সত্যি কথা বলতে আমি জানি সে কতটা কঠোর পরিশ্রম করে। আর আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট বা সবার একটা মুহুর্তের জন্যও মনে হয় না যে মুশফিক কিপিং করবে না”, সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন তামিম। “সে অবশ্যই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে শুধু না পুরো সিরিজেই কিপিং করবে, যদি ফিট থাকে। ক্যাচ মিসের কথা বলছেন, কিন্তু সে কিছু দুর্দান্ত কাজও করেছে। ১৩-১৪ বছর ধরে একজন কিপার ক্যাচ ফেলতে পারে আবার এই সময়ে সে কিছু অবিশ্বাস্য ক্যাচও ধরেছে। আমার মুশফিকের ওপর পূর্ণ আস্থা আছে এবং সে কিপিং করবে।”

    মুশফিকের উইকেটকিপিংয়ের আস্থার সঙ্গে তামিমের আস্থা আছে লিটন-সৌম্যর ওপরও, “দেখেন, আমার মনে হয় যে, বারবারই বলেছি যদি একটা ক্রিকেটারের চিন্তাধারায় ঘাটতি থাকে, তাহলে তাকে অনেক কিছু বলাটা বা বুঝানোটা সহজ। কিন্তু যখন আমি দেখি, অধিনায়ক হিসেবে, সতীর্থ হিসেবে- আমার ধারণা তারাও সেটা অনুভব করে, আরও ধারাবাহিক হতে হবে, বড় রান করতে হবে। তারা এটা জানে যে তারা ভুল করছে, এবং এটা নিয়ে আমি খুশি। কারণ অনেক সময়, আপনি যদি ভুল করে নাই জানেন, তাহলে ঝামেলা। তারা এটা বুঝতে পারে। 

    “আমি নিশ্চিত তারা এর থেকে বেরিয়ে আসবে। কারণ, আমরা খন্ড খন্ডভাবে সেসব দেখেছি, সৌম্য-লিটনের থেকে। এখন যদি মুশফিকের মতো ধারাবাহিক পারফর্ম করা শুরু করে, তাহলে আমরা ওয়ানডেতে ঘরে-বাইরে দারুণ একটা দল হয়ে উঠতে পারব।”

    এ দুজন এ সিরিজেই ভাল কিছু করবেন বলেও প্রত্যাশা তার, “লিটন-সৌম্য- আমি অবশ্যই বলব যে আমার আশা তারা এ সিরিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। আমার ধারণা এ দুজনের অনেক বেশি সম্ভাবনা আছে, তাদেরকে এখন ডেলিভার করতে হবে। এটাও বলছি না, তারা কিছু করে নাই, কিছু তো করেছেই। তবে তাদের কাছ থেকে যদি আরও বড় কিছু আসে, এটা দলের জন্য এর থেকে ভাল কিছু হতে পারে না। আপনি-আমি সবাই জানি, সৌম্য-লিটন কেমন, যদি অমন দুই-একটা বড় পারফরম্যান্স এই সিরিজে পাই, তাহলে জীবনটা সহজ হয়ে যায় আরকি।”

    এদের সঙ্গে তামিম যোগ করেছেন মিরাজের কথাও, মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভাল কিছু করেছেন বলেই ওয়ানডেতে বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে পাঁচে আছেন তিনি। আর নিজের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচের ব্যাপারে প্রশ্নের জবাবে কিছুটা সাম্প্রতিক সময়ে তার ব্যাটিংয়ের মতোই ছিলেন তিনি, “অ্যাপ্রোচ নিয়ে আসলে আমি অনেক কথা বলেছি। এটা থামে না, প্রশ্ন আসছে। আমি গত ৪-৫ বছরে যে অ্যাপ্রোচে খেলছি সামনেও সেভাবেই খেলতে থাকব। আর এটা নিয়ে ভবিষ্যতেও আমার কিছু বলার নেই। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো এ বিষয়টা নিয়ে আর প্রশ্ন না করার।”