'খুব চিন্তার বিষয় নয়', বায়ো-সিকিউরড বলয়ে কোভিড-১৯ পজিটিভ কেস নিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্ট
সফরকারী শ্রীলঙ্কার তিনজন সদস্যের কোভিড-১৯ পজিটিভ আসার পর সেসবের সম্ভাব্য কারণ ব্যাখ্যা করে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, এক্ষেত্রে আইসিসির গাইডলাইন এবং দুই বোর্ডের সমঝোতা অনুসরণ করছেন তারা, তবে এ পরিস্থিতি ‘খুব চিন্তার বিষয় নয়’। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার ম্যানেজার বলেছেন, তিনি দারুণ এক সিরিজের জন্য মুখিয়ে আছেন।
রবিবার প্রথম ওয়ানডে শুরুর আগে শ্রীলঙ্কার বোলিং কোচ চামিন্দা ভাস, ইসুরু উদানা ও শিরান ফার্নান্ডোর কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার খবর এসেছিল, তবে ফিরতি টেস্টে ফার্নান্ডো ছাড়া বাকি দুজন এসেছেন নেগেটিভ। শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়েই শুরু হয়েছে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে।
“আমাদের আইসিসির একটা গাইডলাইন আছে। আর যে দলের সঙ্গে খেলা তাদের সঙ্গে একটা সমঝোতা হয়। এবং কী হলে কী হবে সেটার সব কিছু সেখানে লেখা আছে। কেউ যদি পজিটিভ হয়, তখন কী হবে। ডাক্তার দেখাতে হলে কে দেখবে, টেস্ট করাতে হলে কোন জায়গায় গিয়ে করবে, সমস্ত কিছু প্রোটোকল করা আছে”, সাংবাদিকদের বলেছেন পাপন। “আমাদের এখানে যেটা হয়েছে শ্রীলঙ্কার তিন জনের পজিটিভ এসেছে, (যাদের) আগের টেস্টগুলোতে নেগেটিভ ছিল। আমাদের জানামতে আমাদের বায়ো-বাবলে নেগেটিভ কারও গিয়ে পজিটিভ হওয়াটা অস্বাভাবিক। মানে এটা আমরা মনে করি- যেটা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
“তারপরও হতে তো পারেই। সে জায়গায় তিন জনের হয়েছে। তিন জনের হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই তাদের আইসোলেট করা হয়। তাদের উপসর্গ ছিল না, ফলে টেস্ট করতে দিলাম। দ্বিতীয়বার যখন টেস্ট করল তখন নেগেটিভ। কিন্তু একজনের আসলো পজিটিভ। কেন পজিটিভ আসলো সেটি দেখতে গিয়ে আমাদের ধারণা, যেহেতু সে কিছু দিন আগেই কোভিড থেকে সেরে উঠেছে, তার ডেড আরএনএ ডিটেক্ট করে পিসিআর। এটা হতে পারে, অনেকের কিন্তু ২৮ দিন পর্যন্ত পাওয়া যায়। যেহেতু ওর ২৮ দিন হয়নি তাই পেতে পারে। এজন্য আমরা আবার তৃতীয় বার টেস্ট করতে পাঠিয়েছি।”
এই টেস্ট করা একটি চলমান প্রক্রিয়ার অংশ বলে জানিয়েছেন পাপন, উদাহরণ দিয়েছেন বিসিবির বোর্ড ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের, “একই জিনিস কিন্তু হয়েছে আমাদের সুজনকে নিয়ে। সে বায়ো বাবলে ঢোকার আগে টেস্ট করেছে- নেগেটিভ। তারপর শেষ টেস্ট করতে গিয়ে এসেছে পজিটিভ। কিন্তু ও বলে ‘আমার তো কিছু হয় নাই’। তারপর আমরা আবার টেস্ট করালাম, আসে নেগেটিভ। আজকে আবার করালাম- নেগেটিভ। মাঝেমধ্যে এরকম আসতে পারে, কিন্তু তার জন্য প্রোটোকল করা আছে, একবার পজিটিভ হলে কী করতে হবে, কতবার টেস্ট করে নিশ্চিত হতে হবে যে সে নেগেটিভ। আমরা ওটা অনুসরণ করছি। কাজেই ওইটা নিয়ে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যেটা খুব চিন্তার বিষয়। তবে অবশ্যই আমরা সতর্কতা আরও বাড়াব।”
আর শ্রীলঙ্কার ম্যানেজার মানুজা কারিয়াপ্পেরুমা মনে করেন, পজিটিভ কেসগুলি ‘ফলস’ হতে পারে, “হ্যাঁ, আমাদের দুজন ক্রিকেটার এবং একজন সাপোর্ট স্টাফের পজিটিভ এসেছিল। তবে দুজনকে এরপর নেগেটিভ ঘোষণা করা হয়েছে দ্বিতীয়দফা টেস্টের পর। এসব হয়ে থাকে। ফলস পজিটিভ বলে একটা ব্যাপার আছে রিপোর্টে এবং আমার মনে হয় এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
“দুই বোর্ডের মাঝে সম্পর্ক প্রশংসনীয়। যদি কিছু ঘটেও থাকে, আমরা এর সমাধান করতে পারব, ফলে সেদিক দিয়ে একেবারেই সমস্যা নেই। আমার মনে হয় দুই বোর্ড এবং কর্মকর্তাদের মাঝে দারুণ একটা সমঝোতা আছে। আমাদেরকে যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে সেটি যথেষ্টর চেয়েও বেশি। আমি দারুণ একটা সিরিজের জন্য অপেক্ষা করছি। ‘নিউ নরমাল’-এ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাদের সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছে আমাদের সেরা সুযোগ-সুবিধা দিতে। এটা আমরাও বুঝি এবং অন্য দেশে আসলে এসব মানিয়ে নিতে হবে।”