প্রিমিয়ার লিগের সিজন ফিনালে: আগুয়েরোর দিনে চ্যাম্পিয়স লিগে লিভারপুল, চেলসি; লেস্টারের স্বপ্নভঙ্গ
নাটক, আবেগ, বিদায় আর স্বপ্নভঙ্গ। প্রিমিয়ার লিগের আরেকটি সিজন ফিনালের দিন চ্যাম্পিয়নস লিগ নিশ্চিত করল চেলসি, লিভারপুল; আশা জাগিয়েও চারে থাকতে পারল না লেস্টার সিটি। অন্যদিকে জোড়া গোল করে ওয়েইন রুনির এক ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি প্রিমিয়ার লিগের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন সার্জিও আগুয়েরো। সেটাও আবার সিটির জার্সি গায়ে লিগে তার শেষ ম্যাচে।
আজ যখন মাঠে নেমেছিল দলগুলো তখন চেলসি আর লিভারপুল নিজেদের ম্যাচ জিতলেই চলে যেত টপ ফোরে, আর লেস্টারকে জিতলেও অন্যদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো। প্রথম ৩৬ সপ্তাহ টপ ফোরে থাকলেও লেস্টারের কাজটা ছিল কঠিন। লিভারপুলের কাজটা ছিল সহজ। নিজেদের মাঠে দর্শকের সামনে তাদের প্রতিপক্ষ ক্রিস্টাল প্যালেস। শুরু থেকে একের পর এক সুযোগ নষ্ট করার পরেও সাদিও মানে ৩৬ মিনিটে গোল করে এগিয়ে দেন তাদের। লিভারপুলের জয় নিয়ে অবশ্য সংশয় ছিল না তেমন, পুরো ম্যাচে অনেক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। ৭৬ মিনিটে সালাহর পাস থেকে মানের ডিফেক্টেড শটে আরেকটি গোল নিশ্চিত করে দিয়েছে তাদের টপ ফোর।
তবে নাটক হয়েছে অন্য দুই ম্যাচে। জেমি ভার্ডির পেনাল্টি থেকে শুরুতে এগিয়ে যায় লেস্টার। তখন তারাই যাচ্ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে। এরপর হ্যারি কেন গোল করে সমতায় ফেরান টটেনহামকে। এই গোলটা নিশ্চিত করে দিয়েছে, ২২ গোল নিয়ে এই মৌসুমের গোল্ডেন বুট পাচ্ছেন এই স্ট্রাইকারই। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার ভার্ডির আরেকটি পেনাল্টিতে এগিয়ে যায় তারা।
চেলসির ম্যাচেও হয়েছে নাটক। ভালো খেলার পরেও ধারার বিপরীতে ট্রায়োরের গোলে এগিয়ে যায় অ্যাস্টন ভিলা। ৫১ মিনটে পেনাল্টি থেকে এল গাজি যখন এগিয়ে দেন আবার, চেলসি যখন পাঁচে চলে যাওয়ার শংকায়। ওদিকে লেস্টার এগিয়ে যাওয়ায় চেলসির আকাশে তখন মেঘের ঘনঘটা। কিন্তু লেস্টারের ম্যাচেও হয়েছে নাটক। ৭৬ মিনিটে স্মাইকেলের আত্মঘাতী গোলে আবার সমতা ফেরায় টটেনহাম। চেলসি হাঁপ ছেড়ে বাঁচে। এর মধ্যে লেস্টারের ফোফানার চোট তাদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে। শেষ দিকে বদলি হিসেবে গ্যারেথ বেল এগিয়ে দেন টটেনহামকে, আর শেষ মুহূর্তে গোল করে নিশ্চিত করেন লেস্টারের জয়। চেলসি হেরেও উঠে যায় শীর্ষ চারে। লেস্টারের সঙ্গে ইউরোপা খেলছে ওয়েস্ট হাম।
অন্যদিকে এভারটনকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে মৌসুম শেষ করেছে সিটি। তার চেয়েও বড় কথা, বদলি নেমে জোড়া গোল করে আগুয়েরো ভেঙে দিয়েছেন রুনির এক ক্লাবের হয়ে ১৮৩ গোলের রেকর্ড।