সোলশারের ট্রফি-স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ করে টাইব্রেকারে ইউরোপা জিতল এমেরির ভিয়ারিয়াল
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজার হয়ে কখনো শিরোপা জেতা হয়নি ওলে গানার সোলশারের। ওদিকে উনাই এমেরি ইউরোপা বিশেষজ্ঞ, এই ট্রফিটা জিতেছেন সবচেয়ে বেশি। আরও একবার সেই এমেরির হাতেই উঠল শিরোপা। অদ্ভুত এক টাইব্রেকারে শিরোপা জিতল তার দল ভিয়ারিয়াল, সেটাও আবার ম্যাচের ২২-তম কিকে গিয়ে।
২৯ মিনিটে জেরার্ডো মরেনোর গোলে এগিয়ে যায় ভিয়ারিয়াল। সেট পিস থেকে ইউনাইটেড রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে এগিয়ে দেন ফর্মে থাকা এই স্ট্রাইকার। এরপর ইউনাইটেড খেলায় ফেরার চেষ্টা করে, রাশফোর্ড সহজ একটা সুযোগ নষ্ট না করলে সমতা ফেরাতে পারত। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫ মিনিটে সেটা করে, এবারও সেট পিসের পর রাশফোর্ডের শট ডিফ্লেক্টেড হয়ে কাভানির কাছে এসে পড়ে, সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল করেন।
কিন্তু এরপর আর দুই দলের কেউ গোল পায়নি। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও দুই দলের গোলরক্ষককে বড় পরীক্ষা দিতে হয়নি। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে, যেখানেও দুই দলের কোনো খেলোয়াড়ই ভুল করছিলেন না।
টাইব্রেকারে প্রথম গোলটা করেছিলেন ভিয়ারিয়ালের জেরার্ড মরেনো, ম্যান ইউনাইটেডের হয়ে হুয়ান মাতা ভুল করেননি। দানি রাবা গোল করার পর অ্যালেক্স তেলেসও গোল করেন ইউনাইটেডের হয়ে। পাকো আলকাসেরের গোলের পর ব্রুনো ফার্নান্দেজও গোল করলেন। এরপর আলবার্তো মরেনো আবার গোল করে এগিয়ে দিলেন ভিয়ারিয়ালকে। মার্কাস রাশফোর্ড গোল করলেন,আবার সমতা ফেরাল ইউনাইটেড। দানি পারেহোর গোলে আবার এগিয়ে গেল ভিয়রিয়াল। কিন্তু শেষ কিকে গোল করে এডিনসন কাভানি রাখকেন সমতা (৫-৫)। খেলা গেল সাডেন ডেথে।
সেখানেও সমতা। ময় গোমেজের গোলের পর ফ্রেডও গোল পেলেন। ওদিকে আলবিওলের পর আবার ড্যানিয়েল জেমসের গোলে সমতা। লুক শ মিস করতে করতেও করলেন না, টিকে রইল ইউনাইটেড। একে একে মূল একাদশের বাকি সবাই গোল করলেন (১০-১০)। এরপর গোলরক্ষকদের পালা। শেষ পর্যন্ত মিস করলেন ডেভিড ডি গিয়া। তার কিকটা ঠেকিয়েই নায়ক বনে গেলেন রুই। নিজেদের ইতিহাসে প্রথম ইউরোপিয়ান শিরোপা পেল ভিয়ারিয়াল।