মুশফিকে ভর করে জিতল আবাহনী, ভেসে যাওয়া ম্যাচে উজ্জ্বল জয়
আবাহনী-পারটেক্স, মিরপুর
পারটেক্স ১২০/৫, ২০ ওভার (তাসামুল ৬৫*, মইন ২২, আব্বাস ১৭, তাইজুল ২/১২, মেহেদি রানা ২/২১, শহিদুল ১/২৪)
আবাহনী (লক্ষ্য ১০ ওভারে ৭০) ৭২/৩, ৯.২ ওভার (মুশফিক ৩৮*, নাইম ১৯, ইমরান ১/১১, শাহবাজ ১/১১)
আবাহনী ডিএল পদ্ধতিতে ৭ উইকেটে জয়ী
বোলারদের সমন্বিত পারফরম্যান্সের পর মুশফিকুর রহিমের ২৬ বলে ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে পারটেক্সকে শেষ পর্যন্ত সহজেই হারিয়ে লিগ শুরু করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। তাসামুল হকের অপরাজিত ৬৫ রানের পরও পারটেক্স আটকে গিয়েছিল ১২০ রানেই, বৃষ্টির পর ১০ ওভারে ৭০ রানের লক্ষ্য আবাহনী পেরিয়ে গেছে ৩ বল বাকি থাকতেই।
সকাল ৯ টায় শুরু ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে ঝামেলায় পড়েছিল পারটেক্স। এ ম্যাচ দিয়েই ফিরেছেন শ্রীলঙ্কা সিরিজে কনকাশন-শঙ্কায় তৃতীয় ম্যাচে দলের বাইরে থাকা সাইফউদ্দিন, ৪ ওভারে উইকেটশূন্য থাকলেও ২১ রান দিয়েছেন এই পেসার। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। তিনে নামা তাসামুল ৬৫ করেছেন ৯ চারে, এরপরের সর্বোচ্চ মইন খানের ২৫ বলে ২২।
রানতাড়ায় ৩১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল আবাহনী, শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তর পর নাইম শেখ ফিরেছিলেন ১৭ বলে ১৯ রান করে। এ ম্যাচে খেলেননি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচের বাংলাদেশ একাদশ থেকে বাদ পড়া লিটন দাস।
বারদুয়েক মুশফিকের বিপক্ষে এরপর জোরালো আবেদন করেছিল পারটেক্স, তবে মুশফিক বেঁচে গেছেন দুবারই। আফিফ হোসেনও এরপর দ্রুত ফিরলেও দলকে জিতিয়েই ফিরেছেন মুশফিক। টুর্নামেন্ট, ফরম্যাট বদলালেও তার ফর্মটা থেকে গেছে একই, নিজের খেলা শেষ ৪ ম্যাচের তিনটিতেই তিনি হলেন ম্যাচসেরা।
****
ওল্ড ডিওএইচএস ১৭১/৪, ২০ ওভার (জয় ৭৮*, রাকিন ৪৬, ইমন ২৫, সাব্বির ১/১০, নাবিল ১/২৭) বনাম লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ: ম্যাচ পরিত্যক্ত
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১২৭/৭, ১৮.৪ ওভার (জুনাইদ ৪৮, মিজানুর ৩১, আলাউদ্দিন ২০, শরিফুল্লাহ ২/২৪, কামরুল ২/২৪, এনামুল জুনিয়র ১/২১) বনাম প্রাইম দোলেশ্বর: ম্যাচ পরিত্যক্ত
সকালে বিকেএসপির অন্য দুটি মাচই হয়েছে পরিত্যক্ত।
তিন নম্বর মাঠে মাহমুদুল হাসান জয়ের ৫৫ বলে ৭৮, রাকিন আহমেদের ৩৩ বলে ৪৬ রানে ভর করে রূপগঞ্জের বিপক্ষে ২০ ওভারে ১৭১ রান তুলেছিল ওল্ড ডিওএইচএস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এ দুজন তুলেছিলেন ৮১ রান। রাকিন তার ইনিংসে মেরেছেন ৩টি চারের সঙ্গে ১টি ছয়, জয় ৭টি চারের সঙ্গে ২টি ছয়। রূপগঞ্জের মোহাম্মদ শহিদ, নাবিল সামাদ ও সাব্বির রহমান নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
ওল্ড ডিওএইচএস তাদের ২০ ওভারই ব্যাটিং করেছিল, তবে অন্য মাঠে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে টসে জিতে নামা ব্রাদার্স খেলতে পেরেছে ১৮.৪ ওভার, করেছে ৭ উইকেটে ১২৭ রান। ওপেনিংয়ে মিজানুর রহমানের ২৩ বলে ৩১, জুনাইদ সিদ্দিকের ৫০ বলে ৪৮ রানের পর সাতে নামা আলাউদ্দিন বাবু করেছেন ১১ বলে ২০, এছাড়া দুই অঙ্কই ছুঁতে পারেননি কেউ। দোলেশ্বরের শরিফুল্লাহ, কামরুল ইসলামরা ২৪ রান করে দিয়ে নিয়েছেন দুটি করে উইকেট, একটি করে নিয়েছেন রেজাউর রহমান রাজা ও এনামুল হক জুনিয়র।
এ দুই ম্যাচেই শুরু হতে পারেনি দ্বিতীয় ইনিংস।