ইমরান-রাজা-জুনিয়রে দোলেশ্বরের কাছে পাত্তা পেল না খেলাঘর
প্রাইম দোলেশ্বর ১৪৯/৬, ২০ ওভার (ইমরানউজ্জামান ৪০, সাইফ ২৮, মার্শাল ২১, খালেদ ২/৩০, মাসুম ২/৩২, মিরাজ ১/৯)
খেলাঘর ১৩০ অল-আউট, ২০ ওভার (রিশাদ ৩৭, ফরহাদ ৩৩, রাজা ২/২২, এনামুল জুনিয়র ২/২২, কামরুল ২/৩৩)
দোলেশ্বর ১৯ রানে জয়ী
৫ম ওভারে খালেদ আহমেদকে তুলে মারতে গিয়ে টপ-এজড হয়ে উইকেটকিপার জহুরুল ইসলামের হাতে যখন ধরা পড়লেন ইমরানউজ্জামান, প্রাইম দোলেশ্বরের রান তখন ৪৫। আর তার নিজের রান ১৭ বলে ৪০, মেরেছেন ৩টি চার, চারটি ছয়। মূলত ইমরানের ওই ঝড়ে ভর করেই ১৪৯ পর্যন্ত যেতে পেরেছিল দোলেশ্বর, পরে বোলারদের জন্য হয়েছে যথেষ্টর চেয়েও বেশি কিছু। প্রথম ম্যাচে শেখ জামালের কাছে হারা খেলাঘর এবার পাত্তা পায়নি দোলেশ্বরের কাছেও, রানতাড়ায় রিশাদ হোসেনের শেষের ঝড়ের পরও তারা হেরেছে বড় ব্যবধানেই।
মিরপুরে এদিন থেকে তিনটি করে ম্যাচ, প্রথমটি আগের মতোই সকাল নয়টায়। সেখানে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দোলেশ্বরের ইমরান-ঝড় শুরু হয়েছিল ম্যাচের প্রথম বলেই, খালেদের অফস্টাম্পের বাইরের বলে টেনে ছয় মেরেছিলেন তিনি। ইমরান থামেননি এরপর শীঘ্রই। যখন আউট হন, ফজলে মাহমুদ রাব্বির সঙ্গে তার জুটি ছিল ৪৫ রানের, যেখানে সঙ্গীর অবদান ১২ বলে ৪ রানের। অবশ্য ইমরানের ঝড়ে পাওয়া ভিতটা কাজে লাগাতে পারেননি সে অর্থে দোলেশ্বর ব্যাটসম্যানরা।
রাব্বি করেছেন ২২ বলে ১৪, তিনে নামা সাইফ হাসান ২৮ রান করতে খেলেছেন ৩৩ বল। রাব্বি ফেরার পর মার্শাল আইয়ুবের সঙ্গে সাইফের জুটিতে এসেছিল ৩৮ রান, তবে মার্শালও ২০ বলে করেছেন ২১। শেষদিকে শামিম পাটোয়ারির ১২ বলে ১৬ ও শরিফুল্লাহর ৯ বলে ১৫ রানে দোলেশ্বর গিয়েছিল ১৪৯ পর্যন্ত। খালেদ ও মাসুম নিয়েছেন দুটি করে উইকেট, ৯ রানে ১ উইকেট নিলেও ৩ ওভারের বেশি করেননি মেহেদি হাসান মিরাজ।
রানতাড়ায় খেলাঘর গুবলেট পাকিয়ে বসেছে শুরুতেই- তৃতীয় ওভারে ১৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে। এরপর ফরহাদ হোসেনের ৩৫ বলে ৩৩ একটু এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল খেলাঘরকে, তবে পাঁচে নামা সালমান হোসেনের ২৭ বলে ১৪ রানে ব্যাকফুটেই গেছে তারা শুধু।
ফরহাদের উইকেটের পর ৫ রানের ব্যবধানে তারা হারিয়েছে ৪ উইকেট। তবে খেলাঘর শীঘ্রই অল-আউট হয়নি, মূলত নয়ে নামা রিশাদের ঝড়ে। ১৯ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে তিনি মেরেছেন ২টি চার ও ৩টি ছয়, যে ইনিংস ব্যবধানটাই কমিয়েছে শুধু। দোলেশ্বরের ছয় বোলারই এদিন উইকেটের দেখা পেয়েছেন- দুটি করে নিয়েছেন এনামুল হক জুনিয়র, রেজাউর রহমান রাজা ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।