• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি ২০২১
  • " />

     

    মাহমুদউল্লাহর অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, মুমিনুলের ফিফটিতে শেখ জামালকে টপকে গেল গাজি গ্রুপ

    মাহমুদউল্লাহর অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, মুমিনুলের ফিফটিতে শেখ জামালকে টপকে গেল গাজি গ্রুপ    

    শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ১৫১/৭, ২০ ওভার (আশরাফুল ৪১, সৈকত ৩৩, জিয়াউর ২১, নাসির ২০, মাহমুদউল্লাহ ২/২৩, মুগ্ধ ২/৩৬, সৌম্য ১/১৪, নাসুম ১/২০, আরিফুল ১/১৬)
    গাজি গ্রুপ ক্রিকেটারস ১৫৬/৩, ১৮.৫ ওভার (মাহমুদউল্লাহ ৬২*, মুমিনুল ৫৪, এনামুল ২/২১, শাকিল ১/২৯)
    গাজি গ্রুপ ৭ উইকেটে জয়ী 


    অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, সঙ্গে রানতাড়ায় মুমিনুল হকেরে ফিফটিতে শেখ জামালকে টপকে গেছে গাজি গ্রুপ। আগে ব্যাটিং করা শেখ জামালের স্কোর একসময় ছিল ১২.৫ ওভারে ২ উইকেটে ১০৩, এরপর মাহমুদউল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্রেকথ্রুর পর তারা শেষ পর্যন্ত আটকে গিয়েছিল ১৫১ রানেই। রানতাড়ায় ৪০ রানে ২ উইকেট যাওয়ার পর নেমেছিলেন তিনি, এরপর অপরাজিত থেকেছেন ৬২ রান করে, মুমিনুল হকের সঙ্গে তার ৯৭ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিই গড়ে দিয়েছে জয়ের ভিত। 

    দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামলেও আবারও শুরুটা ভাল হয়েছিল শেখ জামালের- দুই ওপেনার সৈকত আলি ও মোহাম্মদ আশরাফুল এবার তুলেছিলেন ৬৯ রান। ৯ম ওভারের শুরুতে ৫ম বোলার সৌম্য সরকারের নিচু হওয়া বলে বোল্ড হওয়ার আগে সৈকত করেছেন ৩০ বলে ৩৩। আশরাফুল আরও কিছুক্ষণ ছিলেন, আরিফুলের অফস্টাম্পের বাইরের ফুললেংথের বলে চপ করতে গিয়ে ক্যাচ তোলার আগে ৪১ রান করেছেন ৩৫ বলে।



    এরপর পরপর দুই ওভারে নাসির হোসেন ও নুরুল হাসান সোহানকে ফিরিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ-- দুজনই ইনসাইড-আউট করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন মুমিনুল হকের হাতে। নাসুম আহমেদের বলে তানভির হায়দারও দ্রুত ফিরে গেলে চাপ আরও বেড়েছিল শেখ জামালের, জিয়াউর রহমানের ১৬ বলে ২১ রানের ক্যামিওতে ভর করে তারা গিয়েছিল ১৫১ পর্যন্ত। ৩ ওভারই বোলিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ, শেষ ওভারে জিয়া দুটি ছয় মারার পরও ২৩ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ২ উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধও। 

    রানতাড়ায় শেখ জামাল প্রথম ব্রেকথ্রু পেয়েছে এনামুল হকে ভর করে, তাকে কাট করতে গিয়ে এজড হয়েছিলেন শাহাদাত হোসেন দিপু- ১১ বলে ১৩ রান করে। সৌম্য সরকারও একই বোলারের শিকার, রিভার্স সুইপের নেশায় পেয়ে বসা তিনি হারিয়েছেন স্টাম্প- দিপুর মতো একই স্কোরেই। 

    তবে শেখ জামালকে এরপর হতাশ করে গেছেন মুমিনুল ও মাহমুদউল্লাহ। প্রথমে ফিফটি করেছেন অধিনায়ক নিজেই, ৪২ বলে, তানভীরকে ছয় মেরে। এক বল পর চার মেরে মাইলফলকে গেছেন মুমিনুল, ৩৪ বলে। সালাউদ্দিন শাকিলের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে মুমিনুল ৫৪ রান করেছেন ৩৬ বলে, ৮ চারে। তবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ, ৫১ বলের ইনিংসে যিনি মেরেছেন ৪টি চার ও দুটি ছয়।