ডিওএইচএসের মন্থর ব্যাটিংয়ের দিনে আবাহনীর নায়ক সাইফউদ্দিন
আবাহনী ১৩৫/৬, ১৯ (১৯) ওভার (সাইফউদ্দিন ৪০, আফিফ ২৭*, নাইম ২৩, রাকিবুল ২/১০, মোহাইমিনুল ২/২৫)
ওল্ড ডিওএইচএস ১১৩/৩, ১৯ (১৯) ওভার (রাকিন ৪৩, ইমন ২০, রাইয়ান ১৯*, সাইফউদ্দিন ১/১৫, আরাফাত সানি ১/১৩)
আবাহনী ডিএলএস পদ্ধতিতে ২২ রানে জয়ী
যখন নামেন, ১৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে আবাহনীর স্কোর ছিল ৭২ রান। শেষ ৬ ওভারে আবাহনী তুললো ৬৩ রান, সাতে নেমে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ১৯ বলে ৪০ রানের ইনিংসে ভর করেই। সাইফউদ্দিন তাতেই থামলেন না, বোলিং ওপেন করতে এলেন, ৪ ওভারে দিলেন ১৫ রান, নিলেন ওল্ড ডিওএইচএসের সর্বোচ্চ স্কোরার রাকিন আহমেদের উইকেট। সাইফউদ্দিনময় ম্যাচে ডিওএইচএসের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত বড় জয়ই পেল আবাহনী, যা টানা দ্বিতীয় তাদের। যদিও ৭ উইকেট বাকি রেখেও ১৯ ওভারে ডিওএইচএস তুলতে পারেনি বলপ্রতি রানই, আবাহনী মাঝারি স্কোরই হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশাল কিছু।
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল ডিওএইচএস, আবাহনীর প্রথম ২৫ রানের ২৩ রানই এসেছিল নাইম শেখের ব্যাট থেকে, যিনি ফিরেছেন ২১ বলে ২৩ রান করে। পাওয়ারপ্লের পর থেকে দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়েছিল আবাহনী, ২৪ রানের ব্যবধানে।
মুনিম শাহরিয়ার ও নাজমুল হোসেন শান্ত একশর ওপর স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করলেও স্কোরিংয়ে ভুগেছেন মুশফিকুর রহিম ও মোসাদ্দেক হোসেন- দুজন যথাক্রমে করেছেন ১১ বলে ৬ ও ১২ বলে ৮। আফিফ হোসেনের সঙ্গে এরপর সাইফউদ্দিন গড়েছেন ৬১ রানের জুটি, আফিফ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ২৯ বলে ২৭ রানে। সাইফউদ্দিন তার ঝড়ো ইনিংসে মেরেছেন ২টি চারের সঙ্গে ৩টি ছয়।
রানতাড়ায় আনিসুল ইসলাম ইমন ও রাকিন এরপর উইকেট আগলে রেখেছিলেন, দুজনের ওপেনিং জুটি ভেঙেছে ৯ম ওভারের শেষ বলে। ৫৩ রানের ওপেনিং জুটির পরও অবশ্য রান-বলের প্রয়োজনীয় ব্যবধানটা কমেনি ডিওএইচএসের, ১৫তম ওভারে সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে রাকিন করেছেন ৪৪ বলে ৪৩ রান। এর আগে ইমন করেছিলেন ২৭ বলে ২০।
রাকিনের এক বল পর ফিরেছেন মাহমুদুল হাসান জয়ও, আরাফাত সানিকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে তিনি করেছেন ১৫ বলে ১০। অধিনায়ক মোহাইমিনুল খান ও রায়হান রহমানের জুটি এরপর অবিচ্ছিন্ন ছিল, তবে সাইফউদ্দিনের শেষের মতো ঝড় তুলতে পারেননি কেউ। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩১ রান, ১৮তম ওভারে এসে ৫ রান দিয়ে নিজের দারুণ এক দিনের শেষটাও স্মরণীয় করে রেখেছেন সাইফউদ্দিন।