ইরফান শুক্কুরের ২৯ বলে ৫২*-তে ম্লান মুসা-তাসামুল
পারটেক্স ১৫৭/৫, ২০ ওভার (মুসা ৬৪, তাসামুল ৫৯, শফিউল ১৮*, তাসকিন ২/৩৩, রাহি ১/২৬, সাকিব ১/১৩১)
মোহামেডান ১৫৮/৪, ১৭.৪ ওভার (ইরফান ৫২*, মাহমুদুল ৩৮, নাদিফ ২৭*, তাসামুনল ৩/১৮)
মোহামেডান ৬ উইকেটে জয়ী
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেই আব্বাস মুসা খেললেন ৪৪ বলে ৬৪ রানের ইনিংস, সঙ্গে তাসামুল হকের ফিফটিতে ভর করে পারটেক্স তুলেছিল ১৫৭ রান। তাসামুল এরপর হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেন, দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচে ফিরিয়েও আনলেন পারটেক্সকে। তবে মুসা বা তাসামুল ম্লান হয়ে গেলেন ইরফান শুক্কুরের কাছে। পাঁচে নেমে তার ২৯ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে মোহামেডান পারটেক্সের স্কোর পেরিয়ে গেল ১৪ বল বাকি রেখেই।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা পারটেক্স প্রথম উইকেট হারিয়েছিল তৃতীয় ওভারে, সাকিব আল হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন সায়েম আলম। নিজের প্রথম ওভারই সাকিব করেছিলেন উইকেট-মেইডেন, তবে শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে তিনি এদিন গুণেছেন ৩১ রান, ওই এক উইকেট নিয়েই। প্রথম ওভারেই শুভাগত হোমকে চার-ছয় মারা মুসা সাকিবের ওই মেইডেন ওভারে স্ট্রাইক পাননি, তাসকিনের পরের ওভারে মেরেছেন চার-ছয়। এরপর আবু জায়েদ রাহিকে মেরেছেন আরেকটি ছয়, পাওয়ারপ্লেতে পারটেক্স তুলেছিল ৪২ রান।
পাওয়ারপ্লের পর ৮ ওভারে মুসা ও তাসামুল মিলে তুলেছিলেন ৬৯ রান। এরপরই তাসকিন আহমেদ দিয়েছেন ব্রেকথ্রু, তাকে তুলে মারতে গিয়ে লিডিং-এজে ধরা পড়েছেন মুসা। ৩৬ বলে এদিন ফিফটি করেছিলেন মুসা, ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছয়। মুসাসহ মাঝে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়েছিল পারটেক্স, নাজমুল হোসেন মিলন ও ধীমান ঘোষও ফিরেছিলেন দ্রুতই। শেষদিকে ৩ চারে শফিউল হায়াত করেছিলেন ১১ বলে ১৮ রান, আর অন্যদিকে শেষ বলে রান-আউট হওয়া তাসামুল করেছেন ৫৬ বলে ৫৯ রান, ৬ চার ও ১ ছয়ে।
রানতাড়ায় পারভেজ হোসেন ইমন ও মাহমুদুল হাসান শুরুটা করেছিলেন আক্রমণাত্মকই, যদিও ১১ বলে ১৭ করে তাসামুলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয়েছে ইমনকে। আর তিনে নামা সাকিব আল হাসান পেয়েছেন গোল্ডেন ডাক- তাসামুলের দুর্দান্ত এক ডেলিভারির শিকার হয়ে। মিডলস্টাম্পে পড়া বলটা সাকিবকে বোকা বানিয়ে উপড়ে ফেলেছে অফস্টাম্প, বোলিংয়ে এসে প্রথম দুই বলেই দুই উইকেট নিয়ে দিনের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলেন তাসামুল। শামসুর রহমান অবশ্য সেটি হতে দেননি।
তৃতীয় উইকেটে শামসুর ও মাহমুদুল মিলে তুলেছিলেন ৪৫ রান। দুই বলের ব্যবধানে এ দুজন ফিরেছেন এরপর- প্রথমে ১৬ বলে ১৯ রান করা শামসুর ইমরানের বলে, পরে ২৬ বলে ৩৮ করা মাহমুদুল তাসামুলের বলে। আরেকবার পারটেক্সকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন তাসামুল, তবে তাদের মুখে হাসি এরপর কেড়ে নিয়েছেন ইরফান।
তিনি যখন নামেন, মোহামেডানের প্রয়োজন ছিল ৬৫ বলে ৮০ রান। নাদিফ চৌধুরিকে এরপর তিনি গড়লেন ওই ৮০ রানেরই অবিচ্ছিন্ন জুটি। মুখোমুখি ৬ষ্ঠ বলে ইরফান মেরেছেন প্রথম বাউন্ডারি, সব মিলিয়ে ইনিংসে মেরেছেন ৫টি চারের সঙ্গে ২টি ছয়। মইন খানকে চারের পর ছয়ে পৌঁছে গেছেন ফিফটিতে, মাত্র ২৮ বলে। এই ছয়েই টাই হয়েছিল ম্যাচ, এরপর ম্যাচজেতানো শটটিও খেলেছেন তিনি। অন্যদিকে তার সঙ্গী নাদিফ অপরাজিত ছিলেন ২৩ বলে ২৭ রান করে।