জহুরুল-মিরাজের জোড়া ফিফটিতে প্রথম জয় খেলাঘরের
লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ ১৩৮/৫, ২০ ওভার (আল-আমিন ৫১, আজমির ২৮, সাব্বির ২৩, জাকের ১৯*, মাসুম ২/৩৪, রিশাদ ১/৮, মিরাজ ১/২০)
খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি ১৪০/৩, ১৯.৩ ওভার (মিরাজ ৫৪, জহুরুল ৫৩*, মুক্তার ১/২২, শহিদ ১/২৬)
খেলাঘর ৭ উইকেটে জয়ী
মেহেদি হাসান মিরাজ ও জহুরুল ইসলামের জোড়া ফিফটিতে লিগে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয় পেয়েছে খেলাঘর। ১৩৮ রানতাড়ায় শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৮ রান, সোহাগ গাজির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে চার মেরে খেলাঘরের জয় নিশ্চিত করেছেন জহুরুল।
টসে হেরে ব্যাটিং নেওয়া রূপগঞ্জের শুরুটা হয়েছিল ধীরগতির, ৬ষ্ঠ ওভারে মাসুম খানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৮ রান করা সাদমান ইসলাম খেলেছিলেন ২২ বল। সে ওভারে ২ বলে শূন্যতে ফিরেছেন অধিনায়ক নাইম ইসলামও। অন্যদিকে থাকা আজমির আহমেদের সঙ্গে আল-আমিনের জুটিও টেকেনি বেশিক্ষণ, ২১ বলে ২৮ রান করে রিশাদ হোসেনের বলে ক্যাচ দিয়েছেন আজমির। যদিও রিশাদকে এরপর আর করানো হয়নি বোলিং।
এরপর সাব্বির রহমানের সঙ্গে ৫৫ ও জাকের আলির সঙ্গে ৩৬ রানের জুটির অংশ ছিলেন আল-আমিন, যিনি নিজে শেষের আগে বলে আউট হওয়ার আগে করেছেন ৪২ বলে ৫১, ৬ চারে। এর আগে সাব্বির ফিরেছিলেন ২১ বলে ২৩ রানে, আর শেষে জাকের অপরাজিত ছিলেন ১২ বলে ১৯ রানে। ৫ উইকেট হারালেও রূপগঞ্জ ১৩৮-এর ওপরে যেতে পারেনি আর। ব্যাটিংয়ে ফিফটির আগে বোলিংয়েও ভাল দিন কাটিয়েছেন মিরাজ, ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে তিনি নিয়েছিলেন সাব্বিরের উইকেট।
রানতাড়ায় অবশ্য শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়েছিল খেলাঘর- ইমতিয়াজ হোসেন ও সাদিকুর রহমান দুজনই ফিরেছিলেন ৯ রান করে। তৃতীয় উইকেটে মিরাজ ও জহুরুল এরপর টেনেছেন খেলাঘরকে, দুজনের জুটিতে এসেছে ৯৭ রান। মুক্তার আলির বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪৫ বলে ৫৪ রান করেছেন মিরাজ, ৬টি চারের সঙ্গে একটি ছয়ে। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে মিরাজের এটি ৪র্থ ফিফটি, যেটি পূর্ণ করেছিলেন ৩৯ বলে।
মিরাজ ফিরলেও জহুরুলকে ফেরাতে পারেনি রূপগঞ্জ, উইনিং শটে ফিফটিও পূর্ণ হয়েছে তার। ৪৪ বলে ৫৩ রানের ইনিংসে খেলাঘর অধিনায়ক মেরেছেন ৩টি করে চার ও ছয়, জয়ের সময় তার সঙ্গী ছিলেন ৮ বলে ৭ রান করা সালমান হোসেন। রূপগঞ্জের সানজামুল ইসলাম, মোহাম্মদ শহিদ ও মুক্তার নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
খেলাঘরের প্রথম জয়ের দিনে তৃতীয় ম্যাচে এসেও জয়শূন্য থাকলো রূপগঞ্জ, দুই হারের সঙ্গে একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে তাদের।