নাটকীয় ধসে শাইনপুকুরে ডুবল শেখ জামাল
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ১৩৭/৫, ২০ ওভার (রবি ৩৪*, তানজিদ ৩৪, হৃদয় ২৮, সাব্বির ২০, জিয়াউর ২/১৬, এবাদত ২/২৭, এনামুল ১/১৭)
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ১২৭ অল-আউট, ১৯.৫ ওভার (সানি ৩০, নাসির ২৮, তানভির ৩/৮, মুরাদ ২/৩৪, সুমন ১/২৩, সাজ্জাদ ১/২২৭)
শাইনপুকুর ১০ রানে জয়ী
১৩৮ রানতাড়ায় একসময় শেখ জামালের স্কোর ছিল ৭১ রানে ২ উইকেট, ৮.৪ ওভারে। এরপরই ১ রানে ৩, ২৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেললো তারা। তানভির ইসলাম, হাসান মুরাদদের সামনে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়লো তাদের ব্যাটিং লাইন-আপ, সঙ্গে রান-আউট বিভীষিকা যোগ হয়ে শাইনপুকুরে ডুবেই গেল তারা।
রানতাড়ায় শেখ জামালের কার্যকরী সৈকত আলি ও মোহাম্মদ আশরাফুলের জুটি অবশ্য এদিন বড় হয়নি, প্রথম ওভারেই হাসান মুরাদকে সুইপ করতে গিয়ে ফিরেছেন আশরাফুল। সৈকত স্টাম্পড হয়েছেন পরের ওভারে, তানভিরের বলে। ১৩ রানে ২ উইকেট হারানো শেখ জামালের সামনে যে চাপ ছিল, সেটি এরপর উড়ে গেছে চারে আসা ইলিয়াস সানির সঙ্গে নাসির হোসেনের জুটিতে। দুজন মিলে ৪১ বলে যোগ করেছিলেন ৫৮ রান, এরপরই শাইনপুকুরকে ব্রেকথ্রু দিয়েছেন ইফতেখার সাজ্জাদ। ২০ বলে ২৮ করে তাকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন নাসির। শেখ জামালের ধসেরও শুরু সেটি।
অধিনায়ক নুরুল হাসান ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন এরপর তানভির ইসলামকে, ২ বল পর তানভীর হায়দার অফস্টাম্পের বাইরের বলে হয়েছেন এজড। ইলিয়াস সানি ছিলেন, তবে সোহরাওয়ার্দি শুভর সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে প্রথমবার রান-আউট থেকে বেঁচে গেলেও পরে আর বাঁচেননি, ডাবলস নেওয়ার চেষ্টায় ফিরতে হয়েছে তাকে ২৫ বলে ৩০ রান করে।
শুভ ও জিয়াউর রহমান এরপর আটকে থাকার চেষ্টা করেছিলেন, তবে সফল হননি। হাসান মুরাদের বলে বোল্ড হয়েছেন শুভ, আর জিয়া হয়েছেন রান-আউট। শেষ ২ ওভারে শেখ জামালের প্রয়োজন ছিল ৩১ রান, মুরাদের করা ১৯তম ওভারে মোহাম্মদ এনামুলের মারা দুই ছয়ে ১৫ রান ওঠার পর নাটক জমেছিল একটু। তবে সুমন খানের শেষ ওভারের প্রথম বৈধ ডেলিভারিতে ইনিংসের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এনামুল রান-আউট হয়ে ফিরলে কার্যত আশা শেষ হয়ে গেছে শেখ জামালের, শেষ বলে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন এবাদতও। এদিন ৮ বোলারকে ব্যবহার করেছেন শাইনপুকুর অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয়- মিরপুরের মন্থর উইকেটে নতুন বোলারের চমক কাজেও এসেছে তার দলের জন্য। তানভির ৩ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৮ রানে, মুরাদ শেষের খরুচে ওভারসহ ৩৪ রান গুণলেও নিয়েছেন ২টি উইকেট।
এর আগে শাইনপুকুর ১৩৭ পর্যন্ত গিয়েছিল পাঁচে নামা রবিউল ইসলাম রবির ২৬ বলে ৩৪ রানে ভর করে। সাব্বির হোসেন ও তানজিদ হাসানের ওপেনিং জুটি ভাল একটা ভিত গড়েছিল ৫৪ রানে, তবে গিয়ার বদলানোর আগেই ফিরে গেছেন তারা। সাব্বির করেছিলেন ২৩ বলে ২০, তানজিদ ৩১ বলে ৩৪। তিনে নামা হৃদয়ও খেলেছেন ৩০ বল, তবে এবাদতের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৮ রানের বেশি করা হয়নি তার।
শেখ জামালের এবাদত ও জিয়া নিয়েছিলেন ২টি করে উইকেট, জিয়া খরচ করেছিলেন ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান। তখন পর্যন্ত সময়টা ছিল তাদেরই। তখন কে জানতো, কী নাটকীয় ধস অপেক্ষা করছে তাদের জন্য।