শামিম-শরিফুল্লাহতে গাজিকে আটকে দিয়ে শীর্ষে দোলেশ্বর
প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ১৪৪/৬, ২০ ওভার (রাব্বি ৩৯, সাইফ ৩৭, শামিম ২৫, তৌফিক ১৫, নাসুম ২/১১, মুকিদুল ২/২৩, মাহমুদউল্লাহ ২/২৯)
গাজি গ্রুপ ক্রিকেটার্স ১০৮ অল-আউট, ১৮.৫ ওভার (আরিফুল ৩৭, জাকির ১৪, শামিম ২/১৭, শরিফুল্লাহ ২/২১, এনামুল জুনিয়র ২/১০, রেজা ১/১৮, রাজা ১/১১)
দোলেশ্বর ৩৬ রানে জয়ী
প্রথমে খেলেছেন ১৮ বলে ২৫ রানের ইনিংস, খুব বড় না হলেও প্রাইম দোলেশ্বরকে ১৪০ পেরুতে সহায়তা করেছিল সেটি। এরপর বোলিংয়ে আরেকদফা ঝলক দেখালেন শামিম হোসেন, সঙ্গে শরিফুল্লাহর তোপে পড়ে গাজি গ্রুপ গুটিয়ে গেল ১০৭ রানেই। এ জয় দিয়ে টেবিলের শীর্ষেও উঠে গেছে দোলেশ্বর, ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে।
আগের ম্যাচেও ১৫১ রান তাড়া করে জিতেছিল গাজি গ্রুপ, এ লিগে দেড়শর ওপর রান তাড়া করে জেতার প্রথম ঘটনা ছিল যেটি। তবে এবার প্রাইম দোলেশ্বরের সামনে গাজি গ্রুপের ইনিংসে নামলো ধস। একসময় ৬৬ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা, এরপরও ১০৭ পর্যন্ত যাওয়ার পেছনে অবদান মূলত আরিফুল হকের ৩৪ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে, তবে শেষ পর্যন্ত সেটি শুধু ব্যবধানই কমাতে পেরেছে তাদের পরাজয়ের। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শাইনপুকুরে শেখ জামাল ডোবার পর এবার দোলেশ্বরে বধ হলো তাই গাজি গ্রুপ।
রানতাড়ায় গাজি গ্রুপের শুরুটা হয়েছিল আশাজাগানিয়া। তবে দুই ওপেনার শাহাদাত হোসেন দিপু ও সৌম্য সরকার ফিরেছেন বড় শটের চেষ্টায়, তাদের খেই হারানোও শুরু তখন থেকেই। শামিমকে টেনে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন দিপু, আর ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে শরিফুল্লাহকে ইনসাইড-আউট করতে গিয়ে লং-অফে ধরা পড়েছেন সৌম্য। গাজির এরপরের দুই উইকেটও নিয়েছেন শরিফুল্লাহ ও শামিম- যথাক্রমে এ দুজনকে সামনে গিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও মুমিনুল হক। এ দুজনই আগের ম্যাচে করেছিলেন ফিফটি।
জাকির হাসানের রান-আউট গাজির দুর্দশা বাড়িয়েছে আরও। এরপর এনামুল হক জুনিয়র নিয়েছেন দুই উইকেট- আকবর আলি ও মাহাদি হাসান তার বলে দিয়েছেন ক্যাচ। মাহাদিকে বেশ পরে পাঠানো হয়েছিল, তবে আরিফুলকে সঙ্গ দেওয়ার আগেই ফিরে গেছেন তিনি। রেজাউর রহমান রাজাকে নাসুম আহমেদ ফিরতি ক্যাচ দিলে গাজি ডুবেছে আরেকটু, মুকিদুল ইসলামকে নিয়ে আরিফুলের ৩৫ রানের রানের জুটিও আর টেনে তুলতে পারেনি তাদের। ১৯তম ওভারে ফরহাদ রেজার শিকার হয়েছেন আরিফুল, সে ওভারেই নাহিদ হাসানের রান-আউট দিয়ে শেষ হয়েছে ম্যাচ।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট হারালেও ৪৬ রান তুলেছিল দোলেশ্বর, অবশ্য ইমরান উজ জামান বা তৌফিক খান- দুই ওপেনারের কেউই স্কোর বড় করতে পারেননি, দুজনই নাসুম আহমেদের শিকার। তৃতীয় উইকেটে সাইফ হাসান ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি যোগ করেছিলেন ৬৫ রান। সমানসংখ্যক বলে ৩৭ রান করে সাইফ, ৩১ বলে ৩৯ রান করে রাব্বি- এ দুজন ক্যাচ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহর বলে।
নাসুমকে ২ ওভার করিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, নিজে করেছেন ৪ ওভার। নাসুম-মাহমুদউল্লাহর পর দুই উইকেট নিয়েছেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধও- শামিম হোসেন পাটোয়ারি ও ফরহাদ রেজা তার শিকার। শেষ ৫ ওভারে দোলেশ্বর ৩৩ রানের বশি তুলতে পারেনি, শামিমের ১৮ বলে ২৫ রানের ইনিংসের পরও। দোলেশ্বর ইনিংসে ছিল দুটি ছয়, যে দুটি মেরেছেন তৌফিক ও রাব্বি।