দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও জিততে পারল না আর্জেন্টিনা
ফুলটাইম স্কোর: কলম্বিয়া ২-২ আর্জেন্টিনা
ম্যাচের তখন ইনজুরি সময়ের খেলা চলছে। প্রথম আট মিনিটে পাওয়া দুই গোলের লিড তখন কমে এলেও জয়ের সুবাস পাচ্ছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু হুয়ান কোয়াদ্রাদোর দারুণ ক্রসটা বক্সে ভেসে আসলে নিচু হেডে বাঁ কোণা দিয়ে বল জালে জড়ান বদলি স্ট্রাইকার মিগুয়েল বোরজা। আর্জেন্টাইন বদলি গোলকিপার অগাস্তিন মারচেসিন তাতে হাত ছোঁয়ালেও লাভ হয়নি কোনো। আর্জেন্টিনার মুঠো থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে ম্যাচে সমতা ফেরায় কলম্বিয়া। টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে কোপা আমেরিকা শুরু করবে মেসিরা।
এর আগে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কলম্বিয়ার আরেক বদলি স্ট্রাইকার লুইস মুরিয়েল ব্যবধান কমান পেনাল্টি থেকে। ওটামেন্ডির কনুইয়ের আঘাতে ম্যাথিউস উরাইব পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
এস্তাদিয়ো মেট্রোপলিতানোতে ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ছিল আর্জেন্টিনার। আগের ম্যাচের একাদশ থেকে পাঁচটি পরিবর্তন এনেছিলেন স্কালোনি। তিন মিনিটেই ডান প্রান্ত থেকে দে পলের দারুণ এক ফ্রি-কিক থেকে হেড দিয়ে দলকে এগিয়ে দেন ক্রিস্টিয়ান রোমেরো। মিনিট পাঁচেক পরে আবারও গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। বক্সের মধ্যে লাউতারো মার্টিনেজের সাথে ওয়ান-টু করে বল পেয়ে যাওয়া লিয়ান্দ্রো পারেদেস ঠাণ্ডা মাথায় ফিনিশ করে লিড দ্বিগুণ করে দেন সফরকারীদের। ২০১১ সালের পর এই প্রথম বাছাইপর্বে প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যে দুই গোল পায় আর্জেন্টিনা।
প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা প্রাধান্য বিস্তার করলেও কোয়াদ্রাদোর নেতৃত্বে কলম্বিয়াও মাঝেমধ্যে শানাতে থাকে আক্রমণ। ৪০ মিনিটে ইয়েরি মিনার সাথে সংঘর্ষের পর এমি মার্টিনেজ মাথায় আঘাত পেয়ে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়েন। মাঝবিরতিতে তাই স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি আর্জেন্টিনা।
বিরতির পর আর্জেন্টিনাকে চেপে ধরে স্বাগতিকরা। লুইস মুরিয়েলের পেনাল্টিতে গোল পাওয়ার পরও আক্রমণ চলতে থাকে কলম্বিয়ার। অবশ্য এরই ফাঁকে ওসপিনা দুইবার গোলবঞ্চিত করেন মেসিকে। ম্যাচে ছিল শারীরিক শক্তির প্রদর্শনীও, চিলির রেফারি রবার্তো তোবারকে নয়বার পকেট থেকে বের করতে হয়েছে হলুদ কার্ড।
এই ড্রয়ের ফলে এখন পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দ্বিতীয় স্থানেই থাকল আলবিসেলেস্তেরা।
১৫ জুন রাত ৩টায় চিলির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে আর্জেন্টিনার কোপা-মিশন।