দাপুটে পারফরম্যান্সে ব্রাদার্সকে উড়িয়ে দিল গাজি, টানা ৭ম হার পারটেক্সের
গাজি গ্রুপ ক্রিকেটারস ১৭৩/৬, ২০ ওভার (মাহাদি ৪৭, ইয়াসির ৪৭, আরিফুল ৩৫*, মুমিনুল ২৫, আলাউদ্দিন ৪/২৫, রাহাতুল ১/৭)
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৮৫/৫, ১১.২ ওভার (লক্ষ্য ১১.২ ওভারে ১০১) (সুজন ২৬, নুরুজ্জামান ২২, মাইশুকুর ১৮, নাসুম ৩/১৬, মাহাদি ১/১৫, মহিউদ্দিন ১/১৭)
গাজি গ্রুপ ডিএল পদ্ধতিতে ১৫ রানে জয়ী
প্রথমে খেলেছেন ঝড়ো ইনিংস, এরপর বোলিংয়ে দিয়েছেন প্রথম ব্রেকথ্রু। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে গাজি গ্রুপের দাপুটে শো-তে হাইলাইটস মাহাদি হাসানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সই।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই মাহাদি ও সৌম্য সরকার শুরু করেছিলেন ঝড়। চতুর্থ ওভারে আলাউদ্দিন বাবুর বলে সৌম্য যখন আউট হন, গাজির রান ততক্ষণে হয়ে গেছে ৪৮। মাহাদি ছিলেন আরও কিছুক্ষণ। ২১ বলে ৪৭ রানের ইনিংসে মেরেছিলেন ৬টি চার ও ৩টি ছয়, যেটিও শেষ হয়েছে আলাউদ্দিনের বলেই। ঠিক পরের বলে মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন তিনি।
দ্রুত দুই উইকেটের চাপ গাজি গ্রুপ সামাল দিয়েছে মুমিনুল হক ও ইয়াসির আলি রাব্বির জুটিতে, ২৭ বলে ২৫ রান করে মুমিনুল ফিরলেও ইয়াসির করেছেন ৩৯ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৭ রান। শেষদিকে ইয়াসিরের সমানসংখ্যক চার ছয়ে ২১ বলে ৩৫ রানের ক্যামিওতে দলকে ১৭৩ পর্যন্ত নিয়ে গেছেন আরিফুল, যা এ মৌসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
রানতাড়ায় পাওয়ারপ্লেতে ৪৭ রান তুলতে ২ উইকেট হারিয়েছিল ব্রাদার্স- মাহাদির বলে জুনাইদ ক্যাচ দেওয়ার পর মহিউদ্দিন তারেককে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছিলেন মিজানুর রহমান। এরপর সুজন হাওলাদারের ১৬ বলে ২৬, নুরুজ্জামানের ১৯ বলে ২২ রানের পর মাইশুকুর রহমান খেলেছেন ১২ বলে ১৮ রানের ইনিংস, তবে ১১.২ ওভার পর নামা বৃষ্টি-বিরতির আগে ডিএলে সেটি যথেষ্ট ছিল না তাদের জন্য। খেলা এরপর আর শুরু হয়নি, গাজিও পেয়েছে বড় জয়ই।
****
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব ১০৬/৮, ২০ ওভার (রাজিবুল ২৮*, তাসামুল ১৮, ইরফান ৩/২৩, মিরাজ ২/১৫, টিপু ২/১৮)
খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি ৫০/২, ৭ ওভার (লক্ষ্য ৭ ওভারে ৩৬) (ইমতিয়াজ ২৭, মিরাজ ১২, জয়নুল ১/১০, নিহাদুজ্জামান ১/১০)
খেলাঘর ডিএল পদ্ধতিতে ১৫ রানে জয়ী
হেরেই চলেছে পারটেক্স। এবার খেলাঘরের সঙ্গে বাজে ব্যাটিং পারফরম্যান্সের পর টানা ৭ ম্যাচ হারলো তারা। আগে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ১০৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা, সাতে নামা রাজিবুল হাসানের ২৬ বলে ২৮ রানই ছিল ইনিংস-সর্বোচ্চ। এছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন আর দুজন।
পারটেক্সকে প্রথম আঘাত করেছিলেন মিরাজ, প্রথম ৩ উইকেটের একটি ছিল রান-আউট, বাকি দুটি নিয়েছেন তিনি। ডানহাতি পেসার ইরফান হোসেন নিয়েছেন ৩ উইকেট, ২টি নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার টিপু সুলতানও।
রানতাড়ায় প্রথম ওভারে ওপেনার শাহরিয়ার রহমানকে হারিয়েছিল খেলাঘর, তবে দ্বিতীয় উইকেটে ইমতিয়াজ হোসেন ও মেহেদি হাসান মিরাজ একটু ধাতস্থ করেছেন তাদেরকে। ইমতিয়াজ ফিরেছিলেন ১৫ বলে ২৭ রান করে, তবে তার ৪ চার ও ১ ছয়ের ইনিংস ডিএলে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছিল খেলাঘরকে। ৭ ওভারের পর আর খেলা হয়নি, তবে সেটি যথেষ্ট হয়েছে খেলাঘরের জন্য।