• ইউরো ২০২০
  • " />

     

    তুরস্ককে উড়িয়ে ইউরোর শুরুতে বার্তা দিল ইতালি

    তুরস্ককে উড়িয়ে ইউরোর শুরুতে বার্তা দিল ইতালি    

    রোমে নিজেদের মাঠে ইউরোর শুরুটা দারুণ হয়েছে ইতালির। তুরস্ককে ৩-০ গোলে হারিয়ে পেয়েছে টুর্নামেন্টের প্রথম জয়। আত্মঘাতী প্রথম গোলের পর ইতালির হয়ে ব্যবধান বাড়িয়েছেন চিরো ইম্মোবিলে ও লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে।

    ম্যাচের আগে ইতালি কোচ মানচিনি বলেছিলেন, তিনি চান তার দলের খেলা মানুষ উপভোগ করুক। সেই চাওয়া অনেকটাই পুরণ হয়েছে। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল ইতালি। আজ্জুরিরা ইউরোতে সর্বশেষ প্রথম অর্ধে দশের বেশি শট নিয়েছিলো ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। তুরস্কের বিপক্ষে এ ম্যাচে শুরুর ৪৫ মিনিটে নিয়েছে ১৪টি শট। 



    প্রথমার্ধে ইতালি বারবার সুযোগ তৈরি করছিলো। তবে ফাইনাল থার্ডে ইনসিনিয়ে, বেরার্ডি, স্পিনাজ্জোল্লারা সুযোগ কাজে লাগাতে পারছিলেন না। ২৩ মিনিটে সবচে ভালো সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ইতালির অধিনায়ক জর্জিও কিয়েল্লিনি। ইনসিনিয়ের কর্নার থেকে পাওয়া বল একাই পেয়েছিলেন কিয়েল্লিনি, তবে তার হেডে মারা বল তুরস্কের গোলকিপার চাকিরের আঙ্গুলের ছোয়ায় বারের উপর দিয়ে গেছে। ইনসিনিয়ে আরেকবার বক্সে বাঁ পাশে একা বল পেয়ে শট মেরেছেন বেশ বাইরে। এভাবে ম্যাচের প্রথমার্ধে দাপট দেখালেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না ইতালি।

    অবশেষে তারা গোলের দেখা পায় ম্যাচের ৫৩ মিনিটে এসে। তা তুরস্কের ভালো রক্ষণের খারাপ ভুলে। সেটিও আবার ইউরোতে ইতালির পাওয়া প্রথম আত্মঘাতী গোল! ইউরো কাপের প্রথম গোল এর আগে কোনওদিনই আত্মঘাতী হয়নি। রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোতে বেরার্ডির ক্রস তুর্কি ডিফেন্ডার মেরিহ দেমিরেলের বুকে লেগে পৌছে যায় জালে। এরপর তুরস্কের দুর্দান্ত রক্ষণ এলোমেলো হয়ে যায়। এর আগে বেশ ডিপে গিয়ে খেলা সেনল গুয়েজের শিষ্যরা গোল পেতে মনযোগী হয়। ইতালিও একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। 

    বেরার্দির ডান পায়ে নেয়া একটা শট ভালো সেভ দিয়েছিলেন চাকির। বেরার্দি মাঠে যতক্ষণ ছিলেন দুর্দান্ত খেলেছেন। তার ডান ক্রস ম্যাচের ৬৬ মিনিটে ফাঁকা অবস্থায় খুজে নেয় স্পিনাজ্জোলাকে। ইতালির এই ফুলব্যাকের দ্রুতগতির শট এরপর চাকির ফিরিয়ে দিলে সামনে থাকা ইমমোবিলে পেয়ে যান। সেটা জালে জড়িয়ে দিতে ইতালির এ স্ট্রাইকারের কোনও সমস্যা হয় না। এরপর ৭৯ মিনিটে তুরস্কের রক্ষণের ভুলে বল পেয়েছিলেন ইম্মোবিলে। তার পাস থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যবধান বাড়ান ইনসিনিয়ে। 

    এই জয় নিয়ে টানা ২৮ ম্যাচে অপরাজেয় থাকলো ইতালি। গোলহজম বিহীন এ নিয়ে ইতালি টানা ৯ ম্যাচ পার করলো। সেই সাথে ‘স্পেশাল’ ইউরোর সুচনার দিনে জানান দিল, তারা শেষ পর্যন্ত যাওয়ার জন্যই খেলবে এবার।