• ইউরো ২০২০
  • " />

     

    লুকাকু-মিউনিয়েরে রাশিয়াকে হারিয়ে ইউরো শুরু করল বেলজিয়াম

    লুকাকু-মিউনিয়েরে রাশিয়াকে হারিয়ে ইউরো শুরু করল বেলজিয়াম    

    ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের ঘটনায় কাল বিহবল হয়ে ছিল ফুটবলবিশ্ব। এর মধ্যেই শুরু হলো বেলজিয়াম-রাশিয়ার ম্যাচ। তাতে রোমেলু লুকাকুর জোড়া গোলের সঙ্গে থমাস মিউনিয়েরের আরেকটিতে সহজেই রাশিয়াকে ৩-০ গোলে হারাল বেলজিয়াম।

    শুরুর কয়েক মিনিটে খেলা ছিল বেলজিয়ামের নিয়ন্ত্রণে। তবে ম্যাচের পাঁচ মিনিটে প্রতি-আক্রমণে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারতেন রুশ ফরোয়ার্ড জুবা। বাঁ দিক দিয়ে ড্রিবল করে এগিয়ে যাওয়ার পর সেন্ট্রাল স্পেসে বল বাড়ালে তা বেলজিয়াম ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে আসে। এরপর ম্যাচের ১০ মিনিটেই গোল পেয়ে যায় বেলজিয়াম। মার্টেন্স যখন ক্রস করছিলেন, তখন লুকাকু ছিলেন অফসাইড পজিশনে। কিন্ত বল রাশিয়ান ডিফেন্ডার সেমেনভের গায়ে লাগার পর তিনি অনসাইড পজিশনে চলে আসার পর বল পেয়ে যান সেমেনভেরই ভুলে। এরপর টার্ন করেই বাঁ পায়ে শট নেন। বল জাড়ে জড়াতেই ডানদিকে কর্নার ফ্ল্যাগের কাছাকাছি এসে ক্যামেরায় তাকিয়ে বলেন, ‘ক্রিস, ক্রিস, আই লাভ ইউ’। ঘন্টাখানেক আগেই তার ইন্টার মিলান সতীর্থ ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন যে ছিলেন মরণাপন্ন অবস্থায়। 



    ৩৪ মিনিটে গোলকিপারের ভুলে আবার গোল পেয়ে যায় বেলজিয়াম। থর্গ্যান হ্যাজার্ডের বাঁ পাশ থেকে করা ক্রস শুনিন ক্লিয়ার করতে গেলে বল চলে যায় গোলের সামনে থাকা মুনিয়েরের কাছে। কাস্তানিয়ার ইনজুরিতে মাঠে নামা মুনিয়েরের শট খুঁজে পায় জাল।

    তবে বেলজিয়ামে এর আগেই দ্বিতীয় গোলের দেখা পেতে পারত। ম্যাচের ১৮ মিনিটে মাঝমাঠে রাশিয়ার ভুল পাসে লুকাকু বল পেয়ে গেলে ড্রিবল করে এগিয়ে যান বক্সের আগ পর্যন্ত। এরপর রাশিয়ান ডিফেন্ডারের ট্যাকলে পড়ে গিয়ে আবার গোললাইনের কাছে বলের দখল নেন। সেখান থেকে গোলপোষ্টের সামনে দেনদঙ্কারের দিকে বল বাড়ালে বেলজিয়ান এই মিডফিল্ডারের শট ছিল গোলের ডজন ডজন দূরে। প্রথমার্ধে আরও একবার ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল রেড ডেভিলদের কাছে। যোগ করা সময়ে কারাস্কো বাঁ পাশ থেকে বক্সে ঢুকে দুজন ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে শট নিলে তার শটও চলে যায় বারের উপর দিয়ে। 

    প্রথম ৪৫ মিনিটে রাশিয়ার একমাত্র অনটার্গেটে হেডারটা ছিল একেবারে জায়গায় থাকা কিপারের দিকে। প্রথমার্ধ শেষে তাই ব্যবধান থাকে ২-০। ২-০ গোলে পিছিয়ে এর আগে যে এগারোবার রাশিয়া প্রথমার্ধ শেষ করেছিল, তার মধ্যে একটি ম্যাচেও হার এড়াতে পারেনি। দুবার ড্র করতে পেরেছিলো। এ ম্যাচেও ড্র করতে পারলে হাসিমুখে মাঠ না ছাড়ার কোনও কারণ থাকতো না রাশিয়ার। কিন্ত বেলজিয়ামের দুশ্চিন্তার জায়গা হিসাবে ভাবা রক্ষণে তেমন আঘাত হানতে পারেনি রাশিয়া দ্বিতীয়ার্ধে। বাঁ পাশে থর্গ্যান হ্যাজার্ডের সাথে ভাই এদেন হ্যাজার্ড যোগ দিয়ে আক্রমণভাগ আরও সচল করেছেন। ৮৮ মিনিটে এরপর আরেকবার বল জালে পাঠিয়ে দুদলের মধ্যে পার্থক্যটা আরও স্পষ্ট করেছেন লুকাকু। 

    বদলি হিসেবে নেমে সুযোগটা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন থমাস মুনিয়ের। তার থ্রু পাসে বাড়ানো বল লুকাকু রিসিভ করে এগিয়ে গেছেন দুরন্ত গতিতে। গতিতে রাশিয়ান ডিফেন্ডার দিভিভকে পরাস্ত করে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে করেছেন গোল। যেটি ছিল বেলজিয়ামের জার্সিতে শেষ ১৯ ম্যাচে তার ২২তম গোল। ডি ব্রুইনকে ছাড়াই বড় জয়ে জানান দিয়েছেন, কেন বেলজিয়াম এবারও ফেবারিট।