• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি ২০২১
  • " />

     

    সাকিব ছাড়া মোহামেডানের জয়, পারটেক্সের টানা ৮, অলরাউন্ডার সৈকত

    সাকিব ছাড়া মোহামেডানের জয়, পারটেক্সের টানা ৮, অলরাউন্ডার সৈকত    

    মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ১৫৯/৫, ২০ ওভার (ইরফান ৬৮, মজিদ ২৯, শামসুর ১৭, রাকিবুল ২/৩০, আলিস ১/২১, আসাদুজ্জামান ১/৪০) 
    ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব ১১৫/৪, ১৬ ওভার (লক্ষ্য ১৬ ওভারে ১২৫) (জয় ২৬, ইমন ২৩, মোহাইমিনুল ২০*, শুভাগত ২/২৫, তাসকিন ১/১২)
    মোহামেডান ডিএল পদ্ধতিতে ৯ রানে জয়ী 


    সাকিবকে ছাড়া প্রথম ম্যাচে ইরফান শুক্কুরের ৪২ বলে ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংসের পর বোলারদের সমন্বিত পারফরম্যান্সে ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে জয় পেয়েছে মোহামেডান। ওল্ড ডিওএইচএস ইনিংসে ১৩.৪ ওভারের পর নেমেছিল বৃষ্টি, নতুন লক্ষ্যে ১৬ ওভারে ১২৫ রান করতে হতো তাদের, ফলে শেষ ১৪ বলে তাদের প্রয়োজন ছিল ২৫ রান, ৭ উইকেট বাকি রেখে। তবে তাসকিন আহমেদ ও আবু জায়েদ রাহি আটকে দিয়েছেন তাদের। 

    টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা মোহামেডান প্রথম উইকেট হারিয়েছিল ৬ষ্ঠ ওভারে- ১৫ বলে ১৪ করে রাকিবুল হাসানের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। এরপর এসেছিলেন ইরফান শুক্কুর, প্রথম ৬ বলে যিনি করেছিলেন ২ রান। মোহাম্মদ শান্তকে প্রথম ছয় মেরেছিলেন, এরপর আবার ছিলেন চুপচাপ। ১২তম ওভারে গিয়ে একই বোলারকে মেরেছিলেন আরেকটি ছয়। প্রথম ১৮ বলে ২০ রান করা শুক্কুর পরের ৪৮ রান করেছেন ২৪ বলে। শেষ পর্যন্ত ইনিংসে ৩টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছয়।



    রানতাড়ায় সেভাবে উইকেট হারায়নি ওল্ড ডিওএইচএস, তবে আবারও মন্থর ব্যাটিং থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি তারা। দুই ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন ও রাকিন আহমেদ করেছেন যথাক্রমে ২৮ বলে ২৩ ও ২১ বলে ১৭। এরপর মাহমুদুল হাসান জয় ১৮ বলে ২৬ ও অধিনায়ক মোহাইমিনুল খান ১৭ বলে ২০ করলেও যথেষ্ট হয়নি তা। 

    বৃষ্টির পরের দুই ওভারে তাসকিন আহমেদ ও আবু জায়েদ রাহি দিয়েছেন যথাক্রমে ৪ ও ৮ রান, তাসকিন নিয়েছেন জয়ের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটও। তাসকিন ৩ ওভারে এদিন দিয়েছেন মাত্র ১২ রান, আগের ম্যাচের নায়ক শুভাগত হোম ২ উইকেট নিয়েছেন ২৫ রানে। 

    ****

    পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব ১৩৪/৭, ২০ ওভার (হাসানুজ্জামান ৪৪, মইন ৩৩, তাসামুল ২২, রেজা ২/১৮, শামিম ১/৫, রেজাউর ১/১৬, শামিম ১/৫)
    প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ১৩৬/৫, ১৯.২ ওভার (ফজলে রাব্বি ৭১, সাইফ ২০, মার্শাল ১৬, শামিম ১৪*, শাহাদাত ২/২০, মইন ১/২৩, জয়নুল ১/২৩, মেহরাব ১/৩৩)
    প্রাইম দোলেশ্বর ৫ উইকেটে জয়ী 


    ফজলে মাহমুদ রাব্বির ৫৭ বলে ৭১ রানের ইনিংসে ভর করে জয়ের ধারায় ফিরেছে প্রাইম দোলেশ্বর। টানা দুই ম্যাচ পর আবারও জিতল তারা, প্রথম ম্যাচ শেষে আবাহনীকে টপকে গেছে তারা এই জয়ে। অন্যদিকে পারটেক্স হারলো টানা ৮ ম্যাচ, লিগে এখনও জয়শূন্য তারা। 

    ১৩৬ রানতাড়ায় ১ রানেই ২ উইকেট হারিয়েছিল দোলেশ্বর, তবে রাব্বির ইনিংস আগলে রেখেছিল তাদের। সাইফ হাসানকে নিয়ে ৭০, মার্শাল আইয়ুবের সঙ্গে ৩৩ এবং পরে শামিম পাটোয়ারির ১৯ রানের জুটির অংশ ছিলেন তিনি। জুবাইর হোসেনকে ছয় মেরে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি পূর্ণ করেছিলেন, জয় থেকে ১১ রান দূরে থাকতে আউট হওয়ার আগে ইনিংসে ৭টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৩টি ছয়। শেষদিকে শামিম পাটোয়ারির ৯ বলে ১৪ রানের ক্যামিওতে ৪ বল বাকি রেখেই জয় নিশ্চিত করেছে দোলেশ্বর। 

    এর আগে ব্যাটিংয়ে নামা পারটেক্সের ইনিংস ছিল বিপরীতমুখি। ওপেনার হাসানুজ্জামান করেছিলেন ২৯ বলে ৪৪, ছয়ে নামা মইন খান ২৩ বলে ৩৩। এছাড়া একশ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করতে পারেননি আর কেউ, ১৩৪-এর ওপরেও যাওয়া হয়নি তাদের। দোলেশ্বরের ৬ বোলারের সবাই নিয়েছেন উইকেট, সেখানে ৪ ওভারে ১৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অধিনায়ক ফরহাদ রেজা। 

    ****

    লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ ১৩৭/৬, ২০ ওভার (সাব্বির ৪১, নাইম ৩০*, আল-আমিন ১৯, শাকিল ২/২৩, সৈকত ২/২৪, সোহরাওয়ার্দি শুভ ১/২৫)
    শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ১২৭/৮, ১৮ ওভার (নুরুল ৪৪*, সৈকত ৪৩, হোসাইন ২/২৮, শহিদ ১/৩৮) 
    শেখ জামাল ডিএল পদ্ধতিতে ৭ রানে জয়ী 


    লিগে প্রথমবার বোলিং করতে এলেন, ইনিংসে ৭ম বোলার হিসেবে। প্রথম ওভারে ৫ রান দেওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারে নিলেন আল-আমিনের উইকেট, সৈকত আলি এরপর করলেন ৪ ওভার, ২৪ রান দিয়ে উইকেট নিলেন আরও একটি। ক্যারিয়ারেই এটি তার সেরা বোলিং ফিগার। এরপর তার আসল যে কাজ, সেই ব্যাটিংয়ে ওপেনিংয়ে নেমে ২ চার ও ৪ ছয়ে ৩০ বলে করলেন ৪৩ রান। অলরাউন্ডার সৈকতের সঙ্গে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ৩০ বলে ৪৪ রানের ইনিংসে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে শেখ জামাল। 

    টসে হেরে শুরুতে ব্যাটিং করেছিল রূপগঞ্জ, তবে সাব্বির রহমানের ৩১ বলে ৪১, অধিনায়ক নাইম ইসলামের ১৯ বলে ৩০ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১৩৭ পর্যন্ত যেতে পেরেছিল তারা। তৃতীয় উইকেটে আল-আমিন ও সাব্বিরের জুটিতে উঠেছিল ৩৮ রান, এরপরের সর্বোচ্চ জুটি এসেছিল ৬ষ্ঠ উইকেটে। সৈকত ছাড়াও শেখ জামালের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন সালাউদ্দিন শাকিল, ২৫ রানে একটি নিয়েছিলেন সোহরাওয়ার্দি শুভ। 

    রানতাড়ায় ওপেনিংয়ে আসা নাসির হোসেন ফিরেছিলেন দ্রুতই, তবে এরপর লিগে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা ইমরুল কায়েসের সঙ্গে সৈকতের জুটি শেখ জামালকে এগিয়ে নিয়ে গেছে অনেকখানি। ইমরুল ও সৈকত ফিরেছিলেন হোসাইন আলির এক ওভারেই, তবে এরপর ঠিক সৈকতের মতোই ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক নুরুল। ইলিয়াস সানিকে নিয়ে তার জুটিতে উঠেছিল ৬১ রান। ১৮তম ওভারের শেষ বলে ইলিয়াস সানির উইকেটের পরই বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় খেলা, তবে সে উইকেটের পরও ডিএলে এগিয়েই ছিল শেখ জামাল।