• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি ২০২১
  • " />

     

    মুনিমের ৯২*-এ আবাহনীর, মাহমুদউল্লাহর ৫৮*-তে জয় গাজি গ্রুপের

    মুনিমের ৯২*-এ আবাহনীর, মাহমুদউল্লাহর ৫৮*-তে জয় গাজি গ্রুপের    

    আবাহনী লিমিটেড ১৮৩/৩, ২০ ওভার (মুনিম ৯২*, শান্ত ৩০, নাইম ২৯, শরিফুল ২/৩৮, অলক ১/৩২)
    প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১৪৩/৬, ১৯ (১৯ ওভার লক্ষ্য ১৭৪) (তামিম ৫৫, মিঠুন ৩৪, নাহিদুল ১৬, বিপ্লব ২/২০, তানজিম ২/৩৫, সাইফউদ্দিন ১/২১) 
    আবাহনী ডিএলে ৩০ রানে জয়ী 


    মুনিম শাহরিয়ারের মৌসুম-সর্বোচ্চ ইনিংসের পর প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে বড় ব্যবধানের জয় পেয়েছে আবাহনী। তামিম ইকবাল মৌসুমের প্রথম ফিফটি পেয়েছেন, তবে বিফলে গেছে সেটি। 

    টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আবাহনীর শুরুটা ভাল করেছিলেন মুনিম ও নাইম শেখ। পাওয়ারপ্লেতেই দুজন মিলে তুলেছিলেন ৪৯ রান। অবশ্য এর ঠিক পরের বলেই ফিরেছেন নাইম, ২৭ বলে ২৯ করে শরিফুলের বলে বোল্ড হয়ে।



     শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা মুনিম নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটিতে তুলেছেন ৪৬ রান, সে ব্রেকথ্রু দিয়েছেন অলক কাপালি- ২১ বলে ৩০ করে টেনে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। এরপর মুশফিকের সঙ্গে ৫১ এবং শেষে আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৩৭ রানের জুটির অংশ ছিলেন তিনি। 

    মুনিম এদিন ফিফটি করেছেন ২৯ বলে, অবশ্য ৪৩ রানে একটা জীবন পেয়েছিলেন কাপালির বলে- সেটিও হয়েছিল ছয়। এর আগে ২০ রানে ব্যাটিংয়ের সময় একবার বেঁচে গেছেন ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে বল মিস করেও, উইকেটকিপার এনামুল হক বিজয় ঠিক সময়মতো নিতে পারেননি বলটা। ইনিংসে মুনিম মেরেছেন ৯টি চার ও ৫টি ছয়, শেষ ৬ ওভারে আবাহনী তুলেছে ৬৬ রান। 

    রানতাড়ায় রনি তালুকদার তৃতীয় ওভারেই ফিরলেও এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে তামিমের জুটিতে উঠেছিল ৫৩ রান। প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক এনামুল অবশ্য ফিরেছেন ১৩ বলে ১১ রান করে। তামিম ফিফটি পূর্ণ করেছেন ৩৭ বলে, মোসাদ্দেককে ছয় মেরে। তবে এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি, আরাফাত সানির বেশ বাইরের বলে টেনে মারতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেছেন ৪১ বলে ৫৫, ৮ চার ও ১ ছয়ে। 

    প্রাইম ব্যাংকের এরপরের আশা ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন, তবে রান-বলের ব্যবধান বাড়ছিল ক্রমেই। বৃষ্টি-বিলম্বের পর সেটি বেড়েছে আরও, শেষ ১৮ বলে তাদের প্রয়োজন ছিল ৫৭ রান। তবে ২৭ বলে ৩৪ রান করেই তানজিম হাসান সাকিবের বলে মিঠুন ক্যাচ দিয়ে ফিরলে মোটামুটি শেষ হয়েছে প্রাইম ব্যাংকের প্রায় অসম্ভবের আশা। 

    এ জয় দিয়ে এখন প্রাইম ব্যাংকের সমান ১২ পয়েন্ট আবাহনীর, তবে রান-রেটের ব্যবধানে দুইয়ে তারা। 


    ****

    খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি ১৩৮/৮, ২০ ওভার (মাসুম ৫৯, ফরহাদ ২০, মুমিনুল ২/২৭, মাহাদি ১/১৯, নাসুম ১/২৩, মুকিদুল ১/২৭) 
    গাজি গ্রুপ ক্রিকেটারস ১৪৪/৫, ১৮.৩ ওভার (মাহমুদউল্লাহ ৫৮*, ইয়াসির ২৪, মুমিনুল ২২, মিরাজ ২/২১, খালেদ ১/১৭, রনি ১/২০) 
    গাজি গ্রুপ ৫ উইকেটে জয়ী 


    অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ৪৮ বলে ৫৮ রানের ইনিংসে খেলাঘরের ১৩৮ শেষ পর্যন্ত সহজেই টপকে মৌসুমের পঞ্চম জয়ে পেয়েছে গাজি গ্রুপ, তাতে ম্লান হয়ে গেছে মাসুম খানের ৩৭ বলে ৫৯ রানের ইনিংস। 

    গাজির মাহাদি হাসান ও নাসুম আহমেদের সঙ্গে মুমিনুল হকের তোপে আগে ব্যাটিং করা খেলাঘর শুরুতে স্কোরিংয়ে ভুগেছে বেশ, ৭.৪ ওভারে ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল তারা। মাসুম নামার পর অবশ্য শুরুতেই আক্রমণ শুরু করতে পারেননি, মুখোমুখি হওয়া ১০ম ডেলিভারিতে মুমিনুলকে একটা ছয় মেরেছিলেন। এরপর নিয়মিত বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি, ৬ষ্ঠ উইকেটে ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে যোগ করেছিলেন ৫১ রান। শেষ বলে গিয়ে হয়েছেন রান-আউট, এর আগে মেরেছেন ৫টি চার ও ৪টি ছয়। এর আগে রান-আউট হয়েছিলেন ১৫ বলে ২০ করা ফরহাদও, খেলাঘরের স্কোর আরেকটু বড় হয়নি তাই। দিনে গাজির সেরা বোলার মুমিনুল, ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি ২৭ রানে। 

    রানতাড়ায় গাজির শুরুটা হয়েছিল বীভৎস, কোনো রান না তুলেই ফিরেছিলেন দুই ওপেনার মাহাদি ও সৌম্য সরকার। এরপর ইয়াসির আলি রাব্বি করেছেন ১৫ বলে ২৪, মুমিনুল হক ২০ বলে ২২। ৫৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল তারা, কিন্তু কম লক্ষ্যের ব্যাপারটা সহজ হয়ে গেছে মাহমুদউল্লাহর ইনিংসে। প্রথম ৩৯ বলে ৩৫ রান করছিলেন তিনি, এরপরের পরের ৯ বলে করেছেন ২৩ রান। প্রথমে আকবর আলির ১৪ বলে ১৮, এবং পরে আরিফুল হকের ১০ বলে ১৭ রানের ইনিংস কাজটা সহজ করে দিয়েছিল মাহমুদউল্লাহর।