• ইউরো ২০২০
  • " />

     

    ওয়েম্বলিতে ইতিহাস-বদলে দেওয়া জয় দিয়ে শুরু ইংল্যান্ডের

    ওয়েম্বলিতে ইতিহাস-বদলে দেওয়া জয় দিয়ে শুরু ইংল্যান্ডের    

    ইউরোর ইতিহাসে এর আগে কখনোই প্রথম ম্যাচে জয় পায়নি ইংল্যান্ড। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া কখনোই হারেনি প্রথম ম্যাচে। সেই ইতিহাস বদলে গেল এবার। ওয়েম্বলিতে রাহিম স্টার্লিংয়ের একমাত্র গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়েছে ইংল্যান্ড, তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। 

    ইংল্যান্ড শুরু থেকেই বেশ আক্রমণাত্মক ছিল। অ্যাটাকিং থার্ডে বল হারালেই প্রেস করে বলের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছিলো। ম্যাচের প্রথম ত্রিশ মিনিটে বেশ দাপটের সঙ্গে খেলছিলো থ্রি লায়নসরা। স্টার্লিং বাঁ দিক থেকে ইন করে স্পেস বের করছিলেন। শুরুর ৩০ মিনিটে ইংল্যান্ড তাদের অ্যাটাকিং থার্ডে অর্থাৎ ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণ অঞ্চলে পজেশন ধরে রেখেছিল ৩৫%, বিপরীতে ক্রোয়েশিয়ার ক্ষেত্রে তা ছিল ১৯%। এরপর ইংল্যান্ডের দুপুর দুইটার গরমে আস্তে ধীরে খেলা বিল্ডআপে মনযোগ দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। গোলশুন্য অবস্থায়ই শেষ হয়েছে প্রথমার্ধ।



    অবশ্য শুরুর মিনিট দশেকে গোলের সবচেয়ে কাছে গিয়েছিলো ইংল্যান্ড বারকয়েক। ম্যাচের ৬ মিনিটের সময়েই থ্রো-ইন থেকে বল পেয়ে স্টার্লিং এগিয়ে গিয়ে বল বাড়িয়েছিলেন ফিল ফোডেনের দিকে। এরপর ফোডেন শটও নিয়েছিলেন দারুণ, কিন্ত ভাগ্য সহায় ছিল না। ফোডেনের বাঁ পায়ের বাঁকানো শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। আরেকবার ৯ মিনিটে ম্যাচসেরা ক্যালভিন ফিলিপসের ভলিতে নেওয়া শট দুর্দান্ত সেভে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার লিভাকোভিচ। ক্রোয়েশিয়া আক্রমণ করলেও প্রথমার্ধে সেভাবে খুব ভালো গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।

    প্রথমার্ধে দুর্দান্ত খেলা স্টার্লিংয়ের কাছ থেকেই শেষমেশ ইংল্যান্ড পায় গোল। ৫৬ মিনিটে কেলভিন ফিলিপসের দুর্দান্ত থ্রু পাসে বক্সে বল পেয়ে যান  স্টার্লিং। হলুদ কার্ড পাওয়া চালেটা-কারের স্লাইডিং ট্যাকেলের আগেই শট নিয়ে নেন স্টার্লিং। ইংল্যান্ড এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। এরপর ৬১ মিনিটে ম্যাসন মাউন্টের বাঁ পাশ থেকে করা আরেকটি ক্রসে হ্যারি কেইনের ফার্স্ট টাচে বল যায় বারের উপর দিয়ে। এরপর ম্যাসন মাউন্ট আবার ড্রিবল করে গোলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় ব্রজোভিচের ট্যাকলে পড়ে গেলে বক্সের একটুখানি সামনে ফ্রি-কিক পায় ইংল্যান্ড। সেট পিস থেকে মাউন্টের নেয়া শটে বল বারের সামান্য উপর দিয়ে চলে গেলে গোল বঞ্চিত হয় ইংলিশরা। 

    ২০১৬ সালের ইউরোতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইনজুরি টাইমে গোল খেয়েছিল ইংল্যান্ড। এদিন অবশ্য রাশিয়ার মতো মদ্রিচ-পেরিসিচরা কিছু করে দেখাতে পারেননি। ম্যাচের শেষ থ্রো-ইনে থেকে হেডের পর পাওয়া বলে ক্রোয়েশিয়ার শেষ শট বারের উপর দিয়ে চলে গেলে বাজে খেলা শেষের বাঁশি।

    দুদলেরই অনটার্গেটে শট ছিল দুটি করে। লুকা মদরিচের দুরপাল্লার একটা শট পিকফোর্ড দারুণ সেভ করেছিলেন। ব্যবধানটা তাই এক গোলেরই থেকে গেছে। শুরুর ইতিহাস বদলে দেওয়ার সঙ্গে আরেকটা রেকর্ড থেকে গেছে বহাল তবিয়তেই- কোনও মেজর টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ ও ইউরো) ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে কখনো হারেনি ইংল্যান্ড।