মৌসুমের প্রথম টাই, সুপার ওভারে খেলাঘরকে হতাশ করে সুপার লিগে মোহামেডান
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৮৮/৯, ১০(১০) ওভার (মজিদ ৫৭, ইরফান ৪/৯, টিপু ১/১৬, সাদ্দাম ১/১৮)
খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিত ৮৮/৫, ১০ (১০) ওভার (মাসুম ৩৩*, জহুরুল ২৮, মিরাজ ১৪, তাসকিন ২/২২, শুভাগত ১/১০, রাহি ১/১৪, আসিফ ১/১৭)
সুপার ওভারে খেলাঘর ১৩/১, মোহামেডান ১৪/১
ম্যাচ টাই, সুপার ওভারে মোহামেডান জয়ী
খালেদ আহমেদ করলেন শর্ট অফ আ লেংথে, আগে থেকেই জায়গা বানানো ইরফান শুক্কুর সেটিতে পুল করে মারলেন ছয়। সুপার ওভারের প্রথম বলে সেই বাউন্ডারিই যেন মোহামেডানকে এগিয়ে দিল অনেকখানি। খালেদ সেটিকে শেষ বল পর্যন্ত নিয়ে গেলেন, তবে শেষরক্ষা হলো না খেলাঘরের। মৌসুমের প্রথম সুপার ওভারে জিতে সুপার লিগ নিশ্চিত করল সাকিবহীন মোহামেডান। আর এ ম্যাচে হারে সুপার লিগের লড়াই থেকেও ছিটকে গেল খেলাঘর।
অবশ্য ম্যাচটা সুপার ওভারে নিয়ে যাওয়ার পেছনে মূল অবদান ছিল শুভাগত হোম ও আবু জায়েদ রাহির। ১০ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৮৯ রানতাড়ায় ওই ২ ওভারে খেলাঘরের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান, ৬ উইকেট বাকি রেখে। দুজন মিলে সেটি তুলতে দেননি খেলাঘরকে, শেষ ওভারে ৬ রান ডিফেন্ড করেছেন রাহি।
ইনিংসের প্রথম বলেই ইমতিয়াজ হোসেন এলবিডব্লিউ হওয়ার পর জহুরুল ইসলামের ১৫ বলে ২৮ রানের ইনিংসে ভাল ভিত পেয়েছিল খেলাঘর। তবে মাঝে সাদিকুর রহমানের উইকেট আবারও চাপ বাড়িয়েছিল তাদের। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে ২৬ রানের জুটি ছিল মাসুম খানের, তবে ১৬ বলে ১৪ রানের ইনিংসে মিরাজ তেমন সহায়তা করতে পারেননি। খেলাঘরকে এরপর পার করানোর দায়িত্বটা নিজের কাছে নিয়েছিলেন মাসুম, ৩ চার ও ১ ছয়ে সেটি করেছিলেনও প্রায়।
তবে ৯ম ওভারে শুভাগত এসে বাউন্ডারি দেননি কোনো, উঠেছিল ৭ রান। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে শাহরিয়ার কমলের উইকেটে খেলাঘর চাপে পড়েছিল আরও। ৫ম বলে গিয়ে মাসুম সিঙ্গেল নিয়েছেন, ১৭ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থেকেও শেষ বলে তাকে তাই থাকতে হয়েছে নন-স্ট্রাইক প্রান্তেই। শেষ বলে ফরহাদ নিতে পেরেছেন একটি সিঙ্গেল, এমন ম্যাচ টাইয়ের পর তখনই একদফা উল্লাস করে নিয়েছিল মোহামেডান।
সুপার ওভারের প্রথম বলেই ডাবলস নিতে গিয়েছিলেন নন-স্ট্রাইকে থাকা জহুরুল, তবে মাসুম তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর তিনি হয়েছেন রান-আউট। তৃতীয় ও ষষ্ঠ বলে বাউন্ডারি মেরে মূল ম্যাচের শেষ বলে স্ট্রাইক না পাওয়ার আক্ষেপ কিছুটা মিটিয়েছিলেন মাসুম, খেলাঘর তুলেছিল ১৩ রান।
মোহামেডানের হয়ে সুপার ওভারে শুক্কুরের সঙ্গে এসেছিলেন আব্দুল মজিদ। খালেদকে মারা শুক্কুরের প্রথম বলে ছয়ের পরের ২ বলে এসেছিল ৩ রান, চতুর্থ বলে স্কুপ করে লো-ফুলটসে বাউন্ডারি মেরেছেন মজিদ। তাতেই খেলাঘরের সমান স্কোর হয়ে গেছে তাদের, তবে ৫ম বলে খালেদের স্লোয়ারে ধোঁকা খেয়ে ক্যাচ তুলেছিলেন মজিদ। শেষ বলটা খালেদ করেছিলেন অফস্টাম্পের একটু বাইরে ফুললেংথে, তবে শুক্কুরকে আটকাতে পারেননি তিনি।
বিকেএসপিতে বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনের প্রথম ম্যাচে মোহামেডান তুলেছিল ৮৮ রান, তবে এর মাঝে মজিদ একাই করেছিলেন ৫৭, ৩০ বলে। তার ইনিংসে মজিদ মেরেছেন ৫টি চার, ৪টি ছয়। তবে তার পর মোহামেডানের আর কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কই, তাদের শেষ ৫ ব্যাটসম্যানের স্কোরই ছিল শূন্য। খেলাঘরের মোহাম্মদ ইরফান ৪ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৯ রানে, ২ ওভারে।
তবে শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি সেসব। রাহি-শুভাগত-শুক্কুরে উল্লাসে মাতা মোহামেডানের দিনে ম্যাচসেরা হয়েছেন মজিদই।