• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি ২০২১
  • " />

     

    আলাউদ্দিনও আটকাতে পারলেন না প্রাইম ব্যাংককে, বৃথা ইমনের ৫ উইকেট

    আলাউদ্দিনও আটকাতে পারলেন না প্রাইম ব্যাংককে, বৃথা ইমনের ৫ উইকেট    

    ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৭৪/৩, ১২(১২) ওভার (জুনাইদ ২৪, মাইশুকুর ১৫*, আলাউদ্দিন ১৪*, শরিফুল ২/২৪, নাহিদুল ১/৪)
    প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৮৪/৪, ১১.৪ ওভার (১২ ওভারে লক্ষ্য ৮৪) (তামিম ২৯, মিঠুন ২৮, এনামুল ১৫, আলাউদ্দিন ৩/১৯, রাহাতুল ১/১৪) 
    প্রাইম ব্যাংক ডিএলে ৬ উইকেটে জয়ী 


    প্রথমে ক্যামিও খেলেছিলেন ৫ বলে অপরাজিত ১৪ রানের, এরপর প্রাইম ব্যাংকের ৪ উইকেটের তিনটিই নিয়েছিলেন আলাউদ্দিন বাবু, ৩ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে। পরে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি, তবে প্রাইম ব্যাংককে আটকাতে পারেননি ব্রাদার্স ইউনিয়ন অলরাউন্ডার। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৬ উইকেটের জয়ে টেবিলের শীর্ষে জায়গাটা আরেকটু পোক্ত করেছে আগেই সুপার লিগ নিশ্চিত করা প্রাইম ব্যাংক। ১০ ম্যাচে সমানসংখ্যক পয়েন্ট পাওয়া ব্রাদার্স অবশ্য নিয়েছে বিদায়, টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী, সমানসংখ্যক পয়েন্ট পাওয়া দলের মাঝে জয়ের সংখ্যা বেশি যাদের, এগিয়ে থাকবে তারা। ব্রাদার্সের ওপরের দলগুলির জয়ের সংখ্যা পর্যন্ত যাওয়া এখন সম্ভব নয় তাদের। 

    মিরপুরের ম্যাচ শুরু হয়েছিল দেরিতে, বৃষ্টির কারণে। তৃতীয় ওভারে ১০ বলে ১৩ করা মিজানুর রহমানকে ফিরিয়েছিলেন নাহিদুল ইসলাম। ৮ম ওভারে গিয়ে আরেকটি উইকেট পড়েছে তাদের, তবে ব্রাদার্সের রান তখনও ৩৫। ১৭ বলে ৫ রানের প্রশ্নবিদ্ধ ইনিংস খেলেছেন নুরুজ্জামান, যার দূর্ভোগ শেষ হয়েছে শরিফুলের বলে। জুনাইদ সিদ্দিক করেছেন ২৪ রান, তবে তিনিও খেলেছেন ২৮ বল। অবশ্য এরপর মাইশুকুর রহমানের ১২ বলে অপরাজিত ১৫ ও আলাউদ্দিনের ওই ক্যামিওতে ৭৪ পর্যন্ত যেতে পেরেছিল ব্রাদার্স। এদিন নেমেছিলেন মোস্তাফিজ, তবে তৃতীয় ওভার অসম্পন্ন রেখেই উঠে গেছেন তিনি, এর আগে ২.৫ ওভারে২২ রানে।



    ১২ ওভারে প্রাইম ব্যাংকের লক্ষ্য ছিল ৮৪, মুখোমুখি প্রথম বলেই ফিরেছিলেন আগের ম্যাচের নায়ক রনি তালুকদার। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় খেলেছেন এরপর ৮ বলে ১৫ রানের ক্যামিও, এরপর তামিম ইকবালের ২৬ বলে ২৯ ও মোহাম্মদ মিঠুনের ২২ বলে ২৮ রানের ইনিংসে কাজটা সহজ হয়ে গেছে তাদের। রনির পর বিজয় ও তামিমকেও ফিরিয়েছেন আলাউদ্দিন, মিঠুনের উইকেট নিয়েছেন রাহাতুল ফেরদৌস। শেষ ওভারে প্রাইম ব্যাংকের প্রয়োজন ছিল ৩ রান, মানিক খানের বলে সেটি তুলতে অলক কাপালির লেগেছে ৪ বল। 


    ****

    শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ১২০/৮, ১৩(১৩) ওভার (সৈকত ৩৭, আশরাফুল ২৬, জিয়াউর ১২, ইমন ৫/২৩, আসাদুজ্জামান ১/২১, রাকিবুল ১/২৪) 
    ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব ১০৪/৭, ১৩ ওভার (১৩ ওভারে লক্ষ্য ১২১) (রাইয়ান ৩৬, জয় ৩৩, ইমন ১৪, শাকিল ২/২০, এবাদত ২/২৩, জিয়াউর ২/২৮) 
    শেখ জামাল ডিএলে ১৬ রানে জয়ী 


    এর আগে পুরো ক্যারিয়ারে আনিসুল ইসলাম ইমনের উইকেট ছিল ৫টি। তবে পার্ট-টাইমেই এদিন তিনি পেয়ে গেলেন ৫ উইকেট, অবশ্য অন্য ম্যাচে আলাউদ্দিন বাবুর মতো বৃথা গেছে তার এই পারফরম্যান্সও। তার ৫ উইকেটের পরও ১৩ ওভারে ১২০ রান তুলেছিল শেখ জামাল, সৈকত আলির ২৩ বলে ৩৭ রানে ভর করে। তবে রানতাড়ায় ১০৪-এর বেশি তুলতে পারেনি ওল্ড ডিওএইচএস। 

    এদিন দলে ফিরেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল, তার সঙ্গে সৈকতের ওপেনিং জুটি আবারও পেরিয়েছে পঞ্চাশ। ৮ম ওভারে গিয়ে ফিরেছেন সৈকত, ২ চার ও ৩ ছয়ের ইনিংসে। ডিওএইচএসকে সে ব্রেকথ্রু দিয়েছেন ইমনই। আশরাফুল করেছেন ২২ বলে ২৬, ইমনের শিকার তিনিও। ইমন এরপর নিয়েছেন ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ এনামুলের উইকেট, তানভীর হায়দারকে দিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট পূর্ণ করেছেন তিনি। শেষ ৪ ওভারে ৬ উইকেট হারালেও শেখ জামাল তুলেছিল ৪২ রান। 

    রানতাড়ায় ওপেনিংয়ে নামা ইমন করেছেন ৯ বলে ১৪, এর আগেই ফিরেছিলেন তার সঙ্গী প্রিতম কুমার। তৃতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসান জয় ও রাইয়ান রহমান যোগ করেছিলেন ৬৮। জয় করেছেন ২৫ বলে ৩৩, রাইয়ান ২৮ বলে ৩৬। জয় আউট হওয়ার পর ১৮ বলে ৩৩ প্রয়োজন ছিল ডিওএইচএসের, তবে জিয়া, এবাদত হোসেন ও সালাউদ্দিন শাকিল মিলে সেই ৩ ওভারে একটি রান-আউটের সঙ্গে নিয়েছেন একটি করে উইকেট, দিয়েছেন ১৬ রান।