লেভানডফস্কির লক্ষ্যভেদে পোল্যান্ডের সাথেও হোঁচট খেল স্পেন
প্রথম ম্যাচে বল প্রায় সারাক্ষণ নিজেদের কাছে রেখেও গোল পায়নি স্পেন। আজ গোল পেল, কিন্তু জয়টা আর পাওয়া হলো না। আলভারো মোরাতার গোলে এগিয়ে গিয়েও লিড ধরে রাখতে পারেনি স্পেন। রবার্ট লেভানডফস্কি সমতা ফিরিয়েছেন পোল্যান্ডের হয়ে। সেটাই তাদের এনে দিয়েছে এক পয়েন্ট। দুই ম্যাচে দুই পয়েন্ট নিয়ে ইউরোতে এখনো জয়হীন স্পেন।
স্পেনের ম্যাচের গল্পটা আগের মতো একই থেকেছে আজও। তবে আজ সে গল্পে যোগ হয়েছে গোলও! বলের দখল রেখে এ ম্যাচেও দাপট দেখিয়েছে স্পেন। যদিও ম্যাচ শুরুর কয়েক মিনিটে পোল্যান্ডও বল দখলে ফিরে পেতে প্রেস করে যাচ্ছিলো। কিন্ত এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ গেছে স্পেনের হাতেই। প্রথমার্ধ শেষে তাঁরা তাদের ঝুলিতে একটা গোল নিয়েই বিরতিতে যেতে পেরেছে।
সেই গোলটা এলো আলভারো মোরাতার পায়েই। ম্যাচের ২৫ মিনিটের সময় জেরার্ড মরেনো ডান প্রান্ত থেকে বক্সে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বল বাড়ান। ্মোরাতা অনায়াসেই এরপর বল জালে পাঠান। কিন্ত এরপরেই অফসাইডের ইশারা দেখতে পান তিনি। উদযাপনটুকুও তাই আর করা হলো না! তারপর ভিএআরে গোলের সিদ্ধান্ত এলো। মরাতা ছুটলেন তার কোচের দিকে। বিশ্বাসের প্রতিদান দিতে পেরে জড়িয়ে ধরলেন স্পেন কোচ লুইস এনরিকেকে।
এরপর পোল্যান্ডের সমতায় ফেরার কয়েকটি সুযোগও এসেছিলো। ডান পাশ থেকে লেভানডফস্কির করা ক্রসে সুইডেরস্কি বল পেলে তার ভলিতে বল যায় বারের উপর দিয়ে। আরেকবার সেই সুইডেরস্কির বাঁ পায়ে বক্সের কিনারা থেকে নেওয়া দারুণ এক শট স্প্যানিশ গোলকিপার উনাই সিমনকে পরাস্ত করে গিয়ে লাগে গোলপোষ্টে, এরপরই আবার বক্সের বাঁ প্রান্তে থাকা লেভানডফস্কির দিকে ফিরে আসে। বায়ার্ন মিউনিখের এই স্ট্রাইকারের শট গিয়ে এরপর সোজা লাগে সিমনের গায়ে।
প্রথমার্ধ শেষের বাঁশি বাজার কয়েক মিনিট আগে থেকেই পোল্যান্ড ম্যাচের ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও তারা করে ভালোভাবে। শেষমেশ ৫৪ মিনিটে এসে গোলের দেখাও পেয়ে যায় পোলিশরা। জজউইয়াকের ডান পাশ থেকে করা ক্রসে দারুণ এক হেডারে বল জালে জড়িয়ে দেন লেভানডফস্কি। এর মিনিট চারেক পরেই স্পেন সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলো ব্যবধান বাড়ানোর। ভিএআরের সিদ্ধান্তে মরেনোকে ফাউল করে হলুদ কার্ড পান মদের, স্পেন পায় পেনাল্টি। বাঁ পায়ে গোলকিপারের ডানদিকে নেয়া মরেনোর শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে, সামনেই থাকা মরাতা এরপর ফাঁকা জালে গোল করতে ব্যর্থ হন।
এরপরেও বেশ কয়েকবার স্পেন গোলের সুযোগ তৈরি করেছে। সবচেয়ে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন বদলি নামা ফেরান তরেস। মার্কোস লরেন্তসের ক্রস ফাঁকা অবস্থায়ই খুঁজে নিয়েছিলো তাকে। কিন্ত তিনি হেড মারেন বেশ বাইরে দিয়েই। শেষ পর্যন্ত খেলা শেষ হয় ড্রতেই।
২০১৬ সালের ইউরো শেষে স্পেনের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার আল্ভারো মরাতা। কিন্ত শেষ চার ম্যাচে কোন গোলের দেখা পাননি এই ফরোয়ার্ড। সুইডেনের বিপক্ষে ম্যাচে সুযোগ মিসের জন্য পড়েছেন সমালোচনার মুখে। পোল্যান্ডের বিপক্ষে এ ম্যাচে গোল পেয়েও তবু তিনি স্বস্তিতে মাঠ ছাড়তে পারেননি। এ ম্যাচেও তিনি বেশ কয়েকটা সুযোগ মিস করেছেন। তাই স্বস্তিতে মাঠ ছাড়তে পারেনি স্পেনও। এক পয়েন্ট নিয়ে পোল্যান্ডও এখনও শেষ ষোলোর দৌড়ে টিকে আছে। তাই গ্রুপ ‘এ’ এর সকল রোমাঞ্চ জমা রইল এ গ্রুপের শেষ ম্যাচগুলোর দিনের জন্যেই।