হেরেও সঙ্গে ইতালির সঙ্গে শেষ ষোলতে চলে গেল ওয়েলস
আগের দুই ম্যাচ জিতেই ইতালি কাজ সেরে রেখেছিল। ওয়েলসের বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচের সেই ইতালিকে দেখা যায়নি, তবে জয় পেতে সমস্যা হয়নি। ১-০ গোলের জয়ে ইতালি গ্রুপ শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে, সেই সঙ্গে দশজনের ওয়েলসের কপালও খুলে গেছে। অন্যদিকে সুইজারল্যান্ড ৩-১ গোলে তুরস্ককে হারানোর পরেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ইতালির সঙ্গে নকআউটে চলে গেছে ওয়েলস। গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে এখনো সুযোগ আছে সুইজারল্যান্ডের।
ইতালি কোচ রবার্তো মানচিনি আজ নিয়মিত একাদশের অনেককে বিশ্রাম দিয়েছিলেন। একাদশে তাই ছিলেন কিয়েসা, বার্নাদেস্কি, বেলোত্তিরা। সেই সঙ্গে আগের ম্যাচে দুই গোল দেওয়া লোকাতেল্লিও ছিলেন না। নতুন দল নিয়ে গুছিয়ে খেলতে একটু সময় নিয়েছে ইতালি। শুরুর দিকে রাফায়েল তোলই ও এমারসন দুই ব্রাজিলিহান বংশোদ্ভুত ফুলব্যাক সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু ঠেকিয়ে দিয়েছেন ওয়েলস গোলরক্ষক ওয়ার্ড।
তবে প্রথম গোল পেতে বেশি দেরি হয়নি ইতালির। সেটা এসেছে ট্রেনিং গ্রাউন্ডে করা ফ্রিকিক প্র্যাকটিস থেকে। বক্সের বাইরে যে জায়গা থেকে ফ্রিকিক পেয়েছিল ইতালি, সেখান থেকে হাওয়ায় ভাসানো সেট পিসই নেন প্রায় সবাই। তবে মার্কো ভেরাত্তি নিলেন মাটিতে ঘেঁষা কিক, যেটা দারুণভাবে বুঝে বুটের সামনের অংশ দিয়ে দূরের পোস্টের দিকে ঠেলে দিলেন মাতেও পেসিনা। এবারের ইউরোতে তার সুযোগ পাওয়ারই কথা ছিল না, আজ লোকাতেল্লির জায়গায় সুযোগ পেয়েই কাজে লাগালেন এই মিডফিল্ডার।
ওদিকে সুইজারল্যান্ড তখন দুই গোলে এগিয়ে গেছে। হারিস সেফেররোভিচের পর বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেছেন জের্দান শাকিরি। তবে ওয়েলস ভালোই রক্ষণ করছিল। শুরুতে অ্যারন রামসে বক্সে ঢুকে খেই হারিয়ে না ফেললে এগিয়ে যেতে পারত। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি।
ম্যাচের সবচেয়ে বিতর্কিত মুহূর্তটা আসে ৫৫ মিনিটে। বার্নাদেস্কিকে লেট ট্যাকল করেছিলেন ওয়েলসের ইথান আম্পাডু, সেটার জন্য হলুদ কার্ডই স্বাভাবিক হওয়ার কথা। কিন্তু রেফারি লাল কার্ড দেখিয়ে দেন আম্পাডুকে। বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ ওয়েলস ডিফেন্ডার মাঠ ছেড়ে যান, দশ জনের দল হয়ে যায় ওয়েলস।
তবে এক জন বেশি নিয়েও বাড়তি কোনো সুবিধা নিতে পারেনি ইতালি। বার্নাদেস্কি গোলের সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিলেন, তার দূর থেকে নেওয়া শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। কিন্তু এ ছাড়া আর তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ইতালি। বরং সবচেয়ে কাছে গিয়েছিল ওয়েলসই। বক্সের ভেতর একদম ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন বেল, কিন্তু কয়েক গজ দূর থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ভলিটা বাইরে মেরে দেন । সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আর সমতা ফেরানো হয়নি ওয়েলসের।
তবে সেটা নিয়ে তারা খুব বেশি মন খারাল্প করবেন না। ওদিকে শাকিরি আরেকটা দিয়েছেন, তবে তার আগে একটা ফিরিয়ে দিয়েছে তুরস্ক। ম্যাচটা ৩-১ গোলে জিতেছে সুইজারল্যান্ড, তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ইতালির সঙ্গে ওয়েলসই চলে গেছে নকআউটে। সুইজারল্যান্ড অবশ্য চার পয়েন্ট নিয়ে ভালো অবস্থানে আছে, পরের পর্বে ওঠার আশাও আছে ভালোমতোই।