• ইউরো ২০২০
  • " />

     

    তিনে তিন নেদারল্যান্ডসের, ইউক্রেনকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে ডাচদের সঙ্গী অস্ট্রিয়া

    তিনে তিন নেদারল্যান্ডসের, ইউক্রেনকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে ডাচদের সঙ্গী অস্ট্রিয়া    

    দুই ম্যাচ জিতে কাজটা আগেই সেরে রেখেছিল ডাচরা, আজ তৃতীয় ম্যাচে উত্তর মেসিডোনিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে জানান দিল নিজেদের শক্তি। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোতে পা রেখেছে ডাচরা। অন্য ম্যাচে ইউক্রেনকে ১-০ গোলে তাদের সঙ্গী হয়েছে অস্ট্রিয়া। শেষ ষোলোর প্রথম ম্যাচে তাই ইতালির প্রতিপক্ষ অস্ট্রিয়া। 

    নেদারল্যান্ডস পরের পর্ব নিশ্চিত করলেও আজ কোচ ফ্রাংক ডি বোর খুব বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা করেননি। মাত্র দুজনকে বাইরে রেখেই একাদশ সাজিয়েছিলেন। মেসিডোনিয়ার আজ হারানোর কিছু না থাকলেও ম্যাচটা ছিল তাদের জন্য অন্যরকম। তাদের মধ্যমণি অধিনায়ক গোরান পান্ডেভ ২০ বছরের ক্যারিয়ার শেষে আজই শেষ ম্যাচটি খেলতে নেমেছিলেন দেশের হয়ে। ম্যাচের আগে পান্দেভকে শুভেচ্ছা স্মারক দিয়ে সম্মান জানায় নেদারল্যান্ডস।



    মাঠের খেলাও ছিল একদম ওপেন। দুই দল রক্ষণের চেয়ে আক্রমণেই বেশি মন দিয়েছে। স্কোরলাইন অবশ্য ম্যাচের ঠিক অবস্থাটা বোঝাতে পারছে না। মেসিডোনিয়া শুরুতে অন্তত দুবার বার এগিয়ে যেতে পারত। শুরুতে একবার অফসাইডের জন্য তাদের গোল বাতিল হয়ে যায়। এরপর ট্রাইকোভস্কির শট ক্রসবারে লেগে ফিরে না এলে তখনই তারা গোল দিতে পারত। তবে ২৪ মিনিটের প্রথম গোল নিয়েও তাদের দুর্ভাগ্যের কারণ ছিল। ড্যালে ব্লিন্ড পান্ডেভকে করা চ্যালেঞ্জের পর দারুণ একটা কাউন্টার ও্যাটাক। এরপর মালেনের পাস থেকে ডিপাই গোল করে এগিয়ে দেন ডাচদের। যদিও মেসিডোনিয়ার আপত্তি বিল্ড আপে ফাউল করা হয়েছিল। তবে সেটা ধোপে টেকেনি।

    এরপর ডাচরা প্রথমার্ধে আর গোল পায়নি। তবে সুযোগ পেয়েছিল দুই দলই, কিন্তু মালেন ডিপাইরা কাজে লাগাতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আর টেকেনি মেসিডোনিয়ার প্রতিরোধ। ৫১ মিনিটে ডিপাইয়ের পাস থেকে ট্যাপ ইন করে আবার এগিয়ে দেন ভিনালডাম। ৮ মিনিট পর আবার একটা আক্রমণ, এবার মালেনের কাছ থেকে বল পেয়ে ডিপাইয়ের শট ফিরিয়ে দিয়েছিলেন গোলরক্ষক।কিন্তু সেটা এসে পরে ভিনালডামের পায়ে, আরেকবার গোল করতে ভুল করেননি। দেশের হয়ে রেকর্ডটা অসাধারণ এই মিডফিল্ডারের। আজ সেটার প্রমাণ দিলেন আরও একবার।

    ওদিকে অন্য ম্যাচে তখন অস্ট্রিয়া এগিয়ে গেছে ১-০ গোলে। ২১ মিনিটে ডেভিড আলাবার সেট পিস থেকে গোল করে বামগার্টনার এগিয়ে দিয়েছেন অস্ট্রিয়ানদের। আগের দুই ম্যাচে ভালো খেললেও এদিন অস্ট্রিয়ার সামনে বিবর্ণ ছিল ইউক্রেন। ইয়ারমলেংকো একটা রিবাউন্ডের সুযোগ একটুর জন্য হাতছাড়া করা ছাড়া সেভাবে সুযোগও পায়নি। বরং মার্ক আরনাটোভিচ প্রথমার্ধেই দুবার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন। একবার ট্যাপ ইন করতে পারেননি শুধু, আরেকবারও হাতছাড়া করেছেন পরিষ্কার সুযোগ।

    দ্বিতীয়ার্ধেও অস্ট্রিয়া সেভাবে সুযোগ দেয়নি ইউক্রেনকে। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল ছাড়াই শেষ হয়েছে ম্যাচ। তাতেই ১৯৮২ সালের পর প্রথম বড় আসরের নকআউটে খেলা নিশ্চিত হয়েছে অস্ট্রিয়ার। অন্যদিকে তিন পয়েন্ট নিয়ে ইউক্রেনের পরের পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা খেয়েছে বড় একটা ধাক্কা।