১৭ অক্টোবর-১৪ নভেম্বর আরব আমিরাত ও ওমানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, নিশ্চিত করল আইসিসি
১৭ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বরের মাঝে আরব আমিরাত ও ওমানের ৪টি ভেন্যুতে হবে ২০২১ সালের মেনস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, নিশ্চিত করেছে আইসিসি। এর আগেই বিসিসিআই এটি ইঙ্গিত দেওয়ার পর অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে জানালো আইসিসি।
ভারতের কোভিড-১৯-এর সেকেন্ড ওয়েভের প্রভাবের কারণে এ টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিসি, বিসিসিআই। ভেন্যু বদল হলেও অবশ্য এ টুর্নামেন্টের আয়োজক থাকবে বিসিসিআই-ই।
মূলত ২০২০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা থাকলেও সেটি স্থগিত হয়ে গিয়েছিল কোভিড-১৯ আঘাত করার পর। এরপর সেটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে ২০২২ সালে, আর ২০২১ সালের টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা ছিল ভারতে। তবে আইপিএল স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর থেকেই ভারতে এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের ক্ষেত্রে সংশয় জাগে।
এর আগে শেষ ২০১৬ সালে হয়েছে ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যেটি হয়েছিল ভারতে। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেখানে শিরোপা জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আরব আমিরাতের দুবাই, আবুধাবি ও শারজাহর সঙ্গে ওমানের ক্রিকেট একাডেমি গ্রাউন্ড হবে চারটি ভেন্যু। দুটি ধাপে হবে এ বিশ্বকাপ। প্রথমে ৮টি দল খেলবে প্রাথমিক পর্বে, যেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া, ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি।
প্রাথমিক পর্বের দলগুলি খেলবে দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে। এই ১২টি ম্যাচ হবে আরব আমিরাতের একটি ও ওমানের ভেন্যুটিতে। এ পর্ব থেকে ৪টি দল যাবে পরের রাউন্ডে- সুপার টুয়েলভে। যেখানে আগে থেকেই আছে একটা নির্দিষ্ট সময়ে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আটে থাকা দলগুলি। সেখানে দুটি গ্রুপে বিভক্ত দলগুলির ম্যাচ হবে আরব আমিরাতের তিনটি ভেন্যুতে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে আরব আমিরাতে হবে স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলের বাকি অংশও। সূত্রমতে, ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে আইপিএল, ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে এর তিন দিন পরই। ফ্রেশ পিচ নিয়ে ভাবনার কারণেই মূলত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে ওমানকে।
আইসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইস বলেছেন, “২০২১ সালের ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিরাপদে করা আমাদের লক্ষ্য। ভারতে এটি করতে না পেরে আমরা যেমন হতাশ, তেমনি এর ফলে বায়ো-সিকিউরিটি পরিবেশে আন্তর্জাতিক আয়োজক হিসেবে প্রমাণিত একটা দেশে এটি আয়োজন করার নিশ্চয়তা পাচ্ছি। বিসিসিআই, এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড ও ওমান ক্রিকেটের সঙ্গে আমরা কাজ করে যাব, যাতে দর্শকরা ক্রিকেটের দারুণ এক উদযাপনের উপলক্ষ্য উপভোগ করতে পারে।”