সমারকে আড়াল করে সিমন-বীরত্বে ইউরোর সেমিফাইনালে স্পেন
দশ জনের দল হয়ে গিয়েছিল সুইজারল্যান্ড অনেক আগেই। কিন্তু এক জন কম নিয়েও স্পেনের সঙ্গে লড়ে গেছে প্রাণপণ। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ফ্রান্সের সঙ্গে টাইব্রেকারে জিতলেও এবার আর ভাগ্য সহায় হয়নি সুইজারল্যান্ডের। ইয়োয়ান সমারকে এবার আড়াল করে দিলেন উনাই সিমন, তার বীরত্বে ২০১২ সালের পর আরও একবার ইউরোর সেমিতে চলে গেল স্পেন। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ বেলজিয়াম বা ইতালি।
স্পেন-সুইজারল্যান্ড আগের ম্যাচে দুই দলি নির্ধারিত সময়ের পরে এসে ম্যাচ শেষ করেছিল। স্পেন অতিরিক্ত সময়ে জিতেছিল ক্রোয়েশিয়ার সাথে, সুইজারল্যান্ড পার করে এসেছিল টাইব্রেকারে ফ্রান্সের বাধা,। আজ ১৭ মিনিটেই অবশ্য লক্ষ্যভেদ করে স্পেন। আক্রমণ পালটা আক্রমণে শুরু হওয়া ম্যাচের ১৭ মিনিটে একটা কর্নার পেয়ে যায় স্পেন। জর্দি আলবা বক্সের বাইরে থেকে কিক করেছিলেন, সেটা ডেনিস জাকারিয়ার পায়ে লেগে দিকবদল করে ঢুকে যায় জালে। আরও একটি আত্মঘাতি গোল যোগ হলো এবারের ইউরোতে, আত্মঘাতী গোলের সংখ্যা দুই অংক ছুঁল এবার, আগের সব আসরের চেয়েও যা বেশি।
স্পেন অবশ্য গোল দেওয়ার পর এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। আজপিলিকুয়েরার কর্নার থেকে হেড ঠেকিয়ে দেন সমার, তার আগে কোকের কিক চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। প্রথমার্ধে আর সেভাবে সুযোগ পায়নি স্পেন। এম্বোলো উঠে যাওয়ায় একটা ধাক্কা খায় সুইজারল্যান্ড।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করতে থাকে সুইসরা। স্পেন এলোমেলো খেলতে থাকে এই সময়,। ডেনিস জাকারিয়ার হেড অল্পের জন্য চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে। এরপর ভার্গাস নক্সের ভেতর ঢুকে পড়ে শট নিয়েছিলেন। কিন্তু সিমন কোনোমতে সেটা ঠেকিয়ে দেন। তবে ৬৮ মিনিটে সমতা ফেরতায় সুইসরা। স্পেনের রক্ষণের ভুলে বল পেয়ে যান ফর্যলার। তার পাস থেকে ঠান্ডা মাথায় ফিনিশ করে সমতা ফেরান শাকিরি।
কিন্তু সুইসদের দুর্ভাগ্য শুরু এরপর। ৭৭ মিনিটে মরেনোকে দুই পায় ট্যাকল করে লাল কার্ড দেখেন ফ্রয়লার। যদিও রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে, ফ্রয়লারের শাস্তিটা বেশিই হয়ে গেছে। কিন্তু দশ জন নিয়েও দমে যায়নি, একের পর এক সেভ করতে থাকেন সমার। এর মধ্যে মরেনো কয়েক গজ দূর থেকে বাইরে মেরে দেন। লরেন্তে, ওরিয়াজাবাল, অলমোরা একের পর এক সুযোগ নষ্ট করতে থাকেন। আবার কখনো সমার অতিমানব হয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন সব। তখন মনে হচ্ছিল এই ম্যাচে টাইব্রেকারে গেলে সমার আরও একবার নায়ক হতে পারেন।
কিন্তু সেখানে আর হয়নি। অথচ শুরুর শট মিস করেছিলেন বুস্কেটস, ফিরে আসে পোস্টে লেগে। এরপর অলমো গোল দেওয়ার পর টানা দুইটি শট ঠেকিয়ে দেন সিমন। ওদিকে সমার রদ্রির শট ফিরিয়ে দিলে সমতায় থাকে সুইসরা। কিন্তু ভার্গাস আবার বারের ওপর মেরে দিলে এগিয়ে যায় স্পেন। শেষ কিকটা নিতে আসেন ওরিয়াজাব্ল, কিন্তু মিস করেননি। চতুর্থবারের মতো ইউরোর নকআউটে টাইব্রেকারে জিতে উঠে গেল স্পেন।