সনসেশনাল টটেনহামে হার দিয়ে মৌসুম শুরু গার্দিওলার সিটির
না থেকেও এই ম্যাচে আলোচনায় ছিলেন হ্যারি কেইন। টটেনহাম স্ট্রাইকারের সিটিতে যাওয়া নিয়ে চলছিল আলোচনা, কিন্তু এই ম্যাচে তাকে স্কোয়াডেই রাখেননি টটেনহামের নতুন কোচ নুনো এসপিরিতো সান্তো। টটেনহাম দেখাল, কেইনকে ছাড়াই তারা লড়তে পারে। এবং কেইন ছাড়াও হিউয়ং মিন সন টেনে নিয়ে যেতে পারেন স্পার্সকে। তাতে মৌসুমের প্রথম বড় ম্যাচে হার দিয়ে শুরু হলো পেপ গার্দিওলার সিটির। দারুণ এক গোল করে যে ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন সন।
ইংলিশ লিগে চ্যাম্পিয়নরা সবসময়েই দারুণ শুরু পেয়েছে। না জিতলেও অন্তত ড্র করেছে। দুবারই হয়েছে ব্যতিক্রম। ২০১৬ ও ২০১৭ মৌসুমে লেস্টার ও চেলসি শুরু করেছিল চ্যাম্পিয়ন হিসেবে হার দিয়ে। গার্দিওলার সিটিও হারল তাদের পথেই। এই ম্যাচেই সিটির হয়ে একাদশে ছিলেন প্রথম ব্রিটিশ হান্ড্রেড মিলিয়ন ম্যাচ জ্যাক গ্রিলিশ। কিন্তু অভিষেকটা মনে রাখার মতো হয়নি তার।
নুনোর জন্যও এই ম্যাচটা ছিল চ্যালেঞ্জের। উলভস থেকে তাকে নিয়ে এসেছিল স্পার্স, মরিনহোর উত্তরসূরি হিসেবে কেমন করবেন তা নিয়ে অপেক্ষা আর আগ্রহ ছিল। প্রথম ম্যাচে নুনো আভাস দিয়েছেন তার ওপরে ভরসা করা যায়। সিটির পজেশন ভিত্তিক ফুটবলের বিপরীতে কাউন্টার অ্যাটাকে খেলিয়েছেন। সন-বার্গউইনদের গতিতে বার বার খেই হারাচ্ছিল সিটির ডিফেন্স।
প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ বেশি পেয়েছিল সিটিই। মাহরেজ পেয়েছিলেন দারুণ সুযোগ, কিন্তু বাঁ পায়ের হাফ ভলিটা কাছ থেকেও পোস্টে রাখতে পারেননি। ওদিকে গোলরক্ষক লরিসের ভুলের সুযোগ নিতে পারেননি ফার্নান্দিনহো। সুযোগ পেয়েছিল স্পার্সও। কিন্তু সনের শট ক্যান্সেলোর গায়ে লেগে একটুর জন্য চলে গেছে বাইরে।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটে গোল পেয়ে গেছে টটেনহাম। দারুণ একটা প্রতি আক্রমণ থেকে বার্গউইনের পাস থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়েছিলেন সন, তাঁর বাঁ পায়ের বাঁক খাওয়ানো মাটি ঘেঁষা শট রুবেন দিয়াজের পায়ের ফাঁক দিয়ে এডারসনকে ফাঁকি দিয়ে জড়িয়ে গেছে জালে। এরপর এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল টটেনহাম, কিন্তু বার্গউইন একা পেয়েও শট পোস্টে রাখতে পারেননি। সিটি অবশ্য দুবার হাফ চান্স পেয়েছিল, কিন্তু গ্রিলিশ আর ফেরান তোরেস কাজে লাগাতে পারেননি। লরিসও ছিলেন নির্ভুল। শেষ দিকে কেভিন ডি ব্রুইন, জেসুসরা নেমেও আর কিছু করতে পারেননি। হার দিয়েই তাই মৌসুম শুরু হয়েছে সিটির।