প্রিমিয়ার লিগে রেড লিস্ট: কারা কারা দেশের হয়ে খেলার অনুমতি পাচ্ছেন না
করোনা মহামারীর করাল গ্রাসে বিপর্যস্ত ইংল্যান্ড অনেকটা সামলে ওঠায় প্রিমিয়ার লিগে সকল স্টেডিয়ামে পূর্ণ দর্শক উপস্থিতির অনুমতি দিয়েছিল এফএ। সাম্প্রতিককালে করোনা আবারও কিছুটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় ইংল্যান্ডের “রেড লিস্ট” এর অন্তর্ভুক্ত সকল দেশে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা থেকে প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়দের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এফএ।
একটি দেশে কোভিড শনাক্তের হার, সেদেশের কোভিড শনাক্তকরণ পরীক্ষার কাঠামো, সেদেশে বিরাজমান নতুন ভ্যারিয়েন্ট, সেদেশ থেকে অন্য দেশে ছড়ানো নতুন ভ্যারিয়েন্ট- এসবের ভিত্তিতেই কোনও নির্দিষ্ট দেশকে এই করোনাকালীন সময়ে ভ্রমণ “রেড লিস্ট” এর আওতায় আনে সরকার। ইংল্যান্ডের ভ্রমণ “রেড লিস্টে” বর্তমানে আছে ৬১টি দেশ। এর মধ্যে কনমেবলের ১০টি দেশই আছে, সেপ্টেম্বর এর প্রথমার্ধে যাদের বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের পূর্বনির্ধারিত সুচি রয়েছে। “ রেড লিস্টে” থাকা দেশগুলো থেকে ইংল্যান্ডে ফেরত আসলে ১০ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা অত্যাবশ্যক। মূলত সেই কারণেই এসেছে এই সিদ্ধান্ত।
এফএ’র বিস্তারিত বিবৃতিতে তারা তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে, “অনিচ্ছাসত্ত্বেও সর্বসম্মতিক্রমে সেপ্টেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য রেড লিস্টে থাকা দেশগুলোতে খেলার জন্য খেলোয়াড়দের না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো।”
“আন্তর্জাতিক ম্যাচ শেষে ক্লাবে ফিরে অত্যাবশ্যক কোয়ারেন্টিনে খেলোয়াড়দের জন্য বিশেষ ছাড়ের আবেদনে অনুমোদন না দেওয়ার পূর্বের অবস্থানে ফিফা অনড় থাকায় প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
“রেড লিস্টে থাকা দেশগুলো থেকে ফিরে এসে খেলোয়াড়দের ১০ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হলে শুধু যে তাদের ফিটনেসেই সেটার বিরূপ প্রভাব পড়বে তা নয় বরং তারা প্রিমিয়ার লিগের দুই রাউন্ড, একটি উয়েফার ক্লাব প্রতিযোগিতামুলক ম্যাচ ও ইএফএল কাপের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচেও খেলতে পারবে না।”
এরকম সিদ্ধান্তের ফলে ১৯ টি প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবের প্রায় ৬০ জন খেলোয়াড় “রেড লিস্টে” থাকা ২৬টি দেশে নিজেদের পূর্বনির্ধারিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারবেন না। তবে সবচেয়ে বিপদে পড়েছে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোই। সেপ্টেম্বরের প্রথমার্ধে তাদের বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের ম্যাচ আছে, যার মধ্যেই আছে ৬ সেপ্টেম্বরের মহা গুরুত্বপূর্ণ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ।
এক নজরে নিষেধাজ্ঞায় প্রভাবিত খেলোয়াড়গণ:
আর্সেনাল
-
মোহামেদ এলনেনি (মিশর)
-
নিকোলাস পেপে (আইভরি কোস্ট)
অ্যাস্টন ভিলা
-
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (আর্জেন্টিনা)
-
এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া (আর্জেন্টিনা)
-
মারভেলাস নাকাম্বা (জিম্বাবুয়ে)
ব্রেন্টফোর্ড
-
হালিল দারভিসলিয়ু (তুরস্ক)
-
তারিক ফসু-হেনরি (ঘানা)
-
ফ্র্যাঙ্ক ওনিয়েকা (নাইজেরিয়া)
-
ইয়োনা উইসা ( ডিআর কঙ্গো)
ব্রাইটন
-
স্টিভেন আলজাটে (কলম্বিয়া)
-
ইভেস বিসুমা (মালি)
-
মইসেস কাইসেদো (ইকুয়েডর)
-
এনোক মুয়েপু (জাম্বিয়া)
-
পার্সি টাউ (দক্ষিণ আফ্রিকা)
চেলসি
-
থিয়াগো সিলভা (ব্রাজিল)
ক্রিস্টাল প্যালেস
-
জর্ডান আইয়ু (ঘানা)
-
জেফ্রি শ্লুপ (ঘানা)
-
উইলফ্রাইড জাহা (আইভরি কোস্ট)
এভারটন
-
অ্যালেক্স ইয়োবি (নাইজেরিয়া)
-
ইয়েরি মিনা (কলম্বিয়া)
-
রিচার্লিসন (ব্রাজিল)
-
হামেস রদ্রিগেজ (কলম্বিয়া)
লিডস ইউনাইটেড
-
রাফিনিয়া (ব্রাজিল)
-
হেল্ডার কস্তা (অ্যাঙ্গোলা)
লেস্টার সিটি
-
কালিয়ার সয়ুঞ্চু (তুরস্ক)
-
ড্যানিয়েল আমারতে (ঘানা)
-
কেলেচি ইহেনাচো (নাইজেরিয়া)
-
উইলফ্রাইড এনদিদি ( নাইজেরিয়া)
-
প্যাটসন ডাকা (জাম্বিয়া)
লিভারপুল
-
অ্যালিসন (ব্রাজিল)
-
ফাবিনিয়ো (ব্রাজিল)
-
রবার্তো ফারমিনো (ব্রাজিল)
-
মো সালাহ (মিশর)
ম্যানচেস্টার সিটি
-
এডারসন (ব্রাজিল)
-
গ্যাব্রিয়েল জেসুস (ব্রাজিল)
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
-
এডিনসন কাভানি (উরুগুয়ে)
-
ফ্রেড (ব্রাজিল)
-
এরিক বাইয়ি (আইভরি কোস্ট)
-
আমাদ দিয়ালো (আইভরি কোস্ট)
নিউক্যাসল ইউনাইটেড
-
মিগুয়েল আলমিরন (প্যারাগুয়ে)
নরউইচ সিটি
-
ওনেল হার্নান্দেজ (কিউবা)
সাউদ্যাম্পটন
-
মুসা জেনিপো (মালি)
টটেনহাম হটস্পার্স
-
সার্জ অরিয়ের (আইভরি কোস্ট)
-
জিওভান্নি লো সেলসো (আর্জেন্টিনা)
-
ডেভিনসন সানচেজ (কলম্বিয়া)
-
ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো (আর্জেন্টিনা)
ওয়াটফোর্ড
-
এমানুয়েল ডেনিস (নাইজেরিয়া)
-
পিটার এটেবো (নাইজেরিয়া)
-
ফ্রান্সিস্কো সিয়েরেল্টা (চিলি)
-
উইলিয়াম ট্রুস্ট-একং (নাইজেরিয়া)
-
ওযান তুফান (তুরস্ক)
ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেড
-
আর্থার মাসুআকু (ডিআর কঙ্গো)
উল্ভস
-
উইলি বলি (আইভরি কোস্ট)
-
ইয়েরসন মসকেরা (কলম্বিয়া)