• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    কিক অফের আগে: মিশন চ্যাম্পিয়নস লিগ

    কিক অফের আগে: মিশন চ্যাম্পিয়নস লিগ    

    হাওয়া বদল

    মাত্র কয়েক বছর আগেও হোয়াইট হার্ট লেন যাত্রাটা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য ছিল ৩ পয়েন্টের নিশ্চয়তা। খুব বিপদে পড়লে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই খুশি থাকা! আর স্পার্সের জন্য পয়েন্ট তালিকার ৪ নম্বরে জায়গা করে নিতে নিজেদের যৌক্তিকতা প্রমাণের সুযোগ।

    স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের বিদায়ের সাথে সাথে বদলে যাওয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে এখনও। গত ক’বছরে এই দু’দলের সাফল্যের গ্রাফের মাঝের দূরত্বটা সংকীর্ণ হয়েছে আরও। স্থান বদলে ঠিক উল্টো চিত্রের সামনে এই দু’দল। শিরোপার দৌড়ে লেস্টার সিটির ওপর চাপটা ধরে রাখতে জয় চাই স্পার্সের। আর চ্যাম্পিয়নস লিগের আশা জিইয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প নেই রেড ডেভিলদেরও।

    রবিবারে হোয়াইট হার্ট লেনের এই ম্যাচটা চ্যাম্পিয়নস লিগে চতুর্থ স্থান নির্ধারণে বড় ভূমিকাও রাখবে। ইউনাইটেড না সিটি? নাকিই ওয়েস্টহ্যাম? শেষ পর্যন্ত কোন দল ৪ নম্বরে শেষ করবে তার অনেকটা নির্ভর করছে এই ম্যাচের ফলের ওপর। আর প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা দাবিটা স্পার্স জিইয়ে রাখবে না সে আশাটা ছাড়তে হবে- তাও নির্ধারন করে দিতে পারে এই ম্যাচ।

    শীর্ষে থাকা লেস্টার অবশ্য এতো সব সমীকরণের মার প্যাঁচে না গিয়ে এর আগেই পয়েন্ট ব্যবধানটা বাড়িয়ে নিতে পারে স্পার্সের সাথে। গত এপ্রিলে অবনমন অঞ্চলে লেস্টারের প্রতিবেশি ছিল সান্ডারল্যান্ড। ফক্সদের জায়গা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই; কিন্তু ব্ল্যাক ক্যাটসরা মৌসুমেও রয়ে গেছে পুরোনো নিবাসেই! দেয়াল পিঠ ঠেকে যাওয়া বেড়ালও যে ভয়ঙ্কর, তা জানা আছে র‍্যানিয়েরির। তাই সান্ডারল্যান্ডের ম্যাচটা নিয়েও থাকছেন সতর্ক। শেষ ৪ ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছেন ১-০ গোলে। অমন ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে নাখোশ হবেন কেন? যে মিশনে নেমেছেন তাতে ৩ পয়েন্টই সব! সাথে ওদিক দিয়ে স্পার্স হেরে গেলে, পিতজা পার্টির জন্য অর্ডার এই সপ্তাহেই শুরু করে দিতে পারেন!

    ফেলে আসা কোয়ার্টার ফাইনাল, সামনেও তাই!

    লা লিগার চিত্রটা একটু ভিন্নই। শীর্ষ ৩ দলেরই খেলা ছিল মাঝ সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে। অ্যাটলেটিকো-বার্সা তো খেলেছে একে অপরের বিপক্ষেই। দ্বিতীয় লেগের খেলাগুলো মাত্র দু’দিন বাদেই। লিগের খেলার আগেও ফিরে ফিরে আসছে চ্যাম্পিয়নস লিগ প্রসঙ্গই।

    লা লিগার লড়াইটা কিছুটা থিতিয়ে গেছে- কথাটা অস্বীকার করার উপায় নেই। আবার এও সত্য যে লা লিগায় শিরোপার লড়াইটা জমে উঠতে পারে এ সপ্তাহেই।

    মেসি-নেইমার-সুয়ারেজে ভর করে পুরো মৌসুম আলো ছড়ানো বার্সেলোনার সাম্প্রতিক ফর্মটা নিজেদের সেরা অবস্থান থেকে কিছুটা নিচের দিকেই। সোসিয়েদাদের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে বিশ্রামে থাকতে পারেন মেসি। অবশ্য এ সিদ্ধান্ত অনেকটাই নির্ভর করছে এর আগে এস্পানিওল- অ্যাটলেটিকো ম্যাচের ফলের ওপর। সবচেয়ে বড় কথা, গত নয় বছরে সোসিয়েদাদের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরতে পারেনি বার্সেলোনা। আর এল ক্লাসিকো জিতে ওলফসবার্গের হাতে নাকাল হওয়া রিয়াল মাদ্রিদ ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগের আগে জয়ের ধারায় ফিরতে খেলবে এইবারের বিপক্ষে।

    রঙ হারানো পুরোনো দ্বৈরথ

    এসি মিলান-জুভেন্টাস লড়াইয়ের পুরোনো সেই ঝাঁঝটা আস্তে আস্তে করে মিইয়ে যাচ্ছে। মিলানের আরেক ক্লাব ইন্টার মিলানও নেই সুবিধাজনক অবস্থানে। মিলানের দুই ক্লাবের লড়াইটা এখন ইউরোপে জায়গা করে নেয়ার। তাও ইউরোপাকে লিগে। সে লড়াইয়ে এসি মিলান বেশ পিছিয়েই আছে। জুভেন্টাসের বিপক্ষে হেরে গেলে ইউরোপা লিগের শেষ আশাটাও জলাঞ্জলি দিতে হবে ৭ বারের চ্যাম্পিয়নস লীগ জয়ীদের।

    জুভেন্টাস অবশ্য পুরনো ঐতিহ্য টিকিয়ে রেখেছে। সিরিআর টানা পঞ্চম শিরোপাটাও অনেকটাই নিশ্চিত। নাপোলির হিগুয়েইন ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়ায় তুরিনের বুড়িদের কাজটা সহজ হয়ে গেছে আরও। শিরোপাটা আছে হাতের নাগালে।