• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ পণ্ড: আসলে কী হয়েছিল? সামনে কী হবে?

    ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ পণ্ড: আসলে কী হয়েছিল? সামনে কী হবে?    

    ম্যাচ শুরুর ৫ মিনিটের মাথায় পন্ড হয়ে গেল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ। যে নজির ফুটবলের ইতিহাসে কমই আছে। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল রোববার রাতের সুপারক্লাসিকোতে? সামনেই বা কী হবে?

    এমি মার্টিনেজ, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, জিওভান্নি লো সেলসো ও এমি বুয়েন্দিয়ার ব্রাজিলে ঢোকার দুই সপ্তাহের মধ্যে ইংল্যান্ডে থাকার তথ্য গোপন করা হয়েছিল। 

    আনভিসা (ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান)-কে আগেই এই ম্যাচ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। পুলিশের নেতৃত্বে চার খেলোয়াড়কে ডিপোর্ট করার জন্য হোটেলে যায় আনভিসা। কিন্তু তার আগেই খেলোয়াড়েরা মাঠের উদ্দেশে বের হয়ে যান।

    ব্রাজিলের সরকার কনমেবল ও ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের (সিবিএফ) অনুরোধে এই চার জনের জন্য বিশেষ অনুমতিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু আনভিসা সেটা প্রত্যাখ্যান করে এবং মাঠের দিকে রওনা হয়। কিন্তু তারা সাও পাওলোর কুখ্যাত ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়ে, সেজন্য মাঠে পৌঁছাতে তাদের দেরি হয়।

    মাঠে আসার পর আনভিসা ও ফেডারেল পুলিশের সঙ্গে কনমেবল ও সিবিএফ কর্তৃপক্ষের সাথে দেখা হয়। জানানো হয়, ম্যাচটা শুরু হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আনভিসা বলে, এতে রাজি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এর মধ্যে ম্যাচ শুরু হয়ে যায়। কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ ম্যাচ শেষে চারজনকে দেশছাড়া করার ব্যাপারে রাজি হয়েছিল। কিন্তু আনভিসা সেটাতেও রাজি হয়নি।

    আনভিসা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের সাথে আর্জেন্টাইন কর্তৃপক্ষের কথা হয়। এই আলোচনার পর আনভিসা অফিসিয়াল ও পুলিশ মাঠে ঢুকে ও ম্যাচ স্থগিত হয়ে যায়। আর্জেন্টিনা খেলোয়াড়েরা মাঠ ছেড়ে যায়।

    আনভিসা ও পুলিশ ও চার জনকে ডিপোর্টের চেষ্টা করে, যখন পুরো আর্জেন্টিনা দল ড্রেসিংরুমে ছিল। আর্জেন্টাইন ফেডারেশন জানায় ম্যাচ স্থগিত হয়ে গেছে। 

    কনমেবল, সিবিএফ, আর্জেন্টাইন ফেডারেশন ও আনভিসার মধ্যে আলোচনা চলতে থাকে। এরপর অফিসিয়াল বার্তায় কনমেবল জানায় কোভিডের বিধিভঙ্গের জন্য ম্যাচ পণ্ড করা হয়েছে। 

    আর্জেন্টাইন ড্রেসিংরুমে পুলিশ ও আনভিসার কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। ওদিকে সাও পাওলোর ট্রাফিক কর্তৃপক্ষ আর্জেন্টিনাকে নির্বিঘ্নে ও দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার জন্য কোচ ও এসকর্টের ব্যবস্থা করে। সেদিনই আর্জেন্টিনা ব্রাজিল ত্যাগ করে।

    আর্জেন্টিনা কর্তৃপক্ষ বলেছে তাদের আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি। সিবিএফ বলে তারা খেলা চালিয়ে যেতে চেয়েছিল। এটা তাদের সিদ্ধান্ত ছিল না। তারা সরকার থেকে সবুজ সংকেতও পেয়েছিল। 

    এখন ম্যাচ রেফারি ও কনমেবলের প্রতিবেদনের পর চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেবে ফিফা। যদি ম্যাচ বাতিল হয়ে যায় তাহলে নিয়ম অনুযায়ী তিন পয়েন্ট পেতে পারে আর্জেন্টিনা। 

    এখনও ম্যাচটা স্থগিত, সেই হিসেবে সামনের মাসে সেটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে সামনের মাসে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা আরেকটি প্রীতি ম্যাচ আছে।