গিনিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মুখে ভেস্তে গেল কেইটা-হাকিমিদের ম্যাচ
গিনির রাজধানী কনাক্রিতে ২০২২ বিশ্বকাপের আফ্রিকান বাছাইপর্বের ম্যাচে মরক্কোর মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল গিনির। তবে সেই দেশের রাষ্ট্রপতির বাসভবনের আশেপাশে ভারি গুলিবর্ষণের কারণে স্থগিত হয়ে যায় সেই ম্যাচ। গত সোমবার সামরিক অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার ভয়াল সেই রাতে স্টেডিয়াম থেকে বের করে নিয়ে আসা হয় খেলোয়াড়দের যাদের মধ্যে ছিলেন লিভারপুলের নাবি কেইটা, পিএসজির আশরাফ হাকিমি, উল্ভসের রোমান সাইস ও অন্যান্য।
সোমবার হুট করেই গিনির সেনারা দাবি করে বসেন যে রাষ্ট্রপতি আলফা কন্ডের সরকার ও তার সব সাংবিধানিক কার্যক্রমের অবসান ঘটেছে। একইসাথে সব স্থলপথ ও সীমানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বিশেষভাবে বাছাইকৃত এক আর্মি ইউনিটের মাধ্যমেই এই অভ্যুত্থানের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে যাদের নেতৃত্বে আছেন কর্নেল মামদি দুম্বুয়া, যিনি একজন সাবেক ফ্রেঞ্চ লিজিওনেয়ার। সশস্ত্র সেনাবাহিনীর দ্বারা পরিবেষ্টিত অবস্থায় দুম্বুয়া টিভি সম্প্রচারে এসে তাদের এই অভ্যুত্থানের কথা জানান দেন।
ভীতিকর এই পরিস্থিতিতে ফিফা আর সিএএফ দ্রুতই যৌথ বিবৃতিতে জানায়, ‘গিনির বর্তমান রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি বড়ই নাজুক। তাই সেখানকার সামগ্রিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সব খেলোয়াড় ও ম্যাচের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফিফা ও সিএএফের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এই ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে।”
ম্যাচ স্থগিত হওয়ার সাথে সাথে মরক্কোর অ্যাম্বাসির উদ্যোগে হোটেলে আটকে পড়া খেলোয়াড়দের দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। হাকিমি টুইট করে নিশ্চিত করেছেন তাদের নিরাপদে মরক্কো ফিরে যাওয়ার বিষয়টি, “আপনাদের সকলের সমর্থন ও বার্তার জন্য ধন্যবাদ। দিনটা বেশ চাপের মধ্য দিয়ে গিয়েছে কিন্তু মহান আল্লাহর অশেষ করুণায় আমরা নিরাপদে মরক্কোতে ফিরে এসেছি। শুভরাত্রি!”
ওদিকে গিনির এই পরিস্থিতিতে গিনির খেলোয়াড় নাবি কেইটাকে নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ছিল তার ক্লাব লিভারপুল। পরে কেইটার সাথে যোগাযোগ করতে পারায় আশ্বস্ত হয়েছে ক্লাব কর্মকর্তারা। দেশের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে অবশ্য কেইটারা ঠিক কোথায় আছেন সেটার হদিস মেলেনি। ক্লাবের একজন মুখপাত্র জানান,” আমরা গিনি জাতীয় দলের ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে নাবির সাথে সার্বক্ষণিকভাবে সংযুক্ত আছি। সে নিরাপদে আছে এটা জেনে আমরা খুশি। অবশ্যই দেশটির পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তেই অন্যদিকে বাঁক নিতে পারে। সেজন্য আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা শুরু করেছি আর নাবিকে জত দ্রুত সম্ভব নিরাপদে লিভারপুলে আনা যায় সেই লক্ষেই কাজ করছি।”