• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    মেসির প্রথমে পচেত্তিনোর পিএসজির সিটি-জয়

    মেসির প্রথমে পচেত্তিনোর পিএসজির সিটি-জয়    

    এই ম্যাচকে বলা হচ্ছিল তেল ক্লাসিকো। কেউ কেউ বলছিলেন, 'এল ক্যাশিকো'। পেট্রোডলারের দাক্ষিণ্যপুষ্ট কাতার আর দুবাইয়ের দুই ক্লাবের লড়াইটা মনে রাখার মতো হলো একটা ঘটনার জন্য। লিওনেল মেসি যে সিটির বিপক্ষেই পিএসজির হয়ে নিজের প্রথম গোল পেলেন! 

    পিএসজির জার্সিতে অভিষেকে বদলি নেমেছিলেন। এরপর প্রথম একাদশে নেমেও গোল পাননি। বরং চোটের জন্য বাইরে চলে গেছেন সপ্তাহখানেক আগে। এরপর আবার আজকের ম্যাচে ফিরেছিলেন একাদশে। সত্যি বলতে কী, ম্যাচের বেশির ভাগ সময়ই মনে রাখার মতো কিছু করতে পারছিলেন না। সিটি ডিফেন্ডাররা তাকে খেলার সেভাবে সুযোগই দিচ্ছিলেন না। কিন্তু মেসির জন্য তো দরকার ছিল একটা মুহূর্ত। 

    সেটা হয়ে গেল ম্যাচের ৭৪ মিনিটে। অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়ে মধ্যমাঠের ওপর থেকে ট্রেডমার্ক দৌড়ে ভেতরে ঢুকে পড়েছিলেন। পুরো ম্যাচে দারুণ খেলা এমবাপেকে বলটা বাড়িয়েছিলেন, এমবাপে আলতো টাচে সেটা ফিরিয়ে দিলেন মেসিকে। বাঁ পায়ে নিখুত এক অর্ধবৃত্ত রচনা করে বলটা চলে গেল টপ কর্নারে। মেসি গোলের হিসেব খুললেন তার মতো করেই। 

    তার আগে অবশ্য শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিল সিটি। সেটার অবদান এমবাপের, দারুণ এক দৌড়ে ডানে ঢুকে পড়েছিলেন। এরপর বলটা বাড়িয়েছিলেন নেইমারের দিকে, কিন্তু নেইমার করলেন মিসকিক। সেটা ক্লিয়ার করতে পারলেন না মাহরেজ, ইদ্রিস গায়ে ছিলেন তক্কে তক্কে। দারুণ গোলস্কোরিং ফর্মে থাকা এই মিডফিল্ডার ডান পায়ের বুলেট শটে বল জালে জড়িয়ে দিলেন। তখন ম্যাচের মাত্র ৮ মিনিট। 

    এরপর প্রথমার্ধে দুইটি বড় ঘটনা ঘটেছে। গোল ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ কিছুষণ পরেই পেয়ে গিয়েছিল সিটি। কিন্তু ডি ব্রুইনের ক্রস থেকে স্টার্লিংয়ের হেড ফিরে আসে পোস্টে লেগে। ফিরতি বলটা অবিশ্বাস্যভাবে কয়েক গজ দূর থেকে আবার বারে লাগিয়ে দেন বার্নাদো সিলভা, গার্দিওলা যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। 

    এরপর সিটির ভাগ্যটা ভালোই বলতে হবে। গায়েকে ট্যাকল করেছিলেন ডি ব্রুইন, যা ছিল গোড়ালির ওপর। দুই সপ্তাহ আগে এমন একটা চ্যালেঞ্জের জন্য লাল কার্ড দেখেছিলেন ম্যান ইউনাইটেডের ওয়ান বিসাকা। কিন্তু ডি ব্রুইন বেঁচে যান, হলুদ কার্ড দেখেই। 

    দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরানোর জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করেছে সিটি। ডোনারুমা মাহরেজ, স্টার্লিংদের ফিরিয়ে দিয়েছেন, ডি ব্রুইনের শট চলে গেছে বাইরে দিয়ে। আবার ডি ব্রুইনের শটে সেভও করেছেন। ওদিকে ম্যাচসেরা এমবাপে বার বার ভেতরে ঢুকে বিপজ্জনক হয়ে উঠছিলেন। শেষ পর্যন্ত দুই গোলেই ছিল তার সরাসরি অবদান। আর মেসির প্রথম গোলের পাশে লেখা হলো তার অ্যাসিস্ট, আর পিএসজি পেল দারুণ এক জয়।