• আইপিএল ২০২১
  • " />

     

    রাহুল-মায়াঙ্কে প্লেঅফের আশা বাঁচিয়ে রাখল পাঞ্জাব

    রাহুল-মায়াঙ্কে প্লেঅফের আশা বাঁচিয়ে রাখল পাঞ্জাব    

    গ্রুপ পর্ব, দুবাই (টস- পাঞ্জাব/ বোলিং)
    কলকাতা নাইট রাইডারস ১৬৫/৭, ২০ ওভার (আইয়ার ৬৭, ত্রিপাঠি ৩৪, রানা ৩১, আরশদিপ ৩/৩২, বিষ্ণোই ২/২২, শামি ১/২৩)
    পাঞ্জাব কিংস ১৬৮/৫, ১৯.৩ ওভার (রাহুল ৬৭, মায়াঙ্ক ৪০, শাহরুখ ২২*, বরুন ২/২৪, আইয়ার ১/৩০, মাভি ১/৩১)
    ফলাফল: পাঞ্জাব ৫ উইকেটে জয়ী

     
    কলকাতা নাইট রাইডারসের প্লেঅফের স্বপ্নে বাঁধ সেধে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে পাঞ্জাব কিংস। ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ৪৯ বলে ৬৭ রানের পর দারুণ ডেথ বোলিংয়ে কলকাতাকে ১৬৫ রানে আটকে ফেলে পাঞ্জাব। মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ৪০ রান আর লোকেশ রাহুলের ৬৭ রানের সাথে শেষদিকে শাহরুখ খানের ৯ বলে ২২* রানের ক্যামিওতে সেই লক্ষ্য পেরিয়ে গিয়ে নিজেদের প্লেঅফের আশা বাঁচিয়ে রাখল পাঞ্জাব।  

    বোলিংয়ে শেষ দিকে ফিরে পাওয়া আত্মবিশ্বাসে ভর করে পাঞ্জাবের লক্ষ্য তাড়ার শুরুটাও হয় ভালো। অভিজ্ঞ দুই আইপিএল ওপেনার লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল পাওয়ারপ্লেতে বিনা উইকেটেই তুলে ফেলেন ৪৬ রান।

    বরুন চক্রবর্তী আক্রমণে এসে ভালই পরীক্ষা নিচ্ছিলেন দুজনের। বরুনের ফাঁদে পা দিয়েই ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে মরগানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আগারওয়াল ফিরে যান ২৭ বলে ৪০ রান করে। ৭০ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙার পর বরুন নিজের শেষ ওভারে ফেরান নিকোলাস পুরানকে। উইকেটে এসে এরপর প্রান্ত বদলে মনযোগী হয়ে রাহুলকেই হাত খুলে খেলার সুযোগ দিচ্ছিলেন এইডেন মার্করাম। রাহুল সাউদির বলে ছয় হাঁকিয়ে ৪৩ বলে পূর্ণ করেন তাঁর ফিফটি।

    নারাইনের শেষ ওভারে নিজেও রানের চাকা সচল করতে গিয়ে মার্করাম ফেরেন ১৬ বলে ১৮ করে। বোলারদের তৈরি চাপে এরপর শিভাম মাভির শিকার হয়ে ফেরেন দীপক হুডাও। পরের ওভারেই ফিরতে পারতেন রাহুলও। দীনেশ কার্তিক ও বরুনের ভুল বুঝাবুঝিতে সেই যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। পরের ওভারে শিভাম মাভির বলে ত্রিপাঠির দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হয়েছিলেন বলে মনে হলেও থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে আবারও বেঁচে যান তিনি। শেষ ওভারে আইয়ারকে মাঠছাড়া করতে গেলে অবশেষে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ৫৫ বলে ৬৭ রানে ফেরেন রাহুল। ৪ বলে ৪ রান দরকার হলেও চাপের মাঝে মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরের বলে ছয় মেরে ম্যাচ শেষ করেন শাহরুখ খান, যদিও বাউন্ডারি লাইনে বলটা প্রায় তালুবন্দী করে ফেলেছিলেন ত্রিপাঠি। ২২ রানের দুর্দান্ত ক্যামিও খেলে পাঞ্জাবকে রেখেছেন প্লেঅফের দৌড়ে, সমীকরণটা কঠিন করে দিয়েছেন কলকাতার জন্য। 

     

    টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দুই ওভারে ১৭ রান নিলেও তৃতীয় ওভারেই আরশদিপের ইনসুইঙ্গারে স্টাম্প খুইয়ে ফিরে যান শুবমন গিল। দারুণ ফর্মে থাকা ভেঙ্কটেশ আইয়ার- রাহুল ত্রিপাঠি জুটি এরপর কোনও বিপদ ঘটতে দেননি পাওয়ারপ্লেতে।

    রবি বিষ্ণোই আক্রমণে এলে ছুটতে থাকা এই জুটি অবশ্য একটু স্তিমিত হয়ে যায়, বিশেষ করে ত্রিপাঠি। সেই বিষ্ণোইই ত্রিপাঠিকে ফিরিয়ে ভাঙেন ৭২ রানের জুটি। অপর প্রান্তে থাকা আইয়ার অবশ্য পরের ওভারে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন ৩৯ বলে।

    এরপর আবারও ব্রেকথ্রু এনে দেন বিষ্ণোই। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে হুডার হাতে সরাসরি ক্যাচ দিয়ে আইয়ার থামেন ৪৯ বলে ৬৭ রান করে। কলকাতার লাগাম এরপর শক্তভাবে টেনে ধরেন শামি-আরশদিপ জুটি। মরগানের রানখরার দুঃখ আরও এক দফা বাড়িয়ে মাত্র ২ রানেই তাকে ফেরান শামি।

    অন্য প্রান্তে থাকা নিতিশ রানা অবশ্য শক্ত ভিতের অপর দাঁড়িয়ে বড় সংগ্রহের দিকে দলকে নিয়ে যাওয়ার জন্য লড়ছিলেন। এদিন খরুচে নাথান এলিসের করা ১৭তম ওভারে ১২ রান নিয়ে আরশদিপের পরের ওভারও শুরু করেছিলেন অসাধারণ এক ছয়ে। তবে ঐ ওভারেই চার মারার পরে বলে আবারও বল মাঠছাড়া করতে মায়াঙ্কের ক্যাচের শিকার হয়ে ফেরেন ১৮ বলে ৩১ রানের দারুণ ক্যামিও খেলে। দারুণ শুরুর পরেও শেষ ৫ ওভারে ৪৪ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়ে কলকাতা গিয়ে থামে ১৬৫ রানে। শেষ ওভারে গড়ানো ম্যাচে স্নায়ু ধরে রেখে সেই লক্ষ্য পরে টপকে যায় পাঞ্জাব।     

    এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের লড়াই আরও জমিয়ে তুলল পাঞ্জাব। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট রয়েছে কলকাতারও।