দিল্লির বিপক্ষে হারে প্লেঅফের দৌড়ে আরও পিছিয়ে পড়ল মুম্বাই
গ্রুপ পর্ব, শারজাহ (টস- দিল্লি/ বোলিং)
মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ১২৯/৮, ২০ ওভার (সূর্যকুমার ৩৩, ডি কক ১৯, হার্দিক ১৭, আভেশ ৩/১৫, অক্ষর ৩/২১, নরকিয়া ১/১৯ )
দিল্লি ক্যাপিটালস ১৩২/৬, ১৯.১ ওভার (আইয়ার ৩৩*, পান্ট ২৬, আশ্বিন ২০*, ক্রুনাল ১/১৮, কোল্টার-নাইল ১/১৯, বোল্ট ১/২৪)
ফলাফল: দিল্লি ৪ উইকেটে জয়ী
ইতোমধ্যেই প্লেঅফে জায়গা করে নেওয়া দিল্লি ক্যাপিটালস ৪ উইকেটের জয় দিয়ে মুম্বাইয়ের জন্য প্লেঅফের সমীকরণ আরও কঠিন করে দিল। দিল্লি বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে ১২৯ রানে আটকে যায় মুম্বাই। অক্ষর পাটেল ও আভেশ খানের ৩ উইকেটের পর প্রথম ৩ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে দিল্লির লক্ষ্যতাড়ার শুরুটা মনমত হয়নি। মিডল অর্ডারে শ্রেয়াস আইয়ারের ৩৩* ও রবিচন্দ্রন আশ্বিনের ২০* রানের সময়োপযোগী ইনিংসে অবশ্য শেষ ওভারে গড়ানো ম্যাচে জয় নিয়ে ফেরে দিল্লি।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই আভেশ খানের বলে ফিরে যান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। গুরুত্বপূর্ণ উইকেটের পতনে আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক আর অফ ফর্মে থাকা সূর্যকুমার যাদব উইকেটে থিতু হওয়ার দিকে মন দেন। পাওয়ারপ্লেতে দুজন টিকে থেকে মুম্বাইকে এনে দেন ৩৫ রান।
পাওয়ারপ্লের পরের ওভারেই অক্ষর পাটেল আক্রমণে এলে ফিরে তার ভাসিয়ে দেওয়া বলে পয়েন্টে নরকিয়াকে ক্যাচ দিয়ে ১৯ রানে ফিরে যান কুইন্টন ডি কক। ম্যাচের একাদশ ওভারে অক্ষরের নিরীহ ফুল টস মাঠছাড়া করতে গিয়ে অবশ্য লং অনে রাবাদার ক্যাচের শিকার হয়ে ২৬ বলে ৩৩ রানে থেমে যান সূর্যকুমার। নিজের শেষ ওভারে অক্ষর উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া সৌরভ তিওয়ারিকেও ফেরালে রানের চাকা সচল করা কঠিন হয়ে যায় মুম্বাইয়ের জন্য। ১৫তম ওভারে কাইরন পোলার্ডকে ফিরিয়ে নরকিয়া মেইডেন দিলে মুম্বাই গভীর বিপদে পড়ে।
একসময় ১৩ বলের মধ্যে ১২টাই ডট দিয়ে বসলে মুম্বাইয়ের গিয়ার পালটানো সময়ের দাবি হয়ে ওঠে। সেই সুযোগই খুঁজতে থাকা হার্দিক পান্ডিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়ে দুর্দান্ত ইয়র্কারে স্টাম্প উপড়ে ফেলেন আভেশ। এক বল পরেই আরও একটি ফুল লেংথ বলে নাথান কোল্টার নাইলের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন তিনি। শেষ ওভারে রবিচন্দ্রন আশ্বিন জয়ন্ত যাদবকে ফেরালেও ইনিংস শেষ হয় ক্রুনাল পান্ডিয়ার বড় ছয়ে। ১৫ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থেকে মুম্বাইকে ১২৯ রানে নিয়ে যান ক্রুনাল।
লক্ষ্য ছোট হলেও শারজাহর মন্থর উইকেটে ১২৯ রান পুঁজি করেও লড়াই করার আশা মুম্বাইয়ের ছিল। দ্বিতীয় ওভারে দিল্লির এই মৌসুমের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক শিখর ধাওয়ানকে রান আউট করে মুম্বাইয়ের শুরুটাও হয় মনমত। পরের ওভারে আক্রমণে এসেই পৃথ্বী শকেও এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ফেরান ক্রুনাল পান্ডিয়া। বিপদ আরও বাড়িয়ে জাসপ্রিত বুমরাহর আগের ওভারেই ছয় মারা স্টিভ স্মিথ ফেরেন স্বদেশী পেসার নাথান কোল্টার-নাইলের প্রথম বলেই। তবে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে বুমরাহকে দুই চার মেরে ১১ রান নেন দিল্লি অধিনায়ক ঋশাভ পান্ট।
অধিনায়কের ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করে চলা পান্ট এরপর থামেন জয়ন্ত যাদবকে মাঠছাড়া করতে গিয়ে, লং অনে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে। একটু পরেই ট্রেন্ট বোল্টের কাছে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফিরে যান অক্ষর। চাপের মুখে পাল্টা আক্রমণে যেতে গিয়ে বুমরাহর শিকার হয়ে ৮ বলে ১৫ রানে ফেরেন শিমরন হেটমায়ারও। দিল্লি হারিয়ে ফেলে ৯৩ রানে ৬ষ্ঠ উইকেট।
এরপর অবশ্য উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া শ্রেয়াস আইয়ারের সাথে জুটি বেঁধে আর কোনও বিপদ ঘটতে দেননি রবিচন্দ্রন আশ্বিন। শেষ ওভারে ম্যাচ গড়ালেও দুজনের অপরাজিত ৩৯ রানের জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দিল্লি।