• আইপিএল ২০২১
  • " />

     

    সাকিবের ফেরার দিনে প্লেঅফ আশা বাঁচিয়ে রাখল কলকাতা

    সাকিবের ফেরার দিনে প্লেঅফ আশা বাঁচিয়ে রাখল কলকাতা    

    গ্রুপ পর্ব, দুবাই (টস- হায়দ্রাবাদ/ ব্যাটিং)
    সানরাইজারস হায়দারাবাদ ১১৫/৮, ২০ ওভার (উইলিয়ামসন ২৬, সামাদ ২৫, গার্গ ২১, সাউদি ২/২৬, বরুন ২/২৬, মাভি ২/২৯, সাকিব ১/২০)
    কলকাতা নাইট রাইডারস ১১৯/৪, ১৯.৪ ওভার (গিল ৫৭, রানা ২৫, কার্তিক ১৮*, হোল্ডার ২/৩২, কৌল ১/১৭, রশিদ ১/২৩)
    ফলাফল: কলকাতা ৬ উইকেটে জয়ী

     
    পয়েন্ট তালিকার শেষে থাকা সানরাইজারস হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় দিয়ে প্লেঅফের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল কলকাতা নাইট রাইডারস। একাদশে ফেরার দিনে দুর্দান্ত রান আউটে কেন উইলিয়ামসনকে ফেরানোর পর সাকিব আল হাসান নিয়েছিলেন অভিষেক শর্মার উইকেটও। সেসাথে শিভাম মাভি, টিম সাউদি ও বরুন চক্রবর্তী ২টি করে উইকেট নিয়ে হায়দ্রাবাদকে মাত্র ১১৫ রানে বেঁধে ফেললে শুবমন গিলের ৫৭ রানে শেষ ওভারে গড়ানো ম্যাচে জয় পেয়েছে কলকাতা।

    দুবাইয়ের পিচ মন্থর হলেও ১১৬ রানের লক্ষ্য কলকাতার জন্য টপকে যাওয়া খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা না। শুরুটা তাই রয়েসয়ে করলেও দারুণ ফর্মে থাকা ভেঙ্কটেশ আইয়ার মাত্র ৯ রান করেই ফেরেন জেসন হোল্ডারের বলে। অন্য প্রান্তে থাকা শুবমন গিল অবশ্য বুঝেশুনে খেললে পাওয়ারপ্লে শেষে কলকাতা তোলে ৩৬ রান।

    পরের ওভারে রশিদ খান আক্রমণে এসেই ফেরান কলকাতার এই মৌসুমের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক রাহুল ত্রিপাঠঙ্কে। গিলের সাথে যোগ দিয়ে এরপর নিতিশ রানা ধীরেসুস্থে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান দলকে। উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া গিল ৪৪ বলে পূর্ণ করেন নিজের ফিফটি। ফিফটির পরে দ্রুত ম্যাচ শেষ করার জন্য হাত খোলার সুযোগ খুঁজলে সিদ্ধার্থ কৌলের ফুল লেংথের বল ফ্লিক করতে গিয়ে হোল্ডারকে ক্যাচ দিয়ে গিল ফেরেন ৫১ বলে ৫৭ রান করে।  জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে হোল্ডারের বলে উইকেটের পিছে ক্যাচ দিয়ে ৩৩ বলে ২৫ করে এরপর ফিরে যান রানা। শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ গেলেও দীনেশ কার্তিক ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরে কলকাতাকে এনে দেন স্বস্তির জয়।    

    টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে হায়দ্রাবাদের শুরুটা হয় ভুলে যাওয়ার মতই। টিম সাউদির বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে প্রথম ওভারেই ফেরেন ঋদ্ধিমান সাহা। আরেক ওপেনার জেসন রয়ও শিভাম মাভির শিকার হয়ে ফেরেন চতুর্থ ওভারে। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে চার চারে উইলিয়ামসন নেন ১৮ রান, হায়দ্রাবাদের রান দাঁড়ায় ৩৬।

    পরের ওভারে আক্রমণে এসেই ম্যাচের দৃশ্যপটে আবারও পরিবর্তন আনেন সাকিব। লেগে ঠেলে দিয়ে উইলিয়ামসন দ্রুত সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টা করতে গেলে নন স্ট্রাইক প্রান্তে সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প উপড়ে দেন সাকিব। ভালো শুরু করেও সাকিবের প্রত্যুৎপন্নমতিত্বে হার মেনে ২১ বলে ২৬ রানে ফেরেন উইলিয়ামসন। নারাইনের সাথে জুটি বেঁধে এরপর সাকিব চেপে বসলে সেই গেরো খুলতে বড়ই বেগ পেতে হয় হায়দ্রাবাদ ব্যাটসম্যানদের। তারই ফলস্বরূপ সাকিবের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই বেরিয়ে এসে খেলতে গেলে স্টাম্পড হয়ে ফেরেন অভিষেক শর্মা। নিজের শেষ ওভারে এসে প্রথম বাউন্ডারি দিলেও মাত্র ২০ রান দিয়ে একাদশে প্রত্যাবর্তনটা দারুণ হয় সাকিবের। অন্যদিকে কোনও উইকেট না পেলেও নিজের চার ওভারে নারাইন দেন মাত্র ১২ রান।  

    আরেক স্পিনার বরুন চক্রবর্তী ফেরান প্রিয়াম গার্গকে।  নিজের শেষ ওভারে জেসন হোল্ডারকে বরুন ফেরালেও সেই ওভারেই দুই ছয় মেরে গিয়ার পাল্টানোর দিকে মন দেন আব্দুল সামাদ। তবে পরের ওভারে সাউদির বলে গিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৮ বলে ২৫ রানেই থেমে যায় তার যাত্রা। শেষ পাঁচ ওভারে ৩ উইকেট খুইয়ে ৩৬ রান তুললে হায়দ্রাবাদ গিয়ে থামে ১১৫ রানে।

    ১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে শেষ ওভার পর্যন্ত যেতে হলেও বোলারদের দারুণ পারফর্ম্যান্সের মান রেখে জয় পায় কলকাতা। সেই সাথে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় চার নম্বরে থাকলেও প্লেঅফ নিশ্চিত করার খুবই কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে তারা।