মোস্তাফিজদের উড়িয়ে প্লে-অফের দৌড়ে এগিয়ে গেল মুম্বাই
গ্রুপ পর্ব, দুবাই (টস- দিল্লি/ বোলিং)
রাজস্থান রয়্যালস ৯০/৯, ২০ ওভার (লুইস ২৪, মিলার ১৫, জাইসওয়াল ১২, কোল্টার-নাইল ৪/১৪, নিশাম ৩/১২, বুমরাহ ২/১৪)
মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ৯৪/২, ৮.২ ওভার (কিষান ৫০*, রোহিত ২২, সূর্যকুমার ১৩, মোস্তাফিজুর ১/৩২, সাকারিয়া ১/৩৬)
ফলাফল: মুম্বাই ৮ উইকেটে জয়ী
রাজস্থান রয়্যালসকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করে ৮.২ ওভারেই ৮ উইকেটের জয় দিয়ে প্লেঅফের দৌড়ে টিকে থাকল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। নাথান কোল্টার-নাইলের ৪ ও জিমি নিশামের ৩ উইকেট মাত্র ৯০ রান পর্যন্ত গিয়েছিল রাজস্থান। জবাবে ইশান কিষানের ২৫ বলে ৫০* রানে বিশাল জয় তুলে নিয়ে রান রেটটাও বাড়িয়ে রাখল মুম্বাই। গাণিতিক সমীকরণে টিকে থাকলেও সেই সাথে মোস্তাফিজুর রহমানদের প্লেঅফের সম্ভাবনা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে বলা যায়।
কলকাতার সাথে টেক্কা দিতে রান রেট বাড়ানোই ছিল মুম্বাইয়ের লক্ষ্য। ৯১ রানের লক্ষ্যে রোহিত শর্মার সাথে এদিন ওপেনিং জুটি বাধা ইশান কিষান শুরু থেকেই ছিলেন মারমুখী। চেতন সাকারিয়ার শিকার হয়ে ১৩ বলে ২২ রান করে রোহিত শর্মা ফিরলেও ছন্দ পতন ঘটেনি কিষানের। উইকেটে এসে সূর্যকুমার যাদবও দ্রুত ম্যাচ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে আগাতে থাকলেও মোস্তাফিজুর রহমানের করা পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে মিড অফে সহজ ক্যাচ দিয়ে তিনি থামেন ১৩ রান করে। দুই উইকেট হারালেও মুম্বাই পাওয়ারপ্লেতেই তুলে ফেলে ৫৬ রান।
এরপর সাকারিয়ার করা অষ্টম ওভারে দুই ছয় এক চারে হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে কিষান তোলেন ২৪ রান। পরের ওভার মোস্তাফিজ করতে এলে প্রথম দুই বলেই চার-ছয়ে মাত্র ২৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন কিষান।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজস্থানের ওপেনিং জুটি সুবিধা করতে পারেননি। নাথান কোল্টার নাইলের করা তৃতীয় ওভারে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ১২ রান করে ফেরেন ইয়াশাসভি জাইসওয়াল। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহর কাছে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ১৯ বলে ২৪ রান করে এরপর ফেরেন এভিন লুইসও। আগের দিনের মত ঝড় তুলতে না পারলেও পাওয়ারপ্লেতে দুই ওপেনারকেই হারিয়ে ৪১ রান তোলে রাজস্থান।
পাওয়ারপ্লের ঠিক পরের বলেই রাজস্থান অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন ফেরেন জিমি নিশামের শিকার হয়ে। রাজস্থানের ভরাডুবির শুরুও বলা যায় সেখান থেকেই। আগের দিন ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলা শিভাম দুবেও এরপর মাত্র ৩ রান করে সেই নিশামের শিকার হয়েই ফেরেন। পরের ওভারে কোল্টার নাইলের শিকার হয়ে গ্লেন ফিলিপসকেও ফিরতে হলে ১০ ওভার শেষে রাজস্থানের স্কোরকার্ড একেবারেই জরাজীর্ণ আকার ধারণ করে: ৫০-৫!
নিজের চার ওভারের কোটা পূর্ণ করতে এসে শেষ বলে নিশাম ফেরান ১২ রানে থাকা রাহুল তেওয়াতিয়াকে। উইকেট আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দিয়ে এরপর বুমরাহর শিকার হয়ে ফেরেন স্রেয়াশ গোপাল। উইকেট অনেকক্ষণ ধরে থেকেও সুবিধা করতে না পেরে পরের ওভারে কোল্টার নাইলের শিকার হয়ে ২৩ বলে ১৫ রান করে ডেভিড মিলার ফিরলে নিজের শেষ ওভারে চেতন সাকারিয়াকেও ফেরান এই অস্ট্রেলিয়ান পেসার। বোল্টের করা শেষ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান দারুণ এক ছয় মারলে রাজস্থান গিয়ে থামে ৯০ রানে, যা ২০ ওভার ব্যাট করে আইপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ। ৭০ বল হাতে রেখে সেই সংগ্রহ টপকে গিয়ে মুম্বাই শক্তভাবে প্লেঅফের দৌড়ে ফিরে এলে রান রেটে বিশাল ধাক্কা খেয়ে রাজস্থানের সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছে এই হার দিয়েই।